৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:১১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নিজস্ব প্রতিবেদক॥
রাজথানীার পুরান ঢাকার মেয়ে যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতনে ঘরছাড়া স্বপ্না নামের এক গৃহবধূ। ১ বছরের সংসার টিকেনী বিচার চেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সংসার টিকাতে পারেননি। অবশেষে সংসার ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর সুমনের সাথে স্বপ্নার বিয়ে হয় কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মোজাম্মেল হকের ছেলে সুমনের সাথে সুমন পেশায় একজন ড্রাইভার যাত্রাবাড়ী আসনের বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের ভাইয়ের গাড়ী চালায় সে, বিএনপি ক্ষমতায় নেই বলে সে সুবিধা করতে পারেনী তাই এই বিয়ে করে মেয়ের বাবার কাছ থেকে যৌতুক নিয়ে ব্যবসা করবে এটাই তার পেশা মানে বিয়ে বানিজ্য আগেও সে একটি বিয়ে করেছে যা ৮ বছর সংসার করেছে। এখন সে নিশি নামের এক মেয়ের সাথে পরকিয়া করছে তাকে নাকি বিয়ে করবে।
দাম্পত্য জীবনের শুরুতে ভালো চললেও মাস না পেরোতেই সংসারে অভাব অনটন থাকায় স্বপ্না তার বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা টাকা ব্যবসার জন্য স্বামীকে এনে দেয়। ১মাস সংসার ভালো চললেও গত ১ বছর দাম্পত্য জীবন ভালো চলেনী যৌতুকের দাবিতে স্বামীর অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ওই গৃহবধূ।
তারপর দিন যত যেতে থাকে যৌতুকের দাবিতে তার ওপর বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। এক পর্যায়ে স্বামী বাড্ডা এলাকাকায় বাজারে তার ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারণ করার জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে আরও তিন লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এই টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়।
সম্প্রতি সে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় তিন লাখ টাকা না এনে দিলে স্বপ্নাকে আর সংসারে তুলবেনা এবং বেধড়ক মারপিট করতে থাকে প্রতিনিয়ত। এ ঘটনায় অসহ্য হয়ে অন্যত্র প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন স্বপ্না। যৌতুকের দাবিতে স্বামী কর্তৃক অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে পাড়া প্রতিবেশীর দ্বারস্থ হলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সামাজিক বিচার সালিশে যৌতুক ছাড়া তাকে আবারও স্বামীর সংসারে নিয়ে যেতে চাপ দেওয়া হলেও স্বামী তার পরিবারের লোকজন স্বপ্নাকে সংসারে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এদিকে স্বামীর কথামতো যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বপ্নাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকেই গত প্রায় ৬মাস যাবত বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন স্বপ্না । উল্টো যৌতুক লোভী স্বামী সুমন জনৈক ব্যবসায়িক পার্টনারকে দিয়ে স্বপ্না আত্মীয়স্বজনকে জড়িয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে বাবার বাড়িতে অসহায়ের মতো সংসার ছাড়া কেঁদে কেঁদে স্বপ্না দিনরাত কাটছে। জানতে চাইলে সংসার ছাড়া স্বপ্না বলেন, আমার একবার বিয়ে হয়েছে। আমি বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসার করতে চেয়েছি। কিন্তু যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি স্বামীর সংসারে ফিরতে চাই এবং অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাই। কিন্তু সে নারী লোভি সে কতটি বিয়ে করেছে তার কোন হিসেব নেই তার পুরো পরিবারটাই এমন যৌ্তুকের জন্য বিয়ে করে করে অসহায় মেয়েদের জীবন নষ্ট করে।
Leave a Reply