২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৮:২৪ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নেছারাবাদ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারি অামিনুল ইসলামের বরিশালে পাঁচতলা বাড়ি ও তার ব্যাংকের বেতন হিসাবে কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) বরাবর এই অফিস সহকারির অনিয়ম দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ তদন্তে গেলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।
বরিশালের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের পিছনে আমতলা মোড় সংলগ্ন ওসমান সড়কের বিলাসবহুল পাঁচতলা ভবন তালুকদার ভিলার মালিক তিনি, ২০১১-২০১৬সাল পর্যন্ত সোনালি ব্যাংকে তার পরিচালিত হিসাব নম্বর ১০০০১১১৫৫ এ এক কোটি ছয় হাজার সাত শত একাশি টাকা জমা।
অত্র অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক প্রশাসন খান মোঃ রেজাউল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানা গেছে, একই কার্যালয়ের সহকারি পঃপঃ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এই অফিস সহকারির সহায়তায় জাল স্মারকের মাধ্যমে জাল প্রজ্ঞাপন তৈরী করে নেছারাবাদ উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করায় তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।
দীর্ঘ ২২ বছর ধরে একই অফিসে কর্মরত অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম দুলালের ব্যাপারে সোহাগদল এফডব্লিউসি’র স্যাকমো মাহফুজা বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কোন খরচ দেওয়া হয়না। ২০১১ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত আমাদের বেতনের একটা অংশ আমিনুল ইসলাম আত্নস্যাত করেছিল যা সোনালী ব্যাংকের তৎকালিন ম্যানেজার তার বেতন হিসাবে অত্যাধিক টাকা লেনদেন দেখে তদন্তে আসলে বেরিয়ে আসে। সে ঘটনায় দুলাল দোষ স্বীকার করে আমাদের টাকা ফেরত দিয়েছিল। শ্রান্তী ভাতার টাকা তুলে তাকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়।
সুটিয়াকাঠী এফডব্লিউসি’র এফডব্লিউভি শিরিন সুলতানা বলেন, আমাদের যত ভাউচার বিল রয়েছে তার সব বিলের শতকরা ত্রিশ ভাগ দুলালকে দিয়ে আসি একাউন্সসহ অন্যান্য অফিসারদের যেটা দেওয়া দরকার সে দেয়।
মাঠকর্মীদের টাকা আত্নস্যাতের বিষয়ে তৎকালিন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অাবু বকর অাকন বলেন, ওই সময় দুলাল কর্মীদের বেতনের টাকার খুচরা অংশ আত্নস্যাৎ করেছিল যা সে স্বীকার করে রিফান্ড করায় প্রাথমিক ভাবে তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম দুলাল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চাকরির বাহিরে কোন ব্যবসা নেই উল্লেখ করে ব্যাংক হিসাবের লেনদেন তার নয় এবং বরিশালের আমতলা মোড় সংলগ্ন ওসমান সড়কের বিলাসবহুল ভবন তালুকদার ভিলার মালিক হওয়া সত্বেও তিনি সে ব্যপারে বলা জাবেনা বলে জানান।
২৪ মে ২০২২ তারিখ দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) এর বরাত দিয়ে এফপি, পিরোজপুর মোঃ শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমিনুল ইসলাম দুলালকে ৩০মে ২০২২ উপস্থিত থাকতে বলা হয়। দুদকে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে স্বাক্ষদানকারী ব্যক্তিরা স্বাক্ষও প্রদান করেন বলে জানা গেছে কিন্তু আজো আলোর মুখ দেখতে পায়নি সে তদন্ত প্রতিবেদন। এ বিষয়ে দুলালের সাথে বারবার যোগাযোগ করার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এমনকি ক্ষুদে বার্তার জবাব দেননি।
Leave a Reply