১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১১:১৮ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের মধ্যেও কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়াতে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না মাদক ব্যবসা।
বরং নতুন ব্যক্তিরা এ ব্যবসায় জড়াচ্ছেন। সরজমিনে অনুসন্ধান উঠে আসে মাদক ব্যবসায় কোটিপতির তালিকায় উঠে এসেছে নতুন নতুন নাম।
তার মধ্যে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা দ্বীন ইসলাম ও একই এলাকার পারভেজ নামের এক যুবকের নামও উঠে এসেছে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, দ্বীন ইসলাম – পারভেজ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ভারত থেকে মাদক এনে এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাড়িতে গোডাউন করে মজুদ করে রাখে।
তারা দুইজন নাগাইশে গড়ে তুলেছেন গাজাঁর ও মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারা দেশে মাদক পাচার করেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন দ্বীন ইসলাম একজন সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্ত্রান। সেও কৃষি কাজ করেন। এলাকার বিভিন্ন বিচার মজলিশেও দ্বীন ইসলাম একজন ভালো শালিসি বা বিচারক হিসাবে চিনেন। আসলে কি তাই?
সাংবাদিকের বিশ্লেষণে বের হয়ে আসলো তার আসল রূপ। সে এসবের আড়ালে মাদক ব্যবসার বড় সিন্ডিকেটের সদস্য। তবে তার মানে থানায় কোন মামলা নেই। মাদক বিক্রির টাকায় প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে ব্রাহ্মণপাড়ায় নির্মাণ করছেন রাজকীয় বাড়ি।
এলাকায় কিনেছেন জমি। ৮/১০ টি পুকুরে মাছ রয়েছে প্রায় কোটি টাকাও বেশি। মাদকের কালো টাকা সাদা করতে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গাচ্ছে। চলাফেরা করছে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ভিআইপিদের সাথে। এবিষয়ে তার বাড়িতে একাধিকভাবে খোঁজ করে পাওয়া যায় নি।
তবে ফোনে যোগাযোগ করে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার কিছু শক্র আমাকে সমাজের কাজে ছোট করতে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। পারভেজ কর্মজীবনেরশুরুতে ছিলো গার্মেন্টস কর্মী। পরে এলাকায় এসে বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে টাকা দার করে শুরু করেন মাছের ব্যবসা। নিজের ঘর থাকা সত্বেও সে বাড়ির পাশে একটি ইটের তৈরি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এলাকায় তার কয়েকটি গরুর মোটাতাজা করন ফার্ম ও রয়েছে। সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু কিনেছেন। নিয়ে ব্যবহার করেন প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার মোটরসাইকেল। প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করেন দামি ব্র্যান্ডের ফোন। তবে হঠাৎ তার এত পরিবর্তন লক্ষণীয়। চলাফেরা সত্যি অবাক করার মতো।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও এলাকার কিছু শালিসকেও তার পক্ষে নিয়ে আসেন। এবিষয়ে তার বাড়িতে একাধিকভাবে খোঁজ করে পাওয়া যায় নি। পরে জানা যায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। তবে তার মোবাইলে কল করার পর সাংবাদিক পরিচয় দিতেই সে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে সে আর কোন কল রিসিভ করেন নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও একজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, গাজাঁ ব্যবসার ওপর ভর করে পারভেজের পুরো পরিবারের ভাগ্য বদলে গেছে। কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার পাশাপাশি দামী মোটরসাইকেল ও প্রায় ২০ টি ও বেশি গরুর মালিক হয়েছেন তিনি। তদন্ত সূত্রে আরো জানা যায় পারভেজ গত কিছু দিন আগে গাজা সহ পুলিশের নিকট আটক হয়ে জামিনে আছে, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগও রয়েছে।পরবর্তীতে তদন্ত বিস্তারিত,………. আসছে।
Leave a Reply