২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:২৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানী মিরপুর কাফরুল থানার শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল সংলগ্ন হোটেল রাজধানী আবাসিক অবাধে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মালিকসহ ম্যানেজার সাইফুল কে এই মাদকসম্রাট সাইফুল? প্রশাসনের নাকের ডগায় নারীদের নিয়ে ওবাইদের দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকার অসংখ্য আবাসিক হোটেল চলছে দেহ ব্যবসা। বর্তমানে এই ব্যবসা মহাকার দারুন করছে , আর এইসব চলছে প্রশাসনের সামনে কিছু বলতেছে না। সুশীল সমাজের লোকজন বলে প্রশাসন যদি কিছু বলে তাহলে এসব অপকর্ম আমাদের এলাকায় থাকে না টাকার বিনিময় তারা চুপ করে আছে। এক শোরুম ব্যবসায়ী বলেন ,প্রশাসন কি ম্যানেজ করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা।
যৌনকর্মীর এক দালাল জানান, এইসব হোটেল থেকে প্রতিমাসের থানা পুলিশ পাচ্ছে মোটা অংকের টাকা। শুধু থানা পুলিশ না আরো বড় বড় লোক সাপ্তাহিক মাসিক চাঁদা নেন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ও নিয়মিত টাকা পায়। এই টাকা নিতে তারা হোটেলে যেতে হয় না কর্তৃপক্ষ টাকা তাদের হাতে পৌঁছে দেয়। গ্রামের সহজ সরল অপপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের দেহ ব্যবসা বাধ্য করানো অভিযোগ মিলছে হর হামেশাই। আমারে কেউ কেউ নিজের ইচ্ছা বেছে নিয়েছে এই পেশা। সাংবাদিকের সামনে কথা বলতে রাজি নয় এইসব হোটেল মালিকরা। এই দেহ ব্যবসার যদি এ পড়া অসহায় নারীরা জানালে তাদের জীবনে করুন কাহিনী। এদের অনেকেই অভাবে তাড়ানোর এসেছেন এই পেশায়। আমার অনেকেই নিজের অজান্তে জড়িয়ে পড়েছেন এইসব অসামাজিক কাজে। এক গোপন তথ্যভিত্তিতে জানা যায় এক নারীকে চাকরি দেওয়ার নামে, বলেন আমাকে শুধু দেহ ব্যবসা করতেই রাজি হতে বলেন পাশাপাশি মাদকসহ আমাকে সাপ্লাই ও এবং বহন করতে বলেন। একজন ক্ষত্রব সেজে মেয়ের কাছে গেলেই বলেন আমি আপনার সাথে ঘণ্টা থাকবো এক পর্যায়ে সাংবাদিক জানতে পারলেই সে চুপ থাকেন! তার কাছ থেকে করুন ইতিহাস শুনতে পান। রাজধানী মিরপুর থানার ৪০টি আবাসিক হোটেলের ভিতরে বেশি অসামাজিক ও মাদকের সরবরাহ কাজে নিয়োজিত এই রাজধানী হোটেলটি। মাদকের কেনাবেচা এবং সরবরাহ করে থাকেন ম্যানেজার এই সাইফুল। এক হোটেল দালাল বলেন সাইফুল মাঝে মাঝে নারী সাপ্লাই দেয় না সে মাদকের সাথে জড়িত প্রশাসন আসলে সে বলেন এখানে আমি শুধু একজন মেসি আর। প্রশ্নের চোখের সামনে চলে এসব মাদক ও দেহ ব্যবসা।
স্থানেদের অভিযোগ প্রশাসনের সামনে এইসব চললে প্রশাসন কিছু করছে না মাঝেমধ্যে লোক দেখানোর দুই একটি অভিযান চালায় উচ্ছেদ করার জন্য মূলত নয়। আমরা চাচ্ছি এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হোক। একটি ক্লিনিকের উপরে তিনতলায় এভাবে কিভাবে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে এটা খুব জানারও বিষয়। এ রাজধানী হোটেলের দুইটা একটা ক্লিনিক এখানে এক রূপে এসে বলেন আমি যা দেখেছি সেটা মুখের বাসায় বলতে পারছি না। কিভাবে ছেলে মেয়ে ওঠা নামা করে আর যে হাতে বোতল সিগারেট যে একটা হাঁটার তালা তালে দুলিয়ে দুলিয়ে নাচতেছে এটা কোন সমাজের নৈতিকতা বুঝি আমি হিমসিম খাচ্ছি।
এসব বিষয় শুনতে গিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান, এরমধ্যেই হোটেলের রুমের দিকে এগুলোতেই দেখা মেলে অল্প ও মধ্য বয়সী কয়েকজন সুন্দরী মেয়েকে। আর কিছু রুমে খরিদ্দারসহ অনেকেই শুয়ে আছেন, আবার কোন রুমে দেখা যায় ইয়াবা ও মদ পান করছে কয়েকজন। এদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেন এরা আমাদের ভিআইপি গেস্ট। অনেক বাঁধার মুখোমুখি যখন অনুসন্ধান টিম তখন মালিক ও ম্যানেজার সাইফুল রাজু , বলেন- আমরা পুলিশ প্রশাসন কে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে খোলামেলা ব্যবসা করি। আপনারা রিপোর্ট করে কিছুই করতে পারবেন না। জানা যায় এখানে দেশের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ও বিধবা নারীদের বিভিন্ন কাজের লোভ দেখিয়ে এখানে এনে তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে একটি শক্তিশালী দালাল চক্র। এ বিষয়ে অপরাধ সময়ের অনুসন্ধান কাফরুল থানায় ওসি তৈবুর রহমান বলেন অভিযান চলমান আছে। মাসোহারার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোন মাসোয়ারা নেওয়া হয় না। এছাড়াও আমার থানা এলাকায় এ ধরনের অসামাজিক কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসা চলতে দিব না, দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply