১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১১:১১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
সাইদুর রহমান রিমন :
তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন বৈঠকে ফেসবুক, আইপি টিভি, অনলাইন টিভিতে সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে মন্ত্রনালয় থেকে চিঠি জারি হওয়ায় সবাই যেন খুশিতে গদ গদ হয়ে উঠেন। ফলাও করে তা পত্র পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের অনলাইন পেপারে প্রচার প্রকাশ করে যুদ্ধ জয়ের ঢেকুর তুলেন সবাই।
এভাবেই ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত আইপি টিভি ও অনুমোদনহীন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ নিষিদ্ধ করে কতগুলো সরকারি চিঠি জারি হয়েছে তা জানেন কি? খোঁজ খবর নিয়ে তথ্য মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত ৭/৮টি কঠোর নির্দেশ জারির চিঠি পাওয়া গেল। প্রায় অভিন্ন ভাষায় জারিকৃত একেকটি চিঠি পাঠ করলে ধারণা হবে যে, এই বুঝি সব বাহিনীর সমন্বয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হচ্ছে, যে কোনো মূল্যে সব আইপি টিভি, ভূয়া অনলাইন পেপার বন্ধ এবার হবেই হবে। বারবার শুনতে পাবেন জিরো টলারেন্স, জিরো টলারেন্স!
তবে জিরো টলারেন্স এর বাস্তবচিত্রটি আসলে কী তা নিজ নিজ এলাকার মাদক ব্যবসায়িকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন। মাদক ব্যবসায়িরা বলবে, থানা পুলিশ, বড় বাবু ২/৪ মাস পর পরই জিরো টলারেন্সের ধোয়া তুলে আমাদের দাবড়ে বেড়ায়। মাসোহারার টাকা বকেয়া পড়লেও জিরো টলারেন্স, বখড়ার পরিমাণ বাড়াতে হলেও জিরো টলারেন্স। তখন জিরো টলারেন্সের ধাওয়ার ধকলে পড়ে মাদক ব্যবসায়িরা ছোটাছুটি করে হাজিরা দেন বড় বাবুর কাছে…তখনই জানতে পারেন টলারেন্সের মূল কারণ। এখন মাদক ব্যবসায়িদের মতো জিরো টলারেন্সের ধাওয়া খেয়ে ভূয়া আইপি টিভিওলারাও বকেয়া মাসোহারা কিংবা বাড়তি বখড়া নিয়ে কোথাও হাজির হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সাইদুর রহমান রিমন :
সিনিয়র সাংবাদিক।
Leave a Reply