1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১২:৫১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিসির শত অনিয়মের পরেও বহাল আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলমকে বগুড়ায় কান ধরে উঠবস! গোপালগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার রানা আটক মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে এগিয়ে আসুন – ডাঃ রাজ্জাক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুর্নীতির আখড়া ঝিনাইদহের আদম ব্যবসায়ী সজলের খপ্পরে নিঃশ্ব শত শত পরিবার ভূয়া মেজর অভিযানের নামে টাকা লুট, গ্রেফতার ৪ দেবিদ্বারে মসজিদে মসজিদে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়া ও বন্যার্তদের জন্য দোয়া মাহফিল চুয়াডাঙ্গায় লুটপাটের রাজপুত্র টগর,পাহাড় সমান অপকর্ম করেও  ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে!! সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

 

রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম)

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার তনকা দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রধান শিক্ষক একক দাপট খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন থেকে অনিয়ম দূর্নীতি করার কারণে দিন দিন ধ্বংসের দারপ্রান্তে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়টি রক্ষায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় , তনকা দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এমপিওভুক্ত হয় ১৯৮৪ সালে। শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫০জন। তবে ২ জন শিক্ষক এবং ২ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নৈশপ্রহরী ও অফিস সহায়ক  সংকট রয়েছে। এই শুন্যপদে সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গোপনে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে কয়েকলাখ টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক চপল। একজন প্রার্থীর টাকা ফেরতও দিয়েছেন।

এছাড়াও বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। একতলা বিশিষ্ট ৩ কক্ষের একটি ভবন থাকলেও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়েই চলছে পাঠদান। আর এতেই ফুসে উঠেছে অভিভাবক ও স্থানীয় সুশীল সমাজ। কারণ বিদ্যালয়ের নামে নিজস্ব জমি, পুকুর ও দোকান রয়েছে। সেগুলো থেকে বছরে গড়ে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা আয় হয়। এছাড়াও ছাত্রীদের সেশন, পরীক্ষা ও মাসিক বেতন বাবদ আয় রয়েছে। অভিভাবকদের প্রশ্ন এত আয় থাকার পরেও মেয়েরা জরাজীর্ণ ঘরে লেখাপড়া করছেন। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা চপলের একক আধিপত্য, দাপট এবং অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য।

অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা চপল গত দুই যুগে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা লুটপাট করেছেন। বিদ্যালয়ের নামে থাকা জমি নিজস্ব কব্জায় রেখেছেন যুগের পর যুগ। এছাড়াও নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এমনকি নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে জেল খেটেছেন প্রধান শিক্ষক চপল। হাজতবাস শেষে বিদ্যালয়ে ফিরে আবারও লুটপাট শুরু করেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে সাময়িক বহিষ্কার, পে-স্কেল না দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি ও কোণঠাসা করে রেখেছেন এই চপল। তার এই কর্মযজ্ঞে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কিছু সুবিধাবাদী জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

অভিভাবকরা জানান, চপল মাস্টার ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। মেয়েদের উপবৃত্তি করাতেও তাকে টাকা দিতে হয়। আশাপাশের বিদ্যালয়গুলো চাকচিক্য আর আমাদের এলাকার স্কুলের ঘর ভেঙে পড়ছে। সরকারি বরাদ্দ, স্কুলের আয়, সেশন পরীক্ষার ফি-সহ বিভিন্ন সময় আমরা যে টাকা দেই সেগুলো কোথায় যায়? কে খায়? প্রশাসন তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে। সঠিক তদন্ত হয় না, তারাও প্যাকেট হয়।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা(চপল) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের আয় কই? প্রমাণ দেন। পুকুর কত টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুকুর লিজ দেওয়ার সময় স্থানীয়রা বাইরের কাউকে আসতে দেয় না, এজন্য কম মূল্যে লিজ দিতে হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে আড়াই লাখ টাকায় পুকুর লিজ দেওয়া হয়েছে সেই টাকায় কি কি উন্নয়ন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিয়ম করলে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি বিষয়টি দেখবেন। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

তনকা দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি তসলিম উদ্দিন বলেন, স্কুলের নামে কিছু জমি, পুকুর ও দোকান রয়েছে এটা সত্য। সর্বশেষ পুকুর লিজের আড়াই লাখ টাকা জমা আছে। টাকা থাকার পরেও জরাজীর্ণ ক্লাসরুমে পাঠদান কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে সংস্কারের সিদ্ধান্ত  নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার  (ইউএনও) রকিবুল হাসান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »