১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৫:২০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ জাহাজের মাস্টারশিপ পরীক্ষাকে বিতর্কিত করার জন্য একটি অসাধু মহল উঠেপড়ে লেগেছে। তারা গণমাধ্যম ও জনমনে মিথ্যা কথা রটিয়ে অধিদপ্তরকে বিতর্কিত ও ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিল করতে চাইছে। এই মহলটি দীর্ঘদিন যাবত কর্মকর্তাদের জিম্মি করে প্যাকেজ চুক্তিতে মাস্টাশীপ পরীক্ষায় পাশ বাণিজ্য চালিয়ে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করে আসছিলো।
সম্প্রতি চীফ নটিক্যাল অফিসার পদে ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করার পর পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ওই অসাধু মহলটির বাড়াভাতে ছাই পড়ে যায়। ফলে তারা কর্মকর্তাদের সাথে অনৈতিক যোগাযোগের সুযোগ হারিয়ে ফেলে। বন্ধ হয়ে যায় তাদের অবৈধ প্যাকেজ পাশ বাণিজ্য। ক্ষুব্ধ হয়ে তারা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের একটি প্রথম শ্রেণীর দৈনিকে এ সংক্রান্ত নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হলে জনমনে বিভ্রান্ত দেখা দেয়। বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, প্রকাশিত সংবাদটি আদৌ নির্ভরযোগ্য বা তথ্যভিত্তিক নয়। কেন না, বিদ্যমান ব্যবস্থায় মাস্টারশিপ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার কোন সুযোগ নেই।
জানাগেছে,নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে অভ্যন্তরীণ জাহাজের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির মাস্টারশিপ এবং ড্রাইভারশিপ (জাহাজচালক ও ইঞ্জিনচালকের যোগ্যতা নির্ধারণী) পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। প্রতিটি শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় প্রতি দুই মাস পর। গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় শ্রেণির মাস্টারশিপ পরীক্ষা। যার আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮১৬। এর মধ্যে এক দিনে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন ১ হাজার ৩২৫ জন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হন ৭১৭ জন।
সূত্রমতে, এক দিনে তিনশর বেশি প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার নজির নৌপরিবহন অধিদপ্তরে নেই। এ ক্ষেত্রে ইচ্ছুক প্রার্থীদের আবেদনপত্রই গ্রহণ করে না কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বলা হতো। প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের পাশাপাশি স্থান সংকুলানের অভাবের কারণেই এমনটি করত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিদ্যমান জনবল সংকটের মধ্যেই প্রার্থীজট কমাতে লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে রাজধানীর মতিঝিলের নৌ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের নিকটবর্তী ফকিরাপুলের ‘গাউছে পাক’ ভবনের একটি হলরুম ভাড়া করে সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাস্টারশিপ পরীক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, দুই বছরের করোনার কারণে এতদিন মাস্টারশিপ পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে প্রার্থীজট সৃষ্টি হয়েছিলো। এই কারণে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় হল ভাড়া করে এবার একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা নিতে হয়েছে। এতকরে দীর্ঘদিন যে সব প্রার্থীরা ঝুলে ছিলো তারা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। অন্য দিকে সরকারের অনেক বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। নৌখাতের বেকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হয়েছে। বিভ্রান্তকারীদের কোন প্রকার অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য তিনি সকল মহলের প্রতি আহবান জানান।
Leave a Reply