৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:৫২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
মাদকের আখড়া ও মিনি পতিতালয়ের ডিজিটাল ভার্সন স্পা সেন্টার নামক অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো। গত কিছু দিন ধরে এসকল অবৈধ স্পা সেন্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ ও তার প্রিন্ট ও অনলাইন কপি গুলশান থানা বরাবর প্রেরণ করা হলেও নিরব ভূমিকায় রয়েছে গুলশান থানা পুলিশ।
এসকল অবৈধ স্পা সেন্টারগুলোর কোনো ধরনের বৈধতা না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। ওপর দিকে সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছেন স্পা সেন্টারগুলোর মালিকেরা।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম নীতিরও কোনো তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন আবাসিক ভবনে অতি মুনাফার আশায় ভবনের মালিকেরা বাণিজ্যিক ফ্লোর হিসেবে ভাড়া প্রদান করছেন এসকল অবৈধ স্পা ব্যবসায়ীদের।
রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে প্রায় কত সংখ্যক এ সকল অবৈধ স্পা সেন্টার রয়েছে তার নেই কোনো সঠিক পরিসংখ্যানও। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসকল স্পা সেন্টারের ভিতরে অসামাজিক কার্যকলাপ এখন ওপেন সিক্রেট।
গত ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে রাজধানীর গুলশান-২ এর ৪৭নং রোডের ২৫নং আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেখানে অভিযান চালাতে গেলে দুই তরুণী ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। এর মধ্যে একজন মারা যান। ওই স্পা সেন্টার থেকে পরে সাতজনকে আটক করা হয়। এঘটনায় একটি মামলাও হয় স্পা সেন্টারের বিরুদ্ধে। কিছু দিন বন্ধ থাকলেও ফের ওই স্পা সেন্টারের কার্যক্রম চলছে দেদারসে। থেমে নেই সেই স্পা সেন্টার সহ গুলশানে অবস্থিত অন্যান্য স্পা সেন্টারের অবৈধ স্পা বাণিজ্য। জানা গেছে ঘটনার কয়েক মাস যেতে না যেতেই স্পা সেন্টারের মালিক শাহিনুর আক্তার পায়েল ও তার স্বামী হাসান স্পা নামক দেহব্যবসা চলমান রেখেছেন
ওপর দিকে বনানী থেকে একাধিক মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা মাথায় নিয়ে গুলশান-১ এর রোড নং-১৩০, বাড়ী নং-২৮ এ স্পা সেন্টারের নাম দিয়ে দেহ ও মাদকের রমরমা বাণিজ্য পরিচালনা করছেন আয়েশা সিদ্দিকা লাবণী (ওরফে ইভা)।
এছাড়াও একাধিক মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হওয়ার পরও বহাল তবীয়তে গুলশান-১ এর রোড নং-১৩১, বাড়ী নং-৬০/বি তে স্পা সেন্টারের নাম দিয়ে দেহ ও মাদকের রমরমা বাণিজ্য পরিচালনা করছেন রহিমা বেগম (ওরফে সুমনা, ওরফে সুলতানা) এবং তার স্বামী কখনো নাটকের পরিচালক আবার কখনো পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নারী পাচার চক্রের সদস্য এ কে হৃদয়। যার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন, নারী পাচারকারী চক্রের দালাল নুরুল ইসলাম নাহিদ (ওরফে নাবিল হাসান)।
গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলামকে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিবেদনের লিঙ্ক পাঠানো হয় তার মুঠোফোনে। মুঠোফোনের বার্তাটি দেখে তিনি আস্বস্ত করে ফিরতি বার্তায় লিখেন ‘ভাই ব্যবস্থা নিচ্ছি’ অথচ কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও অবৈধ স্পা সেন্টারগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেদারেসে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড চলমান। পরবর্তিতে ওসি মাজহারুল ইসলামকে একাধিকবার বার্তা পাঠালেও তিনি তার কোনো উত্তর দেননি।
এবিষয়ে এলাকার সচেতন নাগরীকেরা জানান, স্পা সেন্টারগুলোর ভিতরে বডি মাসাজের নামে অবাধে পতিতাবৃত্তি চলছে। পতিতাবৃত্তির পাশাপাশি এরা মাদকেরও যোগান দিয়ে থাকে। মরণব্যাধি সৃষ্টিকারী মদ, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক ও দেহ ব্যবসা চলে স্পা সেন্টারের নামে। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আশা করি এধরনের অবৈধ স্পা সেন্টারগুলো উচ্ছেদ করে আমাদের সন্তানদের আগামী ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলে তারা দায়িত্ববান ভূমিকা পালন করবেন।
Leave a Reply