১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১১:১০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
বিজয় দত্ত:
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ১২নং আগলা ইউপির চর মধু চরিয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ খান ও ছালেহা খাতুনের ৩য় পুত্র শহিদুল ইসলাম খান বাবুল (বাবন) ওরফে হাত কাটা বাবন যুদ্ধ না করেই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সনদ, খেতাব, ভাতা সহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা পাওয়ার মত আলাদীনের চেরাগ পেয়েছে বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। এরূপ তথ্যের প্রেক্ষিতে আমাদের পত্রিকার একটি অনুসন্ধানী দল তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বসবাসরত গন্যমান্য মুরব্বী, দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, সম্মুখ যুদ্ধে অংশরত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ও কথিত মুক্তিযোদ্ধা হাতকাটা বাবনের প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায় উক্ত ধুরন্তর শহিদুল ইসলাম বাবুল (বাবন) ওরফে হাতকাটা বাবন কখনো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন নাই এবং মুক্তিযুদ্ধে গমনও করেন নাই। যে লোক স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে ডাকাতি ও লোটপাটে ব্যাস্ত ছিল, সে লোক কি করে মুক্তিযোদ্ধা হয়? এলাকাবাসী আমাদের প্রতিনিধিকে ক্ষোভের সাথে প্রশ্ন করেন, আমরা কোন দেশে, কোন সমাজে বাস করছি? এদেশে ভালো কিছু দেখার মত কেউ আছেন কি?
তথ্য সংগ্রহে আরো জানা যায়, হাতকাটা বাবনের ৪র্থ পুত্র তারিকুল ইসলাম খান (তপু) পরিচালিত একটি ব্যাটারীর দোকান চুরাইন আদর্শ ডিগ্রী কলেজ এলাকায় রয়েছে। উক্ত তপুর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি সন্ত্রাসী চক্র যা এলাকায় হাফপ্যান্ট বাহিনী নামে পরিচিত। এই হাফপ্যান্ট বাহিনীর এলাকায় রয়েছে এক বিশাল আধিপত্ত। এদের ভয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার ও গন্যমান্য মুরব্বীরা পর্যন্ত কথা বলতে পারে না। কারন এরা কাউকে মানে না। কথা একটাই বড় ভাই কামরুল ইসলাম খান বাংলাদেশ সচিবালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব। কোন সমস্যা হলে তিনিই মুক্ত করবেন। আরো জানা যায় সাবেক এমপি আতা খানের বোন মনোয়ারা বেগম (দধি) কে যে জায়গায় কবরস্থ করা হয়েছে সেই জায়গা জবর দখল করার জন্য কবরটিকে ধ্বংস করার পর হাড্ডিগুলো ইচ্ছামতি নদীতে ফেলে দিয়েছে উক্ত হাতকাটা প্রতারক মুক্তিযোদ্ধা বাবন। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় শহিদুল ইসলাম বাবনের বড় ভাই আঃ সালাম কে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে সু-কৌশলে ১৯৭৭ সালে পুলিশকে ম্যানেজ করেছে। তার এক ব্যাটারীর দোকানের কর্মচারী শামসুলকে বৈদ্যুতিক শর্ট দিয়ে কি কেলেঙ্কারী করেছে তার ফিরিস্থিও রয়েছে যা আগামী দিনে প্রকাশিত হবে। সর্বমহলে প্রশ্ন একটাই অবুঝ শিশু রেখে বাবার মৃত্যু হলে দাদা ও চাচাদের সাথে থেকে যে হাতকাটা বাবন মানুষ হলো, সে কি করে ঢাকার অভিজাত্য এলাকায় বাড়ী করে যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। গ্রামের বাড়ীতে বিশাল সহায় সম্পত্তি রয়েছে যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। ছেলেদের ইংল্যান্ডে লেখা পড়া করানো, বিসিএস ক্যাডার পর্যায়ে শিক্ষিত করে সরকারী চাকুরী, তাও আবার সিনিয়র সহকারী সচিব। বর্তমানে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষনা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান একান্ত সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। এত কিছু অর্জনের ক্ষেত্রে তো মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। এ টাকার উৎস কোথায় থেকে? তার তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়ালের আকৃতি, প্রকৃতি ও রূপরেখা। এ বিষয়ে আরো জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আরো ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ চলছে।
নবাবগঞ্জে মামলাবাগ মুক্তিযোদ্ধা!! রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ !! সোনার দোকানে ডাকাতিকালে পুলিশের গুলিতে হাত কাটা সচিবালয়ে কর্মরত পুত্রের তদবীরে বনে গেল বীর মুক্তিযোদ্ধা
স্টাফ রির্পোটার: ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন আগলা ইইনিয়নের চর মধু
চরিসা গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ খান ও ছালেহা খাতুনের ৩য় সন্তান শহিদুল ইসলাম বাবুল (বাবন) ওরফে হাতকাটা বাবন নামের এক অসাধু মুক্তিযোদ্ধার আপত্তিকর তথ্য পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিনিধি তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকাবাসীসহ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ডিপুটি কমান্ডারগণের সাথে কথা বলে জানতে পায়, উক্ত শহিদুল ইসলাম বাবুল (বাবন) ওরফে হাতকাটা বাবন মুক্তিযোদ্ধা নয়। সে মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন সময়ে একটি ব্যাটারির দোকানে চাকুরী করতো। ২৮ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাত কালে পুলিশের গুলি হাতে লেগে গুরুতর আহত হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সিকিৎক তার হাত কেটে ফেলে। তখন পাক সৈনিকরা হাসপাতালে কে কি কারণে ভর্তি হয়েছে মর্মে তদন্ত করে। অপরাধ কাজে আহত হলে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হয়। এটা জেনেই হাসপাতালের চাদর গায়ে দিয়েই পালিয়ে আসে এলাকার উক্ত শহিদুল ইসলাম বাবুল (বাবন) ওরফে হাতকাটা বাবন। যার জনশ্রুতি রয়েছে এলাকায় ব্যপক হারে। এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, এই শহিদুল ইসলাম বাবুল (বাবন) ওরফে হাতকাটা বাবনের ০৫ পুত্র সন্তান রয়েছে। ১ম সন্তান লন্ডনে লেখাপড়া শেষে স্থায়ীভাবে লন্ডনেই বসবাস করছে, ২য় পুত্র কামরুল ইসলাম খান বাংলাধেশ জ্বালানী ও বিদ্যুৎ গভেষনা কাউন্সিলের চেয়ার ম্যানের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদে কর্মরত। এর সুবাদে নানাবিধ তদবীরের মাধ্যমে ডাকাতি করতে গিয়ে ডাকাত না হয়ে, এলাকার নিরিহ মানুষের নামে মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা করে মামলাবাজ না হয়ে জায়গা জমির জবর দখল করে দখলবাজ না হয়ে চমক পদ ভাবে হয়ে গেল বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার গেজেট নং প্রকাশ হয় ৮ মে ২০২২ইং সালে। গেজেট নং ৩৯৮৪। তথ্য সংগ্রহে আরো জানা যায় মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নবাবগঞ্জের থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন বেনু খালীর বাসিন্দা বদিউজ জামান বদু। বদু কমান্ডারের নিকট সনদ আনতে গেলে বদু পদাঘাত করবে বলে তারিয়ে দেন এবং বলেন তমি কিসের মুক্তিযোদ্ধা, তুমি মুক্তিযুদ্ধে কখনো অংশ নিয়েছ? উত্তর না দিতে পারলে নানাবিধ গাল মন্দ করেন। তার পরের কমান্ডার আলগীর চর এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন দিলু এবং ডিপুটি কমান্ডার হলো বিরু খালির বাসিন্দা মোশারফ খান, তাদের কাছে সনদ চাইতে গেলে তারা বলেন আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে তাদের সনদ দেই। কোনো ডাকাতকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেই না। বর্তমানে নবাবগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হলেন আবু বকর সিদ্দিকি। তিনি বলেন শহিদুল ইসলাম বাবুল (বাবন) কখনো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। সে মুক্তিযোদ্ধা হওয়া মানেই হলো আলাদীনের চেরাগ পাওয়া এটা কি করে সম্ভব। শহিদু ইসলাম বাবুল (বাবন) ওরফে হাতকাটা বাবনের রিরুদ্ধে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানায় চরচরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মজিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি জিডি দায়ের করেন। যার জিডি নং- ৪৬, তারিখ- ১৩/০২/১৯৯৭ ইং। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হবার পর শুনি উক্ত বাবন খ্যাতিয়নান পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা হয়ে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা বা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহন করে রাষ্ট্রীয় বা সরকারী কোষাগারের টাকা আত্মসাৎ করছে। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা জেলা প্রশাসক, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে এলাকাবাসীসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা, এ বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ চলছে।
Leave a Reply