১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৮:২৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ির মিরাজিবাগ এলাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রেখা খাতুন( ৪৫) নামে এক নারী প্রকাশ্য দেহব্যবসা, নারী পাচার এবং মাদককের ব্যবসার চলমান রেখেছেন। সরে জমিনে রেখা খাতুনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় রেখা খাতুনের মাদক দেহ ব্যবসা সহ নারী পাচারে প্রতিনিয়তো যাত্রাবাড়ি সহ আশে পাশের যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়ছে।
তার এই অবৈধ ব্যবসায়ের কারনে ছিন্তাই রাহাজানি সহ কিশোর অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রেখা খাতুনের ক্ষমতার দাপটে যাত্রাবাড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নিই বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় রেখা খাতুন কয়েকজন ক্ষমতাধর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ সহ স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সেল্টারে মরন নেশা ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, আফিন সহ সকল প্রকার মাদকের ব্যবসা, নিজ বাড়িতে মেয়ে রেকে দেহ ব্যবসা ও বিদেশে নারী পাচার দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছেন।
যাত্রাবাড়ি এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানান রেখা খাতুনের এই অবৈধ কর্মকান্ড স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, রেখা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে যুবসমাজকে হেরোইন ফেনসিডিল ইয়াবা গাজা সহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। এছাড়া বিদেশে নারী পাচার নিজ বাড়িতে মেয়ে রেখে দেহ ব্যবসা সহ বিভিন্ন প্রকার গুরুতর অপরাধের সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে ।
রেখা খাতুন যাত্রাবাড়ি এলাকাতে এতোটাই বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে তার ক্ষমতার দাপটে দিন দিন সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
যাত্রাবারি এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, “এখানে প্রতিদিন অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়। আমরা আতঙ্কে আছি এবং দ্রুত পুলিশি ব্যবস্থা চাই।”
এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী আব্দুল রাজ্জাক রাজ বলেন, বর্তমান সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে হলে রেখা খাতুনের মতো দেহ ব্যবসায়ি, মাদক ব্যবসায়ি সহ নারী পাচার চক্তের সদস্যদের যদি দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হয়,তা হলে বর্তমান যুব সমাজ দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে পরবে, তাই এই সমস্থ মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী, নারী পাচার কারির বিরুদ্ধে প্রশাসন যুবসমাজকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মনে করেন।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বলেন, “বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply