৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৫:০১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোহাম্মদ মাসুদ:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক সার্জেন্ট ভুয়া মেজর পরিচয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে এক মাদরাসায় বিদেশি মুদ্রাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট/ ডাকাতি করতে গিয়ে এক সার্জেন্টসহ ৪ জন আটক হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টার দিকে কর্ণফুলীর উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর এলাকায় আলত্বাফিয়া ইয়াছিনিয়া আল এজাজ ইন্টারন্যাশাল ও এতিমখানায় মসজিদ ও দরবারে সোয়াদিকীনে এ ঘটনা ঘটে।
গতরাত ১১ টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন খোয়াজনগর এলাকায় আলত্বাফিয়া ইয়াছিনিয়া আল এজাজ ইন্টারন্যাশাল ও এতিমখানায় যৌথ বাহিনীর গোয়েন্দা পরিচয়ে ৯ জন লোক প্রবেশ করেন। তারা তল্লাশীর নামে এতিমখানার লোকজনকে অবরুদ্ধ করে নগদ ৩ তিন লক্ষ টাকা ও ৬ হাজার দেরহাম ও রিয়ালসহ প্রায় ৫ লাখ টাকা লুন্ঠন করেন।
গ্রেফতারকৃতরা ব্যক্তিরা হলেন-বিদুৎ দেব নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়। বাঁশখালী উপজেলার মাষ্টারপাড়ার নাপোড়া গ্রামের বিধান দেবের ছেলে বিদ্যুৎ দেব (৩৫)।
শরীষা বাড়ী জেলার পৌরসভার বলারদীয়ার গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল আনোয়ার (৪০)। বর্তমানে সে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পদে বায়েজিদ সেনানিবাসে কর্মরত।
কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা গ্রামের মৃত জামাল হোসেন এর ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৪৮) যিনি নিজেকে এক্স মেজর পরিচয় দেন ও চট্টগ্রাম ভূজপুর থানার পোদ্দারপাড়া গ্রামের দুলাল বাবুর ছেলে সুমন কান্তি দে (৪০)। পেশায় সে ড্রাইভার।
পরে মাইক্রো বাস যোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দহে হওয়ায় মাইক্রোবাস (চট্টমেট্রো-চ-১১-৬৮৯০) চালকসহ ৪ জনকে আটক করে গণধোলাই দেন। এরমধ্যে ৫ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের টহল টিম ও সেনাবাহিনীর টহল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃতদের হেফাজতে নেয়।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর লোকজন পুরো ঘটনাটি তদন্তে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হন, সোহেল আনোয়ার (ব্যক্তিগত নং-৪৫০২৬২২) সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পদে আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত বলে জানতে পারেন। পরে যথাযথ নিয়ম মেনে ক্যাপ্টেন মো. তাসলিম উল হাসান এর নিকট তাঁকে হস্তান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, ‘আটককৃতদের পরিচয় যাচাই-বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আল এজাজ ইন্টারন্যাশাল ও এতিমখানার পরিচালক মো. এজাজুর রহমান।
Leave a Reply