1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
মাগুরা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ভূয়া নাম ও সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:০২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

মাগুরা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ভূয়া নাম ও সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে

মাগুরা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ভূয়া নাম ও সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে

জাহাঙ্গীর আলম মাগুরা থেকে ফিরে॥
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ভুয়া নাম, সার্টিফিকেট ও সনদ দিয়ে দাইনার্স মাহফুজা খানম দিনা নামে একজনকে চাকরি পেতে মাগুরা জেলার সহকারী পরিবার পরিকল্পনা অফিসার, মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার আমতৈল গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে মাহফুজা খানম (দিনা) ১৯৮৪ সালের ১৫ ই জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। সে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে দাইনার্স হিসেবে চাকরি নিতে ভুয়া স্কুল সনদ, ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ ও ১০ বছর বয়স কম দেখিয়ে চাকরিতে নিয়োগ নিয়েছেন। চাকরি নিতে সে একই স্কুলকে ২ টা স্কুল ও স্কুলের প্রতিষ্ঠা তারিখ ২ বার ব্যবহার করেছেন। যার একটি জগদাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত ১৯৭৬ ইং এবং অপরটি জগদাল সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত ১৯৭০ সাল। এই স্কুল থেকে সে ভুয়া শিক্ষা সনদ সংগ্রহ করেন। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় মাহফুজা খানম দিনার সংগৃহীত দুইটি শিক্ষা সনদে একই শিক্ষকের দুইরকম স্বাক্ষর। এমনকি ডা: মো: মোক্তাদুর রহমানের স্বাক্ষর নকল করে ভুয়া শিক্ষা সনদ তৈরি করেছেন।
এ ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদকে উল্লেখ করা হয় তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত মাহফুজা খানম দিনার কাছে তার বয়স পরিবর্তনের কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করেনি বা তার কাছ থেকে কোন বিবৃতি ও নেননি এবং এ বিষয়ে তিনি নিজেও কোন মন্তব্য করেননি। মাহফুজার বিবাহের সময় নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা কাবিন নামা যাচাই করলেই সত্যতা পেতেন। কিন্তু, তিনি তা করেন নাই। মেয়ে কিভাবে ১৪ বছর বয়সে এসএসসি পাস করেছে যাচাই করেননি এবং কোন মন্তব্য করেননি। তদন্ত প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্যারায় উল্লেখ করেছেন, ডাক্তার আ, ন,ম মইনুল হোসেন, মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ -এফপি), মাগুরা সদর, মাগুরা বিবৃতি দেন যে, তার (মাহফুজা) জন্ম সনদ, শিক্ষা সনদ এবং অন্যান্য সনদসমূহ সঠিক আছে। প্রতিবেদনা দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় অভিযুক্ত -২ এ উল্লেখ করেছেন, প্রতারণা ও জালিয়াতি করে চাকরি পেতে মাহফুজা খানম দিনাকে সহযোগিতা করেছেন সম্পর্কে মো: দারুল আলম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাগুরা সদর, মাগুরা বিবৃতি দিয়েছেন যে, মাহফুজা খানম দিনা এর চাকরি প্রাপ্তির সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। জনাব পলাশ কুমার বিশ্বাস, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার, মোল্লাহাট, বাগেরহাট অভিযোগটি তদন্ত করেন। কিন্তু তিনি মোটা অংকের অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অর্থের কাছে নিজের নৈতিকতা ও আদর্শ বিক্রি করে অভিযোগের সঙ্গে দেয়া তথ্য প্রমানাদি এবং তদন্ত প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত নিবিড় পর্যালোচনা না করে তথ্য গোপন করে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে অভিযুক্তদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করে দুর্নীতিতে সহায়তা করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন / মন্তব্য পর্যালোচনা করলেই এর সত্যতা প্রমাণিত হবে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও বক্তব্য : তদন্ত প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্ঠা অভিযোগ ১ এ উল্লেখ করেছেন,( ক) ভুয়া স্কুলের নামে শিক্ষা সনদ সম্পর্কে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিবৃতি দেন যে, তিনি জগদল সম্মিলনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।( খ)মাগুরা সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ আব্দুর রহিম বলেছেন যে, জগদল মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে কোন বিদ্যালয় নেই তবে জগদল সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদর্শিত শিক্ষা সনদ দেখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন যে, উক্ত শিক্ষা সনদ সঠিক এবং উহা জগদল সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে দেওয়া হয়েছে।প্রমাণ হিসেবে সে যদি প্রকৃতপক্ষেই জগদল সম্মিলনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়( স্থাপিত ১৯৭০ ইং) এ পড়াশোনা করে থাকে তাহলে, সে কেন জগদল মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত ১৯৭৬ ইং) নামক ভুয়া স্কুলের নামের শিক্ষা সনদ দিয়ে ( সনদটি ২/৪/২০১১ তারিখে স্বাক্ষরিত) চাকরি নিয়েছে। আরো প্রমান হিসেবে জগদল সম্মিলনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত: ১৯৭০ ইং) এর নামে পুনরায় ভুয়া শিক্ষা সনদ তৈরির ঘটনাও জানাজানি হয়ে গেলে সে কেন পুনরায় ওই স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে প্রত্যয়ন এনেছে।

একজন তদন্ত কর্মকর্তা শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সনদ যাচাই না করে অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট মোল্লাহাট মেডিকেল অফিসার (এফপি) ও মাগুরা জেলা তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ কুমার বিশ্বাস অস্বীকার করে এড়িয়ে যান (চলবে)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!