৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১২:৫০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মিলন মোল্লা ও তার একান্ত সহযোগী বাগেরহাট জেলার বিশিষ্ট ইয়াবা ব্যাবসায়ী সাত্তার মোল্লা ও মিলনের একমাত্র পাটনার রুবেল ইসলাম ওরফে জুয়েল মিলে গুলশান ১ এর এভিনিউ রোডে ২৫ নং হাউজের লিফটের ২য় তলায় গড়ে তোলেছে যৌন ব্যবসার নিষিদ্ধ কারবার। শুধু যৌন ব্যবসা নয় তাদের এই আস্তানায় সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় মদ, গাজা, ইয়াবা ও জুয়ার রমরমা আসর। গুলশান ১ এর এভিনিউ ২৫ নং হাউজের লিফটের ২য় তলায় আলোচিত মিলন মোল্লা, সাত্তার ও জুয়েল মিলে গড়ে তোলেছে এ আস্তানা। কিছুদিন আগেই মিলনের একান্ত সহযোগী সাত্তার মোল্লা যাত্রাবাড়ী থানায় কয়েক হাজার ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়, যেই মামলা এখনো চলমান, জেল থেকে বের হয়েই মিলনের সহযোগিতায় ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান ১ এর ২৫ নং হাউজে পুলিশের নাকের ডগায় দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এ আস্তানা গড়ে তুলেছে, অভিজাত এই এলাকাতে অনেকটা অবাধেই স্পার এর নামে এই ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ব্যাপারে মুখ খুললেই তাদের হয়রানি, মারধর এবং ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়, তারা প্রকাশ্য দিবালোকে বলে বেড়াই পুলিশ, সাংবাদিক, মহল্লা সবকিছু ম্যানেজ করেই আমরা ব্যবসা করি যে কথা বলবে সেই হয়রানির শিকার হবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে আঙ্গুল দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা এবং জুয়ার এই কারবার চালিয়ে আসছে। স্পা সেন্টারের আড়ালে তারা মূলত নিষিদ্ধ মদ, যৌন ব্যবসা, ইয়াবা ব্যাবসা ও জুয়ার মত নিষিদ্ধ অপকর্ম চালায়।
জানা যায়, স্পা পার্লারের কাজের নাম করে বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোরী তরুণীদের তার আস্তানায় আনা হয়। এবং প্রথমে স্পা এর মধ্যে মিলনের একান্ত কক্ষে একত্রে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে এক পর্যায়ে লোক লজ্জার ভয়ে মেয়েরা কোথাও মুখ না খুলে বাধ্য হয়ে যৌন ব্যবসায় লিপ্ত হয়। এছাড়াও রুমের মধ্যে গোপন ক্যামেরায় কাস্টমারদের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করা হয়। এবং মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হয়। অনেকে লোকলজ্জা মানসম্মানের ভয়ে থানায় বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অভিযোগও দেয়না। দীর্ঘদিন থেকে তারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, গুলশান ১ এর ব্যস্ততম এলাকায় কি করে এমন অবাধে চলছে যৌন ব্যবসা ও ক্যাসিনো জুয়া এটি নিয়েই প্রশ্ন তোলেছেন অনেকেই।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি এখানে তারা কি প্রতিষ্ঠান দিয়েছেন। পরে নানা বয়সী নারী ও পুরুষ যাতায়াতে তারা বুঝতে পারেন এখানে নারী ও পুরুষ দিয়ে নিষিদ্ধ যৌন ব্যবসা ও ক্যাসিনো চলছে।
তারা বলেন, এই ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই পুলিশসহ অন্যান্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই করতে হয় সেহেতু লোকজন ভয়ে আর কিছু বলেননি।
জানা যায়, গুলশান ১ এর ২৫ নং হাউজের লিফটের ২য় তলায় তাজ মেরিয়ট বিল্ডিংয়ের তাদের আস্তানায় যৌন ব্যবসার পাশাপাশি মদ, ইয়াবা, ক্যাসিনোর আসর বসে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই আসর। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে এই আসরে যোগ দেয়। প্রকাশ্য ব্যস্ততম এলাকায় এ অধরনের অসামাজিক কার্যকালাপের জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply