১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১০:৫৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
দুর্নীতি-অনিয়মে ডুবছে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কোটি কোটি টাকা লোপাট, অবৈধভাবে সাড়ে চারশ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, ভর্তি-বদলি বাণিজ্যসহ পাহাড়সমান অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) অডিটে গত ১১ বছরের এমন বহু দুর্নীতি-অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে আইডিয়াল। অডিটের তথ্য অনুযায়ী—এ অনিয়ম-দুর্নীতির নেপথ্যে গভর্নিং বডির সদস্যরা। দুর্নীতির ৯৫ শতাংশই ঘটেছে গভর্নিং বডির যোগসাজশে। বর্তমান সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। তবুও সেখানে নানা অনিয়ম ভর করেছে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অনেক ক্ষেত্রে সরকারের বিধি মানা হচ্ছে না। সরকারি নির্দেশনাও আমলে নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া গভর্নিং বডিতে রয়েছেন একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তি। যাদের নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা চলছে। যাতে মর্যাদা হারাচ্ছে রাজধানীর মতিঝিলের নামি এই প্রতিষ্ঠানটি।
গভর্নিং বডির এক সদস্যদের বিরুদ্ধে আরেক সদস্যকে হত্যার মামলাও চলছে। অন্য এক সদস্যের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্য পরিচালনার অভিযোগও জমা হয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে। তবে গত ২৩ সালে গভর্নিং বডির এক সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটিরই এক ছাত্রীকে বিয়ের বিষয়ে মামলা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ‘আমরা লজ্জার মধ্যে আছি। যেখানে গভর্নিং বডিই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, সেখানে গভর্নিং বডির মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’
প্রতিষ্ঠানটির নানা অনিয়মের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে উচ্চ আদালতও। গতবছর ২০২৩ সালে এক শুনানিতে উচ্চ আদালত মন্তব্য করেছেন, রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়। তাই এ প্রতিষ্ঠানকে সরকারি খাতে নেওয়া উচিত।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। রাজনৈতিক প্রভাবসহ নানা কারণে তাকে হত্যা করা হয়। যেটি এখন উচ্চ আদালতে তদন্তধীন রয়েছে।
মোঃ শাহাদাৎ ঢালী প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির প্রাথমিক শাখার সদস্য ছিলেন এবং বর্তমান প্রার্থী। তিনি সেফ আইডিয়াল স্কুল এবং সেফ এডুকেশন ফ্যামিলি কোচিং সেন্টারের চেয়ারম্যান। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রবাহিত করে তার পরিচালিত কোচিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, শাহাদাৎ ঢালীর মালিকানাধীন সেইফ কোচিং সেন্টারে প্রায় ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ করেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-অভিভাবকগণ। আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির অন্য সদস্যদের নিয়ে কোচিং সেন্টারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি যা তার ফেসবুক ওয়াল ঘাটলেই দেখা যায়। এই সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমা হয়েছে। এক নথিতে দেখা যায় ২০২৩ সালের শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র অনুযায়ী সহোদয়ের জমজ কোটায় নয় জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেন। এছাড়াও মতিঝিল এক নথি অনুযায়ী দেখাযায়, তার নিজ সাক্ষরিত ইংলিশ ভার্ষন থেকে ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার)ও বাংলা ভার্ষন ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) কলেজ শাখা ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) মুগদা ভার্ষন থেকে ৫০,০০০/-(হাজার) বনশ্রী ইংলিশ ভার্ষন ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) ও বাংলা ভার্ষন ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) ২০২২ শিক্ষাবর্ষে সাংবাৎসরিক পরিক্ষার সম্মানী এবং একাদশ শ্রেণীর ৫,০০০/-( পাঁচ হাজার) ভর্তির সম্মানী হিসেবে তুলেন। নথিতে আরও ১১ জনের নাম সেখানে যায় কিন্তু নিজ সাক্ষরিত সম্মানী তুলেন দাতা সদস্য খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, মাধ্যমিক শাখার অভিভাবক সদস্য অধ্যাপক মোঃ আমজাদ হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য আজিজা বেগম, কলেজ শাখার সাধারণ শিক্ষক সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান, স্কুল শাখার সাধারণ শিক্ষক সদস্য রোকুনুজ্জামান শেখ, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য ডাক্তার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সদস্য সচিব ফাওজিয়া রাশেদী।
একজন কোচিং ব্যবসায়ী হয়ে কিভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন কিভাবে এই বিষয়ে শাহাদাৎ ঢালীর সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইগুলো সব ভিত্তিহীন সরকার কোনো কোচিং সেন্টারকে অবৈধ্য ঘোষণা করেনাই কিংবা কোচিং সেন্টারের মালিক হয়ে বেসরকারি এমপি ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির নির্বাচন করা যাবে না এরকম কোন নীতিমালা নেই, আমরা সরকার কে ট্যাক্স দেই আমাদের লাইসেন্স আছে কিন্তু “মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিধানমালা-২০০৯ এর (১১) ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি নির্বাচনে প্রাপ্তির অযোগ্যতা (গ) তে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিরোধী বা ইহার সুনাম নষ্ট হয় এরূপ কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন অথবা কোনভাবে উহাতে সহায়তা প্রদান করেন” তাহলে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
তাকে নথি দেখালে তিনি সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন এগুলা আপনি বানিয়ে আনছেন আপনি কারও প্ররোচনায় আমার পেছনে লেগেছেন একপর্যায়ে ওই সাংবাদিকের টেলিভিশনের লাইসেন্স দেখতে চান এবং ভুয়া টিভি বলে আক্ষায়িত করেন, কিন্তু তিনি হয়তো জানেনই না যে গত নভেম্বরের ০৭ তারিখ ২০২১ সালে যে ১৪ টি আইপি টেলিভিশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ৭ নাম্বারের রাজধানী টেলিভিশন। সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলোর বিষয় একেরপর এক প্রশ্ন করতে থাকলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে রাগান্বিত হয়ে যান বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় শাহাদাৎ ঢালী। এছাড়াও শাহাদাৎ ঢালী শুধু কোচিং বাণিজ্যিই করেন না, তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি হয়ে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের,টেন্ডার বাণিজ্য,বাৎসরিক বনভোজনের নামে বাণিজ্য সহ লোক মাঝে শোনা যায় তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও ভালো নয় বলে অভিযোগ আছে! এই ধরনের একজন লোক গভর্নিং বডির নির্বাচনে নির্বাচিত হলে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি ছাড়া ভালো হবে কি?এমনটি প্রশ্ন সাধারণ অভিভাবকের, কর্তৃপক্ষের কাছে!
এবিষয় কথা হয় রোকুনুজ্জামান শেখ এর সাথে নথিপত্রের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো ভুয়া এগুলোর জন্য থানায় জিডি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে,তখন সাংবাদিক তার করা সাক্ষর নথি দেখিয়ে নকল সাক্ষর কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান কোনো উত্তর দিতে পারেননি। একপর্যায়ে তিনি বলেন অফিসিয়ালি আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান ব্যতীত কারও গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই কিন্তু তিনি সে সময়ই ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে ছিলেন ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডি নির্বাচনের বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে তিনি গিয়েছেন, যেটা সম্পূর্ন নিয়ম বহির্ভূত এবং সেটির দায়িত্ব শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান প্রধানের। ব্যাপার টা দাঁড়ালো তারাই নিয়ম করলেন তারাই নিয়ম ভাঙ্গলেন,আর নিয়ম শুধু গণমাধ্যম কর্মিদের জন্য।
সাবেক গভর্নিং বডি ও পদত্যাগ করার কারণে সকলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্কুলের একজন অভিভাবক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, ‘এখানে বড় সিন্ডিকেট রয়েছে। প্রভাবশালী একটি মহল এটি নিয়ন্ত্রণ করছে। যার মধ্যে রয়েছে সাবেক ও আগামী গভর্নিং বডির নির্বাচন করতে আশা প্রার্থীরা তারা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো কিছু করার চেয়ে তাদের নজর বেশি আখের গোছানোর দিকে। যারা আছেন বা যাদের একচ্ছত্র আধিপত্যে স্কুল চলছে, তারাই আবার আসবেন।
প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিতে সর্বশেষ পেরেক ঠুকেছেন গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ। সম্প্রতি ‘প্রলোভনের মাধ্যমে’ প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে বিয়ে করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ঐ ছাত্রীর বাবা এখন তার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্রীর বাবা উচ্চ আদালতে মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রীর বাবা বলেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজখবর নেওয়ার নামে তিনি ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছু দিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন।
এই মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয়েছিলো কলেজের অধ্যক্ষকে। ছাত্রীর বাবা বলেন, এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ কোনো সহযোগিতা করেননি, বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ২০২৩ সালের ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।
জিয়াউল কবীর নামে এক অভিভাবক বলেন, যে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির এত সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেখানে ভাবমূর্তি আর কী থাকবে। এর প্রধান দায় নিতে হবে গভর্নিং বডিকে।
প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক শিক্ষকই কথা বলেছেন। কিন্তু কেউ নাম পরিচয় প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না। এছাড়া আরও অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে সরকারের বিধি মানা হয় না। ইচ্ছেমতো শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ হয়। একজন সচিব সভাপতি থাকার কারণে গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না—এমনটাই মনে করেন অভিভাবকরা।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তর মাধ্যমিক উইং এর পরিচালক, প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, গভর্নিং বডির সদস্যদের সাংবাৎসরিক সম্মানী নেওয়ার কোন সুযোগ,নেই এটা শিক্ষকরা পেতে পারে,প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির কোনো সদস্য প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকার টেন্ডারের কাজ করতে পারবেন না। প্রতিষ্ঠানের সংস্কার অথবা কোন সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্য শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত নিয়ে রেজুলেশন করলেই হবে না অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অনুমতি লাগবে। কোন কোচিং ব্যবসায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থা এত সহজ করে দিয়েছেন, বলেছেন শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না ,মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
শিক্ষা কারিকুলাম চেঞ্জ করে এত সহজ করে দেওয়ার পরেও আমার মনে হয় না কোন কোচিং এর প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ে ১০-২০ জন কে নিয়ে বিশেষ ক্লাস নেওয়া যেতে পারে কিন্তু সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ড সব সময় আমরা কোচিং এর বিরুদ্ধে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজের সাথে লিপ্ত থাকে বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হবে এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বোর্ডের এর সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সাপ্তাহিক ছুটি থাকার কারনে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান এর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply