1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
রাজমিস্ত্রি সাঈদ মস্তবড় সাংবাদিক - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১১:৩৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
রাজমিস্ত্রি সাঈদ মস্তবড় সাংবাদিক

রাজমিস্ত্রি সাঈদ মস্তবড় সাংবাদিক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এক সময় রাজমিস্ত্রি সাঈদ বর্তমানে রাজধানীতে মস্তবড় সাংবাদিক। ক্যামেরা হাতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ভূমি অফিস, এমএলএম কোম্পানি, সিকিউরিটি ব্যবসা, হারবাল ওষুধ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কোট টাই পরে। একই ব্যাক্তি কখনো সাঈদ আবার কখনো নিজেকে ইমরান নামে পরিচয় দিচ্ছেন। সাথে আরো দুইজন সাংবাদিক পরিচয় ধারী ব্যক্তিকে দেখা যায়। তাদের একজন একটি পত্রিকার সাংবাদিক ও এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ভুল ভ্রান্তি খোঁজে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করাই এই চক্রের উদ্দেশ্য।

অথচ খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, এরা কেউই মাধ্যমিকের গণ্ডিও পার হয়নি। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে গিয়ে হোটেল মালিকদের কে ক্যামেরা দেখিয়ে ভয় দেখান এবং চাঁদা দাবি করে চাঁদা দিতে কেউ অস্বীকার করলে তোলেন ছবি নিউজ প্রকাশ হবে বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এমন অভিযোগ জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগের সূত্রে আমাদের এক অনুসন্ধানী টিম তাদের পরিচয় খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর কাহিনী। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ভিন্ন ইউনিভার্সিটি এবং কলেজ ছাত্রীদের কে টার্গেট করে নিয়ে আসেন এবং অপকর্মে জড়াবার জন্য জোরজবরদস্তি করতে থাকেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি’র এমন এক ছাত্রীর অভিযোগ অনুসন্ধানী টিমের কাছে আসেন এবং শপিং মল রেস্টুডেন্ট সিকিউরিটি কোম্পানি গুলোই চাকরি রত সুন্দরী মেয়েদেরকে সাংবাদিক বানাবে বলে ধাপে ধাপে কাউন্সিলিং করে দুই তিন জন মিলে তারপর তাদেরকে চাকরির প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে এসে অপকর্মের সাথে জড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় এক মেয়েকে নিয়ে আসলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব কথা সেই মেয়ে জানাই ।

আবার কখনো কখনো এরা থানা মেডিকেল ভুমি অফিস এবং বিভিন্ন এস্টানে দাঁড়িয়ে থেকে অসহায় লোকদেরকে টার্গেট করে। যারা দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন তাদেরকে আশ্বস্ত করার জন্য তাদের টিমের লোক ধাপে ধাপে দাঁড়িয়ে থাকে এক একজন এক এক সময় ভুক্তভোগীকে বুঝাতে থাকেন তাদের জমির সকল সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা আমাদের কাছে আছে তারা অনেক বড় মাপের সাংবাদিক। তারা চাইলে যে কোন কাজ নিমিষেই করে ফেলতে পারে। এসব বুঝিয়ে নিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা হয়ে যায় লাপাত্তা।
ভূমিহীন অসহায় দরিদ্র মানুষেরা যারা রাস্তার পাশে থাকে ফুটপাতে তাদেরকে টার্গেট করে বুঝায় যে সরকার ঘর দিচ্ছে আপনাদের কেও ঘর পাইয়ে দিব কিছু টাকা পয়সা খরচা করলেই আপনারাও পেয়ে যাবেন সরকারি ঘর থাকতে পারবেন স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপনে আর কোন সমস্যা হবে না।
যখনই ভূমিহীন মানুষেরা অনেক কষ্ট করে জমানো টাকা এবং ধার করে টাকা তাদের হাতে তুলে দেয় তখনই তারা উদয় হয়ে যায় টাকা নিয়ে।
এমনই এক বৃদ্ধ মহিলার কাছ থেকে জানা গেছে বয়স্ক ভাতার কাঠ করে দিবে বলে ২৫০০ টাকা নিয়েছে সাঈদ নামে ওই সাংবাদিক তারপর আর কখনো আমার সাথে দেখা করে নাই ভুক্তভোগী মহিলা জানায়।
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণমাধ্যমের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণা চলাচ্ছে। তারা পত্রিকায় খবর ছাপানোর ভয় দেখিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। অনেকে থানায় দালাল হিসেবে আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে মধ্যস্থতা করে থাকে। থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ এমন আসামির অভিভাবকদের কে আশ্বস্ত করে বলে আমাদের অনেক ক্ষমতা আছে টাকা দিলে ছারিয়ে দিব আমি আপনার স্বামী অথবা সন্তান আপনার আত্মীয়কে আমাদের সাথে খুব ভালো হাত আছে টাকা হলেই সব সম্ভব এসব বলে লোকদের কাছ থেকে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। মোটরসাইকেলের সামনে প্রেস স্টিকার ব্যবহার করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই বুয়া সাংবাদিক সাঈদ অথচ তার মোটরসাইকেলের নেই কোন বৈধ কাগজপত্র।
জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন নামে একটি সংগঠন খুলে বিভিন্ন সরকারি অফিসে অনুষ্ঠানের নাম করে বিভিন্ন সময় এবং তারিখে চাঁদা দাবি করে এমনই কিছু কাট আমাদের হাতে আসে তাতে দেখা যায় জুন মাসের ১ তারিখে অনুষ্ঠান ছিল ১০ তারিখে অনুষ্ঠান ছিল ১৬ তারিখে অনুষ্ঠান ছিল ২২ তারিখে অনুষ্ঠান ছিল এবং ২৭ তারিখে অনুষ্ঠান ছিল। আবার জুলাই মাসের ১ তারিখে অনুষ্ঠান ছিল। এই প্রতিষ্ঠানটি এভাবেই মাসের ভিতর ৩থেকে ৪ বার অথবা ৫ থেকে ৬বার প্রতিমাসে অনুষ্ঠান থাকে।
বিভিন্ন সরকারি অফিসে হাজার হাজার টাকার চাঁদা দাবি করে এবং তাদেরকে বলে আমাদের অনুষ্ঠানের জন্য আপনারা সাহায্য না করলে কে করবে অথচ খবর নিয়ে দেখা যায় প্রতি মাসেই দুই-তিনবার করে তাদের অনুষ্ঠান থাকে তাদের এই অফিস ঠিকানাও ভিন্ন কাটে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় দেওয়া কোন কাটে উত্তরা৬ নাম্বার সেক্টর আবার কোন কাটে উত্তর ৯ নম্বর সেক্টর আবার কোন কাটে সিদ্দিক বাজার দেওয়া আছে অফিস ঠিকানা।

এ সকল ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। অভিযানে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ডিসি জানান, অনেকে সাংবাদিক না হয়েও যানবাহনে প্রেস স্টিকার ব্যবহার করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধে জড়াচ্ছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত চাঁদাবাজি করছে সাংবাদিক নামধারী এই চক্র। নানা অপকর্ম করতে এসব ভুয়া সাংবাদিক নানা নামে সংগঠনও গড়ে তুলেছে। এমনই একটি সংগঠন ‘জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন ‘। এ ছাড়া রাজনীতে শত শত ভূইফোঁড় অনলাইন গণমাধ্যমের নামেও গড়ে উঠেছে সাইনবোর্ডসর্বস্ব সাংবাদিকদের নানা সংগঠন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা পুরো সাংবাদিক সমাজের জন্য মর্যাদাহানিকর। কোনো প্রতারক চক্র সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্ম করলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি বলেন, ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন সময় মাদকসহ ভুয়া সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে। এতে মূল ধারার সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারকের নানা অপতৎপরতায় থানা পুলিশ অতিষ্ঠ। থানায় অপরাধীদের হয়ে নানা তদবির করাই তাদের কাজ। এ ছাড়া এরা গলায় সাংবাদিক পরিচয়পত্র আর গাড়িতে ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে মাদক পাচার এমনকি রাজনৈতিক সহিংসতার সময় ককটেল ও বোমাও বহন করছে।

সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারক চক্র শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকার আইডি কার্ড বহনই নয়, বিভিন্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মূল ধারার বড় পত্রিকার সাংবাদিকও পরিচয় দেয়। তা ছাড়া ভূইফোঁড় পত্রিকা অফিসগুলো ‘সাংবাদিক পরিচয়পত্র’ও বিক্রি করে থাকে। এসব পরিচয়পত্র পকেটে রেখে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইলের সামনে ‘সাংবাদিক’ বা ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে ঘোরে একশ্রেণীর লোকজন।

রাজধানীর উত্তরা এলাকার একসময়ের রাজমিস্ত্রী্রী সাইদ নাকি এখন সাংবাদিক, মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরেলেও কয়েক বছর আগেও উত্তরা ও টঙ্গী এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো এখন সে নাকি ২/ ৩টি পত্রিকার আইডি কার্ড নিযে চাদাবাজিতে লিপ্ত, এক নারী সদস্য নিজের সমস্যার কথা বলে নিউজ করতে হবে জানিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে দেখা করে ফুসলিযে তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে এধরনের অভিযোগ রযেছে তার বিরুদ্ধে। সে দেশের সব পত্রিকায় নিউজ করাতে পারে এ বিষযে তার সাথে দেখ্ করতে চাইলে দু’দিন পর দেখা করতে বলেন। কয়টি পত্রিকায় খবর প্রকাশ করতে চান জিজ্ঞেস করে দু’দিন পর দেখা করতে বলেন ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দেওয়া সাইদ। তবে তার প্রতারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাইদ বলেন, ‘আপনি ভুল নম্বরে ফোন করেছেন। আমি সাংবাদিক নই। আমি সাধারন পাবলিক।’ তার মোবাইল নম্বরে একটু আগে কথা হলো জানালে তিনি ফোনটি কেটে দেন। জানা যায়, সাইদ নিজেকে ‘স্বাধীন সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেন।  কিন্তুু সেই পত্রিকার সম্পাদক বলেন এই প্রতারক আমার পত্রীকার কোন সাংবাদিক নয।

জানাযায বছরখানেক আগে প্রতারণার দায়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। ওই সময় তার কাছে ” একাধিক সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। স্থানীয় থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,উত্তরা ও টঙ্গী এলাকায় অন্তত দেড়শ’ ভুয়া সাংবাদিক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মধ্যে সাইদ, তৌহিদ, জামাল, জীবন, বাবুল, রবিউল, সিরাজ অন্যতম। এরা ওই এলাকার বিভিন্ন থানা, পাইকারি কাঁচা বাজার , মৎস্য বাজার, হোটেল, ফুটপাত, বাস কাউন্টার থেকে নানা কায়দায় সাংবাদিক পরিচয়ে টাকা তোলে। স্থানীয় থানা পুলিশের একশ্রেণীর কর্মকর্তার সঙ্গেও তাদের বেশ সখ্য রয়েছে। অনেকে পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করে। তাদের অনেকে এমপি, মন্ত্রী এবং পুলিশের আইজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বলে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে।

ঢাকা বিমানবন্দর ও উত্তরা এলাকায় এক ডজনের বেশি একটি চক্র সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকা চসে বেড়াচ্ছে। তারা কখনও গোয়েন্দা সদস্য ও থানা পুলিশের সোর্স হয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি করছে। আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাড়ি, বেকারি, কারখানা, ইজিবাইক পরিবহন, কমার্শিয়াল ব্যবসায়ী, আদম পাচারকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিচ্ছে চক্রটি। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে চক্রটির সখ্যতা রয়েছে।

স্থানীয় থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ‘ চিন্তা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সুজন নামের এক ব্যক্তি। অন্যদিকে সম্প্রতি উত্তরায় চাঁদাবাজির ঘটনায় বেশ কয়েকজন ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসী। উত্তরা পশ্চিম থানা ১৩ নম্বর সেক্টরে একটি বাড়িতে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ১১ ভুয়া সাংবাদিককে। পশ্চিম থানা পুলিশ জানায়, সাপ্তাহিক ‘এশিয়া বার্তা’ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ওই বাড়িতে চাঁদাবাজি করছিল তারা। এর আগে মুজিব নামে এক ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। চাঁদাবাজির মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি সে ছাড়া পেয়েছে।

অন্যদিকে জানাযায় এই সাঈদ দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদককে মামলার ভয় দেখাচ্ছে এমনকি পেলে যে কোন ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলেও হুমকি প্রদান করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!