১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১২:১০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
টি টি পাড়া থেকে বাসাবো পর্যন্ত কমলাপুর আইসিডি এর পন্যবাহী লরি, কভার ভ্যান, লং ভেকেল, ট্রাক যুগ যুগ ধরে অবৈধ গাড়ি পার্কিং করে আসছিল।সাধারণ মানুষ যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকত। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান তার নির্দেশনায় ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ মইনুল হাসান তত্ত্বাবধানে ট্রাফিক সবুজবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাহিদ ফেরদৌস এর সহযোগিতায় টিআই পলাশ সরকার তার সঙ্গীয় সার্জেন্ট ও ট্রাফিক কনস্টেবল নিয়ে জোরালো অভিযান পরিচালনা করে রাস্তায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং উচ্ছেদ করেন। যুগ যুগ ধরে অবৈধ গাড়ী পার্কিং রাখা অবসান হলো। ইতিহাস তৈরি করলেন টি আই পলাশ সরকার। স্থানীয় এলাকাবাসী যানজট মুক্ত নগর পেলেন। সরজমিনে দেখা যায় মুগদা, বৌদ্ধ মন্দির, বাসাবো ও খিলগাঁও এলাকায় ১০ লক্ষ লোক বসবাস করে বেশিরভাগে লোক মতিঝিল ও কমলাপুর আইসিডিতে চাকরি করেন যার কারনে অফিসে আসা-যাওয়া ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকত।এখন আর অসহনীয় জ্যামে পড়ে থাকতে হয়না। এলাকাবাসী জানায়, টিটিপাড়ার টিআই পলাশ সরকার দেবদূতের মত অবৈধ গাড়ি পার্কিং উঠিয়ে যুগ যুগ ধরে রাখা অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করে ইতিহাস তৈরি করলেন। এলাকাবাসী টি আই পলাশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। মুগদা মানিকনগর বিশিষ্ট শিল্পপতি মো:শেখ সাহেব আলী তিনি জানান, যুগ যুগ ধরে অবৈধভাবে পার্কিং গাড়ি রাখা হতো হঠাৎ দুই মাস যাবত কোন গাড়ি রাস্তার ধারে পার্কিং করতে দেখা যাচ্ছে না। রাস্তায় যানযট না পেয়ে আমরা খুব খুশি। মুগদা ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম তিনি জানান অবৈধ গাড়ি পার্কিং থাকার কারণে সাধারণ জনগণ রাস্তার ফুটপাত দিয়ে মানুষ হেটে যেতে পারত না অনেক দুষ্টু ছেলেরা গাড়ি পার্কিং ফাকে দাঁড়িয়ে থেকে ছিনতাই নেশা গ্রহণ করে আসছিল পরিবেশ নোংরা করে রাখত। গাড়ি না থাকার কারণে সাধারণ জনগণ নির্ভয়ে গন্তব্য স্থানে যেতে পারতেছে।টিটিপাড়ার টিআই পলাশ সরকার তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ সম্মানিত নগরবাসীর স্বস্তি প্রদানের বদ্ধপরিকর। আমি কোন দেবদূত নই, আমি জনগণের সেবক, জনগণের সেবা করবো পাশে থাকবো। তবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান স্যার সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ায় মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগে মোহাম্মদ মইনুল হাসান স্যারের সঠিক সময় পরামর্শ দেওয়ায় ও আমার সহকর্মী সার্জেন্ট ও ট্রাফিক কনস্টেবল আমার সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করার কারণেই যুগ যুগ ধরে অবৈধ গাড়ী পার্কিং মুক্ত করতে পেরেছি। সহযোগিতা করেছেন আইসিডির শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক সমিতির সম্মানিত নেতৃবৃন্দ ।
Leave a Reply