1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. mursalin1982@gmail.com : Protiva Prokash : Protiva Prokash
  3. reporting.com.bd@gmail.com : news sb : news sb
  4. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  5. mahtabur0@gmail.com : Daily Sobuj Bangladsesh : Daily Sobuj Bangladsesh
  6. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
বিএনপিই এখন ভরসা,জনগণের আস্থা - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৩:১২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

বিএনপিই এখন ভরসা,জনগণের আস্থা

বিএনপিই এখন ভরসা,জনগণের আস্থা

মাহবুবুর রহমান:

৫ আগস্ট গণ অভ্যুথানের পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপরই  দেশের হাল ধরেন অন্তবর্তি সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সাথে পালিয়ে যান দলের শীর্ষ নেতারাও। এরপর থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড। ঐতিহ্যবাহি দলটি হারায় তাদের সংগ্রামী ঐতিহ্য। কি হতো যদি শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে পালিয়ে না যেতেন? হয়তো তিনি গ্রেফতার হতেন। কিন্তু বেচে যেতো আওয়ামী লীগ। মামলা মোকাবেলায় করতো সাথে থাকতো রাজপথে আন্দোলন। কিন্তু তা হয়নি। নেত্রী পালিয়ে গেছেন।
জুলাই আগস্ট গণ হত্যার দায় পড়ে হাসিনার উপর। গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। শুরু হয় হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার। এরপরই গেলো সপ্তাহে সামনে আসে জাতিসংঘের প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসাটা অনেকটাই কষ্টকর। অসম্ভবও বটে।
কারণ: আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন তৈরী হয়েছে নেতৃত্ব শুণ্যতা। শেখ হাসিনার প্রতি ঘৃণা। তার নেতাকর্মীরা এখন পলাতক। কারণ তারা জনগণের কাছে ঘৃণিত, ধিক্কিত। সাধারণ মানুষও বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা বা বঙ্গবন্ধু পরিবার এবার মাইনাসে পড়ে গেছে। নতুনভাবে ফিরে আসতে চাইলে আওয়ামী লীগকে আসতে হবে শেখ পরিবারের বলয়মুক্ত হয়ে। এক্ষেত্রে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ফিরে আসাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তার উপর তাদের কাধে আছে মানুষ হত্যার দায়। নতুন ভাবে ফিরে আসলেও তাদের মেনে নেবে জনগণ? এমন প্রশ্নটাও অবান্তর নয়।
আওয়ামী লীগেরসব অপকর্ম যায়েজ করে গেছে জাতীয় পার্টি। গেলো ৩টি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে যেভাবে সমর্থন করেছে তাতে দলটি এখন জনবিচ্ছিন্ন। কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারছে না জাতীয় পার্টি। আবার একথাও একেবারে অবান্তর নয় যে, হুসেন মাহুম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই  জাতীয় পার্টি এখন আঞ্চলিক দলে রুপান্তরিত হয়ে গেছে। রংপুর অঞ্চলে কিছু প্রভাব ছাড়া, সারাদেশে জাতীয় পার্টির অবস্থা এককথায় নেই বললেই চলে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটে আর যেসব দলগুলো আছে ভোটের হিসেবে তারা অনেকটাই নিস্প্রাণ। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ তা শরিক মহাজোটের ভোট সারাদেশে যদি ২০২৪ এর নির্বাচন ধরি তবে তা হবে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এর বেশী না। ধরে নেই ২০ শতাংশ ভোট আছে আওয়ামী রীগের নেতৃত্বে মহাজোটের। গনাভ্যুথানের পর সেই হিসেবে নিম্নমুখি।
গণ অভ্যুথানের পর রাজনীতিতে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠে জামায়াত ইসলামী। তাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টায়মত্ত দলটি। জরিপে দেখা যায়, জামায়াতের মোট ভোট আছে ৭ থেকে ১০ শতাংশ। গন অভ্যুথানে পর আরো যদি বাড়েও তবে তা ১৫ শতাংশের বেশী না। জামায়াতের রাজনীতিতে কিছু মানুষের আস্তা থাকলেও সেটা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়।
মহাজোট ও জামাত মিলিয়ে মোট ভোট ৩৫ শতাংশ। বাকী আছে আরো ৬৫ শতাংশ। এরমধ্যে ৫ শতাংশ ভোট আছে বড়দলের শরীক দলগুলো। বাকী এখনো ৬০ শতাংশ। এরমধ্যে ১৫ শতাংশ ভোট আছে ভাসমান ভোট। তারপরও আছে ৪৫ শতাংশ। ২ শতাংশ ভোট বাদ পড়বে ভোটারের পেশাগত কারণে। সবমিলিয়ে বিএনপির ভোট আছে ৪৩ শতাংশ।
তারমানে,এখনপর্যন্ত ৪৩ শতাংশ মানুষের আস্থায় আছে বিএনপি। গণ-অভ্যুথানের পর সেই সংখ্যা আরো বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে দ্বায়িত্বও। সাধারণ মানুষ মনে করে বিএনপি একমাত্র দল যার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশের বহুদলয়ি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে বিএনপিই এবার তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। এক্ষেত্রে বিএনপি যদি ভুল করে আর সেই ভুলে কারণে আবারো আওয়ামী লীগ রাজনীতি শুরু করে তবে তা হবে ভয়াবহ।
প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ ফিরে আসলে ফিরে আসবে আরো হিংস্র ও তান্ডবিক পন্থায়। দেশকে পরিণত করবে সন্ত্রাসের নগরি। রক্তে রঞ্জিত হবে মানচিত্র। যেমনটা হয়েছিলো সদ্যগত ২০২৪ সালে। তার ইঙ্গিত কিন্তু দিয়েছে শেখ হাসিনা। সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে, তারা বলে শেখের বেটি একটা খুনি। তিনি ফিরে আসলে কাউকেই রাখবে না। থাকবে না গণতন্ত্র। সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় সাধারণ মানুষ। যে কারণেই তাদের আস্থার ঠিকানা এখন বিএনপি।
বিএনপি যদি ভুল করে তার মাশুল গুনতে হবে পুরো জাতিকে। বিএনপি যদি ভুল করে তবে আবারো কবর রচনা হবে গণতন্ত্রের। সেই কাজটি করতে দেয়া যাবে না।
কিন্তু কোনোভাবেই আটকানো যাচ্ছে না বিএপির তৃণমুলকে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যারে বারবার নির্দেশের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না বিএনপি নেতাকর্মীদের চাদাবাজি ও দখলবাজিকে। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাড়াতে হবে দলকে।
কি করতে হবে বিএনপিকে? সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে। প্রচারণা চালাতে হবে, মানুষ হত্যার। তবেই সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের আসল রুপ ভুলে যাবে না। সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে বিভিন্ন আসনের আওয়ামী লীগের এমপিদের  দুর্নীতি ও অনিয়ম তথ্য। জানাতে হবে কেমন ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। জনগণের কতো টাকা তারা তসরুপ করেছেন। প্রতিহিংসা না করে এসব ছড়িয়ে দিলেই জনগণ জানতে পারবে কি করেছে। তখন তারাই বলছে, নো হাসিনা, নো আওয়ামী লীগ।
নো হাসিনা, নো আওয়ামী লীগ মানেই বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আরো বেড়ে যাওয়া। বেড়ে যাবে প্রত্যাশা। যে প্রত্যাশা ইতিমধ্যে বিরাজমান কোটি বাংলাদেশীর মনে। সারাদেশের মানুষ এখন মনে করে তাদের ভোটাধিকার আর গনতন্ত্র ফিরিয়ে আসবে তারেক রহমানের হাত ধরেই। তিনি বাংলাদেশের আগামীর রাষ্ট্রনায়ক। শুভকামনা তারেক রহমান আপনাকে আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রায়। © মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »