১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১১:৩২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
।।রোস্তম মল্লিক।।
সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নের নব জাগরণ ঘটেছে। বাংলাদেশও সে ধারায় সমাসীন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নারীদের ভাগ্য উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে অন্ত:প্রাণ হয়ে কাজ করছেন। তিনি চান বাংলাদেশের নারীরা বিশ্বময় বিকশিত হোক। অর্থনৈতিক মুক্তিসহ নিজ নিজ প্রতিভার আলোয় আলোকিত করুক পৃথিবী ।
দেশের শাসন ব্যবস্থাসহ সকল স্তরে তারা অবদান রাখুক। আর সে কারণেই প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি তিনি নারীদেরকেও সুযোগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশের নারীরা আজ সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী, বিমান বাহিনীতে কাজ করছেন। জনপ্রশাসনেও তাদের বিস্তৃতি ঘটেছে। মন্ত্রী, সচিব, এমপি,জজ,ম্যাজিস্ট্রেট,ইন্জিনিয়ার,
শিক্ষক,সাংবাদিক,গবেষক,উদ্ভাবক, আইনজীবী, ডাক্তার,ইউএনও, রেল চালক,বিমানের পাইলট প্রভৃতি ক্ষেত্রে তারা আজ গতিময়।
জনপ্রতিনিধি হিসাবেও তাদের গুড পারফরম্যান্স পরিলক্ষিত। দেশ ও জনগনের সেবায় তারা ছুঁটে বেড়াচ্ছেন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। এমন কি বিদেশের মাটিতেও তারা প্রশংসনীয় কাজ করছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী জাগরণের এই যে ধারা চলছে সেটি বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল বিশেষভাবে তৎপর রয়েছে। তারা ধর্মীয় ফতোয়া দিয়ে নারীর সামগ্রিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চাইছে।
বিশেষ করে যে সব নারী রাজনীতিতে সক্রিয় তাদের পেছনে বাতাসের মত প্রবাহমান এই গোষ্ঠীটি। তারা চায় না নারীর উন্নয়ন বা নারী জাগরণ।
নারীর আত্মশক্তি সম্পর্কেও তারা অজ্ঞান। দেশ ও জনগনের সেবায় অবদান রাখার জন্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারী আসন বিন্যাস ও সংরক্ষিত করেছেন। যে কারণে নারীরাও আজ জনগনের ভোটে এমপি,মেয়র,চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে অবদানও রাখছেন।
কিন্তু একটি কুচক্রিমহল কিছুতেই নারী প্রগতির এই ধারাকে সহ্য করতে পারছেন না। তারা নারীর অগ্রযাত্রা রোধে নানা প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করছেন।
বিশেষ করে যে সব নারী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে গ্রামে গঞ্জে কাজ করছেন তাদের চরিত্রের ওপর কলংকের দাগ লাগিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তারা অনুধাবন করছেন না যে একজন নারীর অপমান মানে গোটা নারী জাতির অপমান।
ধর্মীয় অনুশাসনের ভুল ব্যাখ্যা করে তারা ফতোয়া জারির মাধ্যমে নারীর কুসুমাতীর্ণ পথে বাঁধার দেয়াল তুলে দিতে চাইছেন।
তাদের এহেন কর্মকাণ্ড আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হলেও তারা ভয় পাচ্ছেন না। নিজেকে সুরক্ষায় রেখে অন্যকে লেলিয়ে দিচ্ছেন সু কৌশলে।
তারা নারী জনপ্রতিনিধিদের সহ্যই করতে পারছেন না। তাইতো তাদের নামে নানা প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি সংবাদপত্র, গণমাধ্যম, সোস্যাল মিডিয়া বা ফেসবুকে আপত্তিকর সংবাদ ( কেচ্ছা কাহিনী) চিত্র প্রদর্শন বা স্ট্যাটাস লিখে তাদের মান সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন নারীর প্রগতিতে। তারা অবশ্যই দেশ ও জাতির জন্য হুমকি স্বরুপ ও ক্ষতিকারক। রাস্ট্রীয় উদ্যোগে আইনের আওতায় এনে এদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না নিলে এরা গোটা নারী সমাজের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
সম্প্রতি মাগুরা জেলার একজন নারী জনপ্রতিনিধি এ রকম নোংরা ঘটনার শিকার হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তাতেও তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী সংবাদপত্রে বা গণমাধ্যমে তার নামে নানা অপবাদ বা কুৎসা রটিয়ে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
জনমনে ছড়িয়ে দিচ্ছে মানহানীকর তথ্য।
তাদের নানা প্রকার হুমকি ও অপপ্রচারে ঐ নারী জনপ্রতিনিধি লজ্জায় তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে কর্মস্থলে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। দুর্বৃত্তরা ছায়ারমত তাকে অনুস্মরণ করছে।
এই নারী জনপ্রতিনিধি হলেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন। তাকে এলাকার কিছু শয়তান প্রকৃতির প্রভাবশালী লোক,নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমে মিথ্যা ও নোংরা সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করার হুমকি দিয়েছে। এখনো দিচ্ছে।
একজন নারী জনপ্রতিনিধির চরিত্র হনন করতে এরা সোস্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করার হুমকি দিয়ে তার ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব এবং জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।
একজন নারী জনপ্রতিনিধির সম্মান ও জান মাল রক্ষায় আমরা বিষয়টিতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply