১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:১৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
দিন যতই যাচ্ছে – রাজধানীর কদমতলী থানাধীন ৫৯নং ওয়ার্ড ঢাকা ম্যাচ এলাকায় সন্ত্রাসী তান্ডব বেড়েই চলছে। এই সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে, ফজু ফারুক গ্রুপ।
তবে ঢাকা ম্যাচের অনেক বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, অনেকে অভিমত প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংশার অবস্থান বিরাজ করছে ৫৯নং ওয়ার্ডে।
ফজু – ফারুক গ্রুপের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মোঃ কামাল হোসেন, তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। তিনি ঢাকা ম্যাচ শ্রমিক কলোনি চাকুরীজীবি সদস্য ছিলেন। প্রায় ৪০ বছর যাবদ যাবৎ ঢাকা ম্যাচ কলোনিতে বসবাস করে আসছেন।
তিনি বলেন বিভিন্ন কারনে অকারনে ৫৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের নেতৃত্বাধীন বাহিনী, ফজু – ফারুক গ্রুপের অত্যাচারে তিনি দিশেহারা, বিভিন্ন মামলা, হামলায় তার জীবন যাপন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটিতে বিচার চেয়েও তার কোন উপায় খুজে পাননি তিনি। বর্তমান তিনি তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভয় ভীতিতে মানবেতর জীবন যাপন পাড় করছেন।
এদিকে আরেকজন ভুক্তভোগী মোঃ রফিক তার জীবন যাপনের পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের, নেতৃত্বাধীন মোঃ ফজলুল হক (ফজু) সাথে রাজনীতি করে আসছিন। তিনি পরিবার পরিজনদের নিয়ে একটু ভালো ভাবে থাকার জন্য ফজুর নিকট আবদার করেন, ঢাকা ম্যাচে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ডোবা নালায় পড়ে থাকা জমি। সেখানে যেনো সে জমি ভরাট করে পরিবার জনদের নিয়ে বসাবস করবে। এ প্রস্তাবে ফজু রফিক কে একখানা ডোবা জমি থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দেন। ভুক্তভোগী রফিক অর্থ খরচ করে সে ডোবা ভরাট করেন এবং পরে সে গ্রামের বাড়িতে যান সে জমিতে ঘড় নির্মান করার জন্য আরো টাকার ব্যবস্থা করার জন্য।
ভুক্তভোগী রফিক সেই জমিতে ঘড় নির্মান করার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করে এসে দেখেন, সেই জমি অন্য কেহো ভোগ করছেন।
এবিষয় নিয়ে ফজুর সাথে ভুক্তভোগী রফিকের বাগদন্দ হয়। জমির কোন সঠিক সুরাহা না পেয়ে রফিক স্থানীয় কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের নিকট বিষয়টি জানান। পরে কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক ফজুকে ভুক্তভোগী রফিকের খরচ হয়ে যাওয়া ৬০,০০০/- টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ করেন। কিন্ত দিনের পর দিন পাড় হয়ে গেলেও আজও সেই টাকা পাননি ভুক্তভোগী রফিক।
টাকার কথা বলতেই হতে হয়, ফজু – ফারুক বাহিনীর অত্যাচারের স্বীকার।
ভুক্তভোগী রফিকের একটি পা অঙ্গহানি, কোন রকম একটি চায়ের দোকান করে ঢাকা ম্যাচে মানবেতর জীবন যাপন পাড় করছেন তিনি।
আরেকজন ভুক্তভোগী ছোট রফিক কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক এর নেতৃত্বাধীন ফজু – ফারুক গ্রুপের অনিয়ম অত্যাচার অতিষ্ঠের বর্ণনায় বলেন, তাদের অত্যাচারের হাত থেকে বাচার জন্য আইনী আশ্রয় নিতে গিয়েও সঠিক সমাধান পাননি বরং উল্টো তিনি মামলা, হামলার স্বীকার হচ্ছেন রিতিমত।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বর্তমান কদমতলী থানাধীন ৫৯নং ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের, সাধারণ সম্পাদক – মাফুজুর রহমান মামুন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি আওয়ামী পরিবারের সদস্য হয়ে রাজনীতি করে আসছেন। বর্তমান তিনি ওয়ার্ড পর্যায়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে দ্বায়িত্বরত আছেন।
তার রাজনীতি ক্যারিয়ারে ব্যাঘাত ঘটাতে একটি কুচক্র মহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য হয়রানি ও মিথ্যা মামলার স্বীকার হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, রুপা নামীয় যে মেয়েটি তাকে চাঁদাবাজি মামলা করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মামুন আরো বলেন, চাঁদাবাজি সাথে সে কোন ভাবেই জড়িত নয়। এই রুপার কাজই বিষ খাওয়ার ঘটনা ঘটিয়ে মানুষকে হেয়পূর্ণ করা। মামুন বলেন, এই রুপা অতীতেও দু-তিন বার বিষ খেয়েছেন এবং তার ফাদে ফেলে তিনি তার স্বার্থ হাসিল করে নেন এটা নতুন কিছু নয়।
তিনি বলেন, রুপা কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের নেতৃত্বাধীনকর্মী। এই রুপা নিজেই তিনি বিভিন্ন অপকর্ম কাজের সাথেই জড়িত। তিনি নারী বিধায় তার বিভিন্ন অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারিনা, কারন অকারনে মিথ্যা মামলার স্বীকার হতে হবে বলে জানান তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫৯ নং ওয়ার্ড “ঢাকা ম্যাচে” ফজু – ফারুক গ্রুপের তান্ডব দিন দিন বেড়েই চলছে। সক্রিয় হয়ে উঠছে তাদের ভয়ানক জীবন যাপন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যবসায়ী ও তাদের চাঁদা দেওয়ার কথা স্বীকার করে থাকেন। তাছাড়া এই গ্রুপের প্রতি অনেকের অভিযোগ আছে, তারা ঢাকা ম্যাচে সরকারি যায়গায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে ভাড়া খাচ্ছে ও ব্যবসা করে আসছেন। এই গ্রুপে ফজু, ফারুক, বিপ্লব, মনির, মানিক ও রুপার নাম চলে আসে শীর্ষ তালিকায়।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বেশ কিছু কিশোর গ্যাং ও তাদের নিকট হইতে পরিচালিত হয়ে আসছে। যা সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত।
তবে ঢাকা ম্যাচ ও ৫৯নং ওয়ার্ডের অনেক বাসিন্দারা অভিমত প্রকাশ করেন, নিজ দলগত কোন্দল সৃষ্টি না করে, সঠিক সমাধান হয়ে উঠে সুন্দর একটি ওয়ার্ডে পরিচিতি লাভ করুক। কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি যেনো এই ওয়ার্ডে স্থান না হয়। পাশাপাশি এই ৫৯নং ওয়ার্ডের প্রতি প্রশাসনের সু- দৃষ্টি রাখার আশা ব্যক্ত প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply