২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ভোর ৫:০৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত (১৪ অক্টোবর) শনিবার ১৬ মাসের শিশু সোয়াদকে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে কর্ব্যরত চিকিৎসক ওষুধের পাশাপাশি নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য শিশুটিকে তার মা জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তখনকার কর্তব্যরত ইমরান হোসেন (এসএসিএমও) শিশু সোয়াদকে নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য ওয়ার্ডবয় জাকির হোসেনকে নির্দেশ দিলে জাকির ০.৫ সিসি ইপ্রাট্রোপিয়াম ব্রোমাইড (ইপ্রাটপ) এর মাধ্যমে সোয়াদসহ আরো কয়েকজন ঠান্ডা জনিত রুগীকে নেবুলাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
পরে ২৫ অক্টোবর টিকিট কেটে শিশু সোয়াদকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী জরুরি বিভাগে নিলে একই ব্যক্তিরা সোয়াদকে নেবুলাইজার প্রয়োগ করতে গেলে টেবিলে রাখা ওষুধের দিকে চোখ যায় সোয়াদের মায়ের। ওষুধের বোতলের মোড়কে লেখা মেয়াদে দেখে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ওষুধের মেয়াদ শেষ। তাৎক্ষনিক শিশুর চিকিৎসা না নিয়ে সঙ্কিত হয়ে পড়ে শিশুটির মা।
এ বিষয়ে ইমরান হোসেন (এসএসিএমও) এর নিকট সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ওষুধের মেয়াদ নেই মর্মে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোন বিষয়ে বক্তব্য দিতে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া দেওয়া নিষেধ। এ শিশু সোয়াদের মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাচ্চা বর্তমানে কিছুটা ভালো কিন্তু আমি ও আমার পরিবার শঙ্কিত।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়মা রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কর্তব্যরতদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply