1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
ফের চাঙ্গা ক্যাসিনো জুয়া নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলর শামীম ? - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:০০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জোরালো থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলে ব্যাবসা দাবী ব্যাবসায়ীদের শ্যামপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন সহ আটক এক প্রতারক হারিজের কারখানায় ভেজাল সার উৎপাদনে বহাল,খুঁটির জোর কোথায়? মোহনপুরে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের পরিকল্পনা সভা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম আবারো  ঢাকায়! লন্ডনে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে, ইষ্ট লন্ডন শাখার প্রতিবাদ সভা কেরানীগঞ্জ খোলামোড়া লঞ্চঘাট টার্মিনাল টোল মুক্তির দাবিতে মানব বন্ধন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন আজ ডিপিডিসির ৬ কর্মকর্তা দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে
ফের চাঙ্গা ক্যাসিনো জুয়া নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলর শামীম ?

ফের চাঙ্গা ক্যাসিনো জুয়া নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলর শামীম ?

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে রাজধানীর ক্লাবপাড়ার সব জুয়ার আস্তানা তছনছ হলেও বছর ঘুরতেই ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে এ চক্র। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর এ চক্রের মাফিয়ারা অনেকেই থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতে গা ঢাকা দিলেও চক্রটির একাধিক সদস্য রাজধানীতে চালিয়ে আসছে জুয়ার আসর ।

জুয়ার বোর্ড পরিচালনকারী একাধিক ব্যক্তি ও বিপুলসংখ্যক জুয়ারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্লাবপাড়ায় জুয়া বন্ধ থাকলেও রাজধানীতে এ খেলা মোটেই থেমে নেই। ক্লাবগুলো বন্ধ থাকলেও ক্যাসিনো খালেদ মাহমুদের সহযোগী সোহেল স্পোটিং ক্লাবের জুয়ার আসর গুলো বন্ধ হলে

কৌশল অবলম্বন করে খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতি ভবনের ২য় তলায় চালিয়ে আসছে জমজমাট জুয়ার আসর। জুয়া নিয়ন্ত্রণ করা জন্য ডিএনসিসি কাউন্সিলর সহ একাধিক ব্যাক্তি নিয়ে গড়ে তুলেছেন নতুন সিন্ডিকেট ।

সিটিজি লাইভের অপরাধ অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্যাসিনো সোহেল জেল থেকে বের হয়ে এসে কিছুদিন গাঢাকা দেন বর্তমানে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে হাত করে আবারো ফিরে আসে ক্যাসিনো জুয়া ব্যবসায়।

প্রথমে ক্যাসিনো সোহেল রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জুয়ার বোর্ড বসিয়ে সুবিধা করতে না পারলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় ডিএনসিসি ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান, ক্যাসিনো সোহেল, টিটু, বিল্লাল ও রাজ্জাক সহ একাধিক ব্যাক্তি নিয়ে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট বর্তমানে তেজগাঁও থানাধীন তেজকুনি পাড়ার এই সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য কাউন্সিলর শামীম নিয়ন্ত্রণাধীন খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি কার্যালয়ের ২য় তলায় বেশ কয়েকটি রুমে রাতভর চালিয়ে আসছে ক্যাসিনো, জুয়া এবং মাদক সেবন। এই সমিতির সভাপতি কাউন্সিলর শামীম তাই নির্বিঘ্নে চালিয়ে আসছে জুয়ার আসরটি ।
এই জুয়ার আসরে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়। কাটাকাটি, তিনকার্ড, ফ্লাস, গেমবোর্ড, গেম, হাইডু ও হাজারি খেলা চলছে এখানে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও থানা পুলিশ নিয়মিত মোটা অংকের অর্থ নিয়ে থাকে। বর্তমানে খেলাঘর সমিতি কার্যালয় জুয়ারীদের কাছে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে মনে করেন জুয়ারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তেজকুনি পাড়া এলাকার একাধিক স্থানীয়দের অভিযোগ খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতি খেলাধুলা ও সামাজিক মূলক কর্মকাণ্ড করে থাকতো কাউন্সিলর শামীম হাসান  সভাপতি হ‌ওয়ার পর থেকেই মাদক আর জুয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে আর এই জুয়া ও মাদকের টাকার ভাগিদার রয়েছেন অনেকেই। প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা টাকার ভাগ পেয়ে থাকেন আর সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন ডিএনসিসি ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান ।

একাধিক সূত্র জানায়,

মতিঝিল ক্লাব পাড়ায় ক্যাসিনো জুয়া পরিচালনা করে একাধিক ফ্ল্যাট ও গাড়ির মালিক হয়েছেন ক্যাসিনো সোহেল। রয়েছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজ নামে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রতিটি ফ্ল্যাটের মূল্য তিন থেকে চার কোটি টাকা করে। এ ছাড়া ক্যাসিনো জুয়ার টাকায় তিনি একটি হাউজিং কোম্পানি খুলে সেখানে বিনিয়োগ করেছেন প্রায় ১০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এখন শত কোটি টাকার মালিক ক্যাসিনো সোহেল।

এবিষয়ে আইন সহায়তা কেন্দ্রের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিষ্টার শাহীন আলম জানতে চাইলে তিনি সিটিজি লাইভ”কে বলেন,আইনের দৃষ্টিতে জুয়া খেলা শুধু একটিমাত্র শাস্তি মূলক অপরাধ হলেও এটিকে ঘিরে আরও অনেক অপরাধের জন্ম হচ্ছে। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি থেকে শুরু করে পারিবারিক সহিংসতা এবং সামাজিক অস্থিরতা তৈরির নেপথ্যে জুয়া অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন

সম্প্রতি সময়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ বলেন ,অপরাধ ধনী ও দরিদ্রের ক্ষেত্রে সমান। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে- কারও সঙ্গে বৈষম্য করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি মনে রাখতে হবে। আদালত আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের মাধ্যমে শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো উচিত। আদালত প্রত্যাশা করেন, সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।মহানগর এলাকায় জুয়া খেলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ দেন স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এখন যদি কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এই আদেশ পালন না করে তার নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্য জুয়ার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে থাকে তাহলে তার স্বার্থের জন্য দেশের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগকে অপমান করেছেন ।

এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে অবশ্যই জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে এবিষয়ে জানতে খেলাঘর মাঠের সভাপতি স্থানীয় কাউন্সিলর শামীম হাসান এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!