1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
যে পাতা লিভারকে নষ্ট করে দিতে পারে - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:৫৪ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

যে পাতা লিভারকে নষ্ট করে দিতে পারে

যে পাতা লিভারকে নষ্ট করে দিতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার॥

গরম যায় যায়, শীত আসি আসি ভাব। এরইমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের শাক-সবজি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা যেটির, সেটির নাম ধনেপাতা। যদিও এখন দামে একটু চড়া, তবে স্বাদে অতুলনীয় এই ভেষজ পাতা। যেকোনো খাবারের স্বাদ বাড়াতে এটি অতুলনীয়।
ব্যাপক ব্যবহৃত সুস্বাদু ও সুপরিচিত ধনেপাতার অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। তবে আবার অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এই পাতা মারাত্মক সব বিপদের কারণও হতে পারে। একজন সুস্থ-সবল মানুষকে মুহূর্তে করে দিতে পারে কাহিল।
আসলে সব খাবারেরই কিছু না কিছু স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। সেটি খাওয়ারও কিন্তু মাত্রা আছে। বেশি খেয়ে ফেললে যেকোনো পুষ্টিকর খাবারও উপকারের বদলে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধনেপাতাও ব্যতিক্রম নয়। বেশি খেলে এই পাতাও মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।লিভারের ক্ষতি কওে অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রাšত করে। এছাড়া এটাতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। কিন্তু দেহের মধ্যে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতি করে।
প্রেসার লো করে দেয় অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে হৃৎপিন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। চিকিৎসকরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে অতিরিক্ত খেলে সেটা লো প্রেসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া এটি মাথাব্যথারও কারণ হতে পারে।
পেট খারাপ : স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে। কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা খেলে পাকস্থলীর হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে। এক গবেষণা বলছে, সপ্তাহে ২০০ গ্রামের বেশি ধনেপাতা খেলে তা গ্যাসের ব্যথা, পেটে ব্যথা, পেট ফোলা, বমি হওয়া এমনকি ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট বাড়ায়: শ্বাসকষ্টের রোগীদের ধনেপাতা খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেন চিকিৎসকরা। কেননা, এটি শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করে। যার ফলে ফুসফুসে অ্যাজমার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। শ্বাসকষ্টের রোগীরা ধনেপাতা খেলে ছোট ছোট নিঃশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয়।
বুকে ব্যথা: অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না, তা দীর্ঘস্থায়ীও করে। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম পরিমাণে ধনেপাতা খেতে পারেন।

ত্বকের সংবেদনশীলতা: ধনেপাতাতে মোটামুটিভাবে কিছু ঔষধি অ্যাসিডিক উপাদান থাকে, যা ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ত্বক ভিটামিন ‘কে’ থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ধনেপাতা ত্বকে ক্যানসারও তৈরি করে থাকে।

অ্যালার্জির সমস্যা: ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে অ্যালার্জি তৈরি হয়। এর ফলে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, র্যাশ ওঠা ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করে।

মুখ ব্যথা: অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার আর একটি ক্ষতিকর দিক হলো মুখে ব্যথা হওয়া। ধনেপাতায় বিভিন্ন এসিডিক উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে সংবেদনশীল করে থাকে। পাশাপাশি এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলা ব্যথা হওয়া। সারা মুখ লালও হয়ে যেতে পারে।

ভ্রূণের ক্ষতি: নারীদের গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়া ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধনেপাতাতে থাকা কিছু উপাদান নারীদের প্রজনন গ্রন্থির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে নারীদের বাচ্চাধারণ ক্ষমতা হৃাস পায়। বাচ্চাধারণ করলেও গর্ভকালীন ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

তাই ধনেপাতা আপনার যত সাধেরই হোক না কেন, বিপদ এড়াতে এর ব্যবহার সীমিত রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অনেক বাড়িতে প্রায় প্রতিটি খাবারেই এই পাতা মেশানো হয়। তাও আবার খুব বেশি পরিমাণে। বিপদ আসতে পারে তখনই।

সবা:স:মা-৪১/২৪

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!