৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:২২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
আজিজুর রহমান বাবু, শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
রাসেল ভাইপার একটি বিষধর সাপ। যার কামড়ে সুচিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যু অবধারিত। এই সাপের কামড়ের পরবর্তী ১০০ মিনিটের মধ্যে ” এন্টি ভেনাম ” ইনজেকশনটি প্রয়োগ করলে রোগীর জীবন রক্ষা সম্ভব হতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে – এই ইনজেকশনটি নেই কেন ? এমন গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশনের ঘাটতি কেন হবে ? কারা নজরদারি করবেন ? তাঁদের কী কোন দায় নেই ? যদিও সরকারী হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু শরীয়তপুর জেলার কোথাও এন্টিভেনাম ইনজেকশনটি পাওয়া গেলো না ।
যে পরিবার থেকে তাঁদের প্রিয় মানুষটি এভাবে চলে যায়, একমাত্র তাঁরা ই উপলব্ধি করতে পারবেন… শূন্যতা কী? সারাজীবনের অর্জিত সম্পদ শেষ বয়সে স্ত্রী পুত্র কন্যা নিয়ে উপভোগ করবেন, কত সাধ আহলাদ ছিল মনে – সব যেনো গুড়েবালি, তা আর হলো না।
সম্প্রতি সখিপুর বাজারে প্রতিষ্ঠিত ফার্নিচার ব্যবসায়ী হাসোজ্জ্বল সেলিম মাদবর সকালে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার কতৃক সংক্রামিত হন। জীবনের কোন মূল্য নেই। একটা ইনজেকশনের অভাবে – জীবন সবশেষ !
সময়মত একটা ইনজেকশন দিতে পারলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। সেলিম মাদবরের পুরো শরীরে সাপের বিষ এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়তো না।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টি ভেনাম ইনজেকশনটি থাকার কথা। দুঃখের বিষয় সেখানেও ছিল না। ইনজেকশন প্রাপ্তির সঠিক তথ্য না থাকায় খুব বেশী সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দুটি তরতাজা প্রাণ হারিয়ে গেলো।
গুরুত্বপূর্ণ এই ইনজেকশনটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আগাম সংরক্ষিত করে রাখলে হয়ত বেঁচে যেতে পারতেন প্রয়াত সেলিম মাদবর ।
উক্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক ভাবে সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আমাদের প্রত্যাশা – যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্রুত এন্টি ভেনাম ইনজেকশন টি সংরক্ষণ করে, আগামীতে যেনো কোন সাপেকাটা রোগীদের প্রাণ না যায়। জীবন রক্ষার্থে জরুরী ভাবে ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply