৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:৩০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
ভূয়া প্রকল্পের সাথে এমইউ এর গল্প ফেদে বাজার থেকে শত কোটি টাকা হাতিযে নেয়ার এক চাঞ্চল্যকর কাহিনী ধরা পড়েছে অনুসন্ধ্যানে। সাজানো গল্পের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে বেরিয়ে আরো সত্য। তা হচ্ছে যে কোম্পানীর সাথে এমইউ করে জমি বিক্রর কথা বলছে পদ্মা রিসোর্ট এন্ড হাউজিং সেই অরশি নগর প্রকল্পের নানা অনিয়ম জটিলতা, জালিয়াতির কারণে স্থানীয় প্রশাসন সে প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া আরশি নগর প্রকল্পের জমি বেচার পলিশ গল্পে বাজার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে শত কোটি টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সত্যতা যাচাইয়ে পদ্মা রিসোর্ট এন্ড হাউজিং এর অফিস খুজতে গিযে রীতিমতো আতকে ওঠার অবস্থা। অভিজাত এবং নিছিদ্র নিরাপত্তার বলযে ঘেরা হাউজ নং-১০৪৫, রোড নং-৯, এভিনিউ-৯, মিরপুর ডিওএইচ এস এর নীবর এলাকার একেবারে নিঝুম কর্ণারে অফিস খুলেছে এ প্রতারক পদ্মা রিসোর্ট এন্ড হাউজিং। সাধারণ কারো পক্ষে এ ভবনে প্রবেশ একেবারেই অসম্ভব। কারণ ভবন বা এর আশ পাশের কোথায়ও এ কোম্পানীর কোন সাঈন বোর্ড বা নির্দেশক কোন চিন্হ পর্যন্ত নেই। ভবনের নীচ তলায় রয়েছে কড়া নিরাপত্তা বলয়। সিসি ক্যামেরাসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা।
এমডি মহোদয় সাথে এ ব্যপারে কথা বললে তিনি জানান এ ব্যাপারে আমাদের একজন সাংবাদিক আচেন জয়। আপনারা তার সাথে কথা বলেন।
এখানে কী ব্যবসা আপনাদের। ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানালেন, জমি কেনা বেচার ব্যবসা। প্রতিবেদকের প্রশ্ন নিজেদের জমি! ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উত্তর না। আরশিনগর নামের একটি হাউর্জি কোম্পানীর সাথে এমউ এর মাধ্যমে তাদের জমি বিক্রি করছি। আমাদের কোন নিজস্ব স্টাফ নেই। আমাদের হযে যারা জমি বিক্রি করছে তাদের আমরা ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিচ্ছি। পরের জমি বিক্রেতাদের ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দেয়ার পর নিজেদের কী কোন ব্যবসা থাকা সম্ভব? আর নিজের জমি না থাকার পরও এমন বাণিজ্য কতটা নৈতিক এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারর নানা এজেন্সির বহুমাক্রিত সমন্বয় হীনতা ও বাদা হযে দাড়ানো একগাদা অভিযোগ তুলে ধরে দৃষ্টি অনত্রে ঘোরানোর চেষ্টা করেন তিনি। তিনি স্পষ্ঠ্য জানান নিজেদের আপাতত কোন প্রজেক্ট তাদের নেই। কত দামে জমি বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ১৫লাখ কাঠা দরে আরশি নগরের জমি বিক্র করছেন তারা। কতটি বিক্রি করেছেন এমন প্রশ্নে জবাবে জানালেন থেকে ৮টি। এতে কি এমন রাজকীয় অফিস মেইনটেইন করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে অনেকটা চুপ থেকে তিনি বলেন,চেষ্টা করছি। আর কোন ব্যবসা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবও কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। অফিসে তখনো বিভিন্ন রুমে ১৫ থেকে ২০ জন ডিস্ট্রিবিউটর। তারা কি সব প্লান বোঝাচ্ছেন সামনে বসে থাকা আগুন্তুকদের। তাদের সাথে নিরাপত্তার বিবেচনায় কথা বলা সম্ভব হলো না। এক ফাঁকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বললেন, আমরা গ্রাহকদের ৬২ মাসের সুবিধা দিযে জমি দিচ্ছি। জমির দাম নির্ধারণ হওয়ার পর কোন মাসে গ্রাহক কত টাকা দিবেন এ নিযে কোন চাপাচাপি নেই। তার সুবিধামতো পরিশোধের সুযোগের কারণে অনেকই আগ্রহী হচ্ছে।
এ দিকে কথিত আরশি নগর হাউজিং এর বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা যায় এটি একটি দখলদার কোম্পানী। স্থানীয় সরকার দলীয় কিছু তো ও মাস্তানদের ম্যানেজ করে কৃষকের কৃষি জমি দখলের মেতে উঠেছিল কোম্পানীটি। এ নিযে আরশি নগর প্রজেক্ট এলাকায় ঘটেছে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অবশেষে স্থানীয় প্রশাসন প্রজেক্টটি বন্ধ করে দিযেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানীর প্লট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এটা সত্য নয়। কিন্তু আরশি নগরের এলাকায়র একাধিক ব্যক্তি জানান প্রজেক্টটি বন্ধ রয়েছে।
এ দিকে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে পদ্মা রিসোর্ট এন্ড হাউজিং কোম্পানী সরাসরি এমএল এম ব্যবসার সাথে জড়িত। রামপুরা এলাকায় তাদের অন্য অফিস থেকে এ ব্যববসা চালানো হচ্ছে। অর সে কোম্পানীর মূল প্রডাক্ট হচ্ছে অন অনুমোদিক সেক্স মেডিসিন। হাজার গুন বেশী মূলে যৌন উত্তেজনার আবেদন সৃষ্টি করে এ ব্যবসা চালাচ্ছে কোম্পানী। এসব বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে মোবাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবারো মুখো মুখি হয়ে কথা বলার অনুরোধ করেন প্রতিবেদককে।
Leave a Reply