১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:০২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
পুলিশের ভেতরে ব্রোকার হিসেবে পরিচিত মিডিয়ার ডিএ তায়েব। নাটকে অভিনয়ও করেন ডিএ তায়েব। নাটকের পরিচিত মুখ এবং পুলিশ সদস্য ডিএ তায়েব একবার আনঅফিশিয়ালি মিডিয়ার এক ব্যক্তিকে বেনজির আহমেদ সম্পর্কে বলেছেন, হ্যান্ডসাম বেনজির স্যারের দুটো দুর্বলতা- নারী আর টাকা। উনার জীবনে নারীর অভাব হয়নি। একসময়ের চিত্রনায়িকা কেয়াকে অনেকদিন নিজের কব্জায় রেখেছেন বেনজির। অশ্লিল সিনেমার পরিচালক রাজু চৌধুরীর মাধ্যমে বেনজিরের সাথে পরিচয় হয় চিত্রনায়িকা কেয়ার। কেয়াকে পছন্দ করেন বেনজির। তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে কেয়ার সাথে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করতেন বেনজির। কেয়াকে বেনজির খাঁচাবন্দী করে ফেলেন।
বিশেষ সূত্র জানায়, কেয়া ছিল নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। পরিবারে অভাবের কারণে বেনজিরের খাঁচা থেকে বেরোতে পারেনি। সিনেমায় অভিনয়ের শখ ছিল তার। এটা বেনজিরের কানে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কেয়াকে মারধোর করেন। তাকে জীবননাশের হুমকি দেন। পরে কেয়া লুকিয়ে লুকিয়ে মিডিয়ার ব্যক্তিদের সাথে নতুন করে অভিনয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে। এই খবর আবার বেনজিরের কানে এলে কেয়ার উপর টর্চার বাড়িয়ে দেন বেনজির। তিনি কেয়াকে গুলশানের একটি বাসায় কলগার্ল সাজিয়ে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেন। বেচারী কেয়ার গায়ে কলগার্লের ট্রেডমার্ক লাগিয়ে দেন এই প্রবল ক্ষমতাবান ব্যক্তি। উনার ভয়ে কেয়ার মা প্রথমে জার্নালিস্টের কাছে ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। পরে তাকে অভয় দিলে তিনি বলেন,বেনজির কেয়াকে অভিনয় থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে এনে দিনের পর দিন নষ্ট করেছেন। তিনি মুখাবয়বে একজন ভদ্র পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু নারী আসক্তি তিনি ছাড়তে পারেননি।
কেয়াকে টিস্যু পেপার হিসেবে ব্যবহার করে গার্বেজ করে দেন। এবার তার চোখের পড়লো লাক্স ফটোসুন্দরী ও অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীমের উপর। মিম তার মা ছবি সাহার কাছে সোনার ডিম পাড়া হাঁস ছিলেন। বেনজিরের সাথে মিমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিনিময়ে বেনজির মিমের অনেক কাজ করে দিতেন। বিদেশে স্টেজ শো করতে গেলে মিমের পারিশ্রমিক বেশি থাকতো। কারণ মিমের পিছে বেনজিরের ছায়া ছিল সারাক্ষণ। মিমের গুলশানের বাসায় যাতায়াত করতেন বেনজির। এদিকে চতুরা মিম পাশাপাশি আরেকজনের সাথে কানেক্টেড ছিলেন। তিনি হচ্ছেন তোফায়েল আহমেদের আপন ভাগ্নে ভোলার প্রাক্তন পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান। তবে বেনজির জানতেন না মিম তার চোখ ফাঁকি দিয়ে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মেনটেইন করছেন।
ভোলায় জন্ম নেয়া মীম কলেজ পর্যন্ত পড়াশুনা করেন এই দ্বীপজেলাতে। পরে লাক্স সুপার স্টার হয়ে পাড়ি জমান কুমিল্লায়। কুমিল্লা তার বাবার বাড়ি। মিমের বাবা কলেজ শিক্ষক তিনি কুমিল্লায় থাকলেও প্রথমে মিম ও তার মা বোনসহ কল্যাণপুরে মামার বাড়িতে থাকতেন। এরপর মনিরুজ্জামান গুলশানে মিমকে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট উপহার দেন। কিন্তু বেনজির যখন মিমের কাছে আসা যাওয়া শুরু করেন তখন মনিরুজ্জামান বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।একদিন মিমের ফ্ল্যাটে দুজনের মুখোমুখি দেখা হয়ে যায়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত মনিরুজ্জামান বেনজিরের গালে কষে চড় মারেন। বেনজির তো রেগে আগুন। ফোন করে পুলিশ ফোর্স ডেকে নেন মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করার জন্য। আর মনিরুজ্জামানও তার পাওয়ারফুল মামা তোফায়েল আহমেদকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানান। তোফায়েল নাকি বেনজিরকে শাসান। তোফায়েলের থ্রেট খেয়ে দমে যান বেনজির।
বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট বেনজির আহমেদ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে বহু নিরীহ মানুষকে ক্রসফায়ারে দেয়ার অভিযোগ আছে। দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। মে মাসে তিনি গোপনে দেশত্যাগ করেন। মনে হচ্ছে পালিয়ে গিয়ে তিনি বেঁচে গেছেন। বিদেশে পাচার করা তার হাজার কোটি টাকা দেশে ফেরত আনা হোক। বেদখল করা সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক।
Leave a Reply