২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৮:৪১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বিমান বন্দর এলাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীকে ব্যাবসা করতে না দেওয়ার হুমকি দিয়েছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। তার এই হুমকির পেছনে অপর একজন ব্যবসায়ীর ইন্দনের অভিযোগ করেছেন ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট রুবেল মিয়া। অভিযোগে তিনি বলেন, তার অফিস কক্ষ ভাংচুর, সাতটি কম্পিউটার দুটি এসি খুলে নিয়ে বাকী মালামাল পুড়িয়ে দেয় তার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের ব্যবসায়ী। বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আসলামের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে হামলায় অংশগ্রহণকারীরা সবাই স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মী ও সিনথিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর কর্মচারী।
অভিযোগে জানাগেছে, বিএনপি নেতা আসলামের ছোট ভাই বিমানবন্দর যুবলীগ নেতা কাউছার ও সিনথিয়া ট্রেড এর কর্মচারী অপর যুবলীগ নেতা কাইয়ুম এর নেতৃত্বে সিএন্ডএফ এজেন্ট রুবেলের মালামাল লুটকরে নিয়ে যায় এবং তার স্টাফদের মারধরও করে। রুবেলকে বিমানবন্দরে ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না বলে একাধিক মাধ্যমে তদবিরও করছেন বিএনপি নেতা আসলাম। নিজের ব্যবসা পরিচলায় হুমকিতে আছেন জানিয়ে এজেন্ট রুবেন মিয়া বলেন, আমাকে বিমানবন্দরে ব্যবসা করতে দিবে না বলে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে। আমার আপন চাচা সিনথিয়া ট্রেড এর মালিক শাহজাহান ইতিপুর্বে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে আমার বিরুদ্ধে ২০ টির বেশী মামলা দেয়, হয়রানিমুলক এসব মামলায় আমি জেলও খাটি। এছাড়া অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায়। আল্লাহ অশেষ কৃপায় আমি এখনো বেচে আছি। বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে আমার চাচা সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির যুক্ত। এখন তিনি এবং স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে দিয়ে আমার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাকে এয়ারপোর্টে ব্যবসা করতে দিবে না বলে নানা হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি নিরাপত্তা হীনতায় আছি। এ বিষয়ে থানা লিখিত অভিযোগ করেছি আমি।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আসলামের বক্তব্য চাইলে ফোনে কোন কথা না বলে সামনে এসে কথা বলতে বলেন। পরে তিনি ফোন কেটে দেন।
বিমান বন্দর এলাকায় খোজ নিয়ে জানাগেছে, রুবেলের চাচা শাহজাহান ঢাকা কাস্টমস এর একজন প্রভাবশালী এজেন্ট। অনেকেই তাকে মাফিয়া বলেই চিনে। নিজের ব্যবসা ধরে রাখতে হেন কোন অপকর্ম নাই যা করে না। কাস্টমস এর কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে হাত করে পর্ণ্য খালাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয় শাহজাহান। যা ঢাকা কাস্টমস এ সবাই অবগত। এসব বিষয়ে সংবাদ করতে গিয়ে বিমান বন্দর এলাকায় অনেক সাংবাদিকও নাজেহাল হয়েছেন। এ বিষয়ে শাহজাহানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারো ব্যবসা বন্ধ করি নাই।
Leave a Reply