৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:২৮ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে।
হোটেল ব্যবসার নামে চলেছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু সময় পুলিশ এসে হোটেল গুলো বন্ধ করলেও ২/১ দিন যেতে না যেতেই তারা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে।
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, এখানে রয়েছে কয়েক ধরনের রমরমা ব্যবসা যদি কেউ এখানে মাদক সেবন করতে চায় তাদের জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা অফার, যেমন মেয়ে সাথে বসে মাদক সেবন করতে চাইলে দিবে হবে আলাদা ফ্রি যেমন একটি ইয়াবা ট্যাবলেট এর মূল্য দিতে হয় ১২শত থেকে ২ হাজার টাকা।আর মেয়ের সাথে আলদা রুম শেয়ার করতে হলে আরো দিতে হবে ৩/৪ হাজার এভাবেই তারা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে রয়েছে একটি বিশাল চক্র! এই চক্রের সদস্যগন বিভিন্ন সময় মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক এ উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীর যাওয়া আশা এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা প্রায়ই এখানে এসে রুম ভাড়া নিচ্ছে এভাবেই যুবসমাজ ধ্বংস করছে এই হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকের একটি বিশাল অসাধু চক্র।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে কিছু দোকানদার ও বাসের টিকিট কাউন্টারের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আমরা এখানে ব্যবসা করতে আসি আর এদের অসামাজিক কার্যকলাপ ও হট্টগোল লেগেই থাকে। মাঝেমধ্যে মনে হয় ব্যবসা ছেড়ে এখান থেকে চলে যাই। তারা আরো জানায়, স্হায়ীয় প্রশাসন এই হোটেল থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নিচ্ছেন তাই তারা কোন কোন সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন।
এই বিষয়ে এক ভুক্তভোগী রংপুরের আফজাল হোসেন নামের এক যুবক দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে জানান,আমি ঢাকায় একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম আমার কোন পরিচিত লোকের বাসা নেই বলে আমি আব্দুল্লাহপুরের হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে একটি রুম ভাড়া নেই, তবে রুমে ঢুকার সাথে সাথে একজন এসে বললেন, আপনার কি মেয়ে ও কোন মাদক লাগবে লাগলে বলেন লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি, আমি তাকে বললাম আমার কোন কিছুর দরকার নেই।
কিছু সময় পর একটি মেয়ে ও একটি ছেলে এসে রুমে নক দিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো তখন মেয়েটা আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলো আর ছেলে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে লাগলো, তারপর আমাকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে না হলে এগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দিবো আর যদি ইজ্জত বাঁচাতে চাও তাহলে ৫০ হাজার টাকা দেও। তারপর ভুক্তভোগী আফজাল বলেন আমি ইজ্জত সম্মানের ভয়ে বাড়ী থেকে বিকাশে টাকা এনে তাদের কে ২০ হাজার টাকা দিয়ে তারপর হোটেল থেকে ছাড়া পাই।
এই বিষয়ে হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক এর ম্যানেজার জাকিরের সাথে কথার বলার চিষ্টা করলেও তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে জাকির বলেন, সাংবাদিক পুলিশ পকেটে রেখেই আমরা ব্যবসা করি।
এই বিষয়ে, ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply