১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:৪১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
একসময়ের ফুটপাতের চা বিক্রেতা বর্তমানে হাজার কোটি টাকার মালিক। এ যেন এক আলাদিনের চেরাগের মতো। রাজধানী ঢাকায় কোটি কোটি স্বপ্নবাজ মানুষের মাঝে এই চা বিক্রেতা যেন রূপকথার জাদুর কাঠির মাধ্যমে অর্থ প্রাচুর্য আর অপরাধের সম্রাট বনে গেছেন। রুবেলের এমন সম্পদে ফুলেঁ ফেঁপে ওঠা পরিচিতজনদের কাছে যেন রূপকথার গল্পের মত।
মাত্র ১০ বছরে আগে ফকিরা পুলের ফুটপাতের চা বিক্রেতা রুবেল এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে শত শত বিঘা জমি রাজধানী সহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাট, প্লট, বাড়ি সহ রুবেল ইফতি ওভারসিস সহ কয়েকটি ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক। তার এতো টাকার উৎস কোথা থেকে এসব সঠিক তদন্তের জন্য দুদুকে অভিযোগ দায়ের করেছে এক ব্যাক্তি। আর তা তদন্ত চলছে।
খোঁজখবর নিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবৈধ পথে আদম পাচার, সরকারি কর্মকর্তা, সচিব, আমলাদের নিকট নারী সাপ্লাই করে রুবেল অবৈধ সম্পদের পাহাড় জমিয়েছেন। কাকরাইলের ৭ কোটি টাকার অফিস, একাধিক ট্রাভেলস এজেন্সির লাইসেন্স, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০ টি ফ্ল্যটের মালিক সহ গাজীপুরে ও নোয়াখালির সোনাইমুরিতে কযেকবিঘা জমি রযেছে তার। এসব সম্পদের বাজার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। রাজধানীর ফুটপাতে সামান্য একজন চা বিক্রেতা থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া আদম ব্যবসায়ী রুবেল চারপাশে পড়েছেন পরিচিতজনদের কাছে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
একজন চা বিক্রেতা ১০ বছরের ব্যবধানে ফেলে ফুঁপে এত সম্পদের মালিক হয় কি করে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার নিকট তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে যেহেতু অভিযোগ করা হয়েছে সেহেতু আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতিকে অক্ষুন্ন রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও রাষ্ট্রের প্রশাসন রুবেলের এসব অবৈধ সম্পদের খোঁজ খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এ বিষযে রুবেলের মন্তব্য জানার জন্য ফোন দিলে সে দেখা করে কথা বলবেন বলে জানান পরে আর ফোন রিসিভ করেননি।
রুবেলের বিভিন্ন অবৈধ কৃতকর্ম ও অবৈধ সম্পদের খোঁজ খবরের বিস্তারিত থাকছে আগামী পর্বে…
Leave a Reply