৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৮:৫২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
ইসমাইল হোসেন :
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চাকরির লোভে ঘুষের মাধ্যমে নিজেকে ভুয়া শ্রবণ প্রতিবন্ধী বানিয়ে বাগিয়ে নেন প্রতিবন্ধী কোটায় সরকারি চাকরি। বহুরূপী প্রতারক মোশাররফ হোসেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন। কোটায় সরকারি চাকরির লোভে ভুয়া প্রতিবন্ধী সেজে দেবিগঞ্জ সমাজসেবা অফিসার গোলাম আজমকে চার লক্ষ পচাত্তর হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে প্রতিবন্ধীর কার্ড করে নেন মোশারফ।
জানা যায়, মোশাররফ হোসেন রংপুরে কৃষি ডিপ্লোমাতে পড়াশোনার সময় মাঝে মাঝে গাজা সেবন করতঃ এই তথ্যট ওর রুমে গেলে দেখা যেত। ভুয়া প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি হওয়ার পরেও মদের বোতল নিয়ে পার্টিতে পেতে উঠেন মোশাররফ হোসেন। মোশাররফ হোসেনের প্রতারণার বিষয়টি তার নিজ এলাকাবাসীর কপালেও চিন্তার ভাজ পড়েছে। তার প্রাইমারি স্কুলের বন্ধু রতন এর কাছারি ঘরে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের গভীর রাতের ছবিগুলো বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মোশাররফ মাদকাসক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার একাধিক বন্ধু সূত্র ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রেমানন্দ (প্রতিবন্ধী) পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যায় মোশাররফ । প্রেমানন্দকে পরীক্ষা করানোর পরে কৌশলে মেডিকেল রিপোর্টে মোশারফের নাম দেওয়া হয় : মোঃ মোশারফ হোসেন। পিতা : হানিফ আলি ।মাতা: মোছা : রহিমন নেছা। গ্রাম: সূর্য দীঘল পাড়া, হাজরা ডাঙ্গা, দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়।
পরে মেডিকেল রিপোর্টটি, দেবীগঞ্জ সমাজ সেবা অফিসে জমা দেওয়ার পরে মোঃ মোশারফ হোসেনের নামে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কার্ড ইস্যু করা হয়। সমাজসেবা অফিসে প্রেমানন্দকে নিয়ে যাওয়া হয়নি, মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন নিজেই প্রেমানন্দ হয়ে কার্ডটি ইস্যু করেছে। তাই ছবির কোন প্রয়োজন হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানায়, মোশারফের ৮ থেকে ১০ বছর বয়স থেকে কানে কম শুনতে পারার তথ্যটি ভুয়া। আমরা কোনদিন দেখিনি ও শুনিওনি। কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত নিজের স্বার্থের জন্য এই প্রতারণা করেছে মোশারফ ।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হোননি।
চলবে……..
Leave a Reply