১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:৫২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষকদের অনৈতিকতা, অপকর্ম, দুর্ব্যবহার, চারিত্রিক অবক্ষয় শুধু নয়, জালিয়াতি রয়েছে নিয়োগ নিয়েও। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চারুকলা অনুষদের প্রিন্ট মেকিং এর শিক্ষক বনি আদমের নিয়োগ হয়েছে অবৈধভাবে। গোপনে এবং নিয়োগ সার্কুলার ছাড়াই। ২০০৯ সালের ওই নিয়োগের সার্কুলার ছিলো প্রাচ্যকলা বিভাগের। সেই প্রাচ্যকলার পোস্টে বনি আদম এর নিয়োগ হয়েছে অবৈধভাবে, নিয়োগ জলিয়াতি করে। এক বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে অন্য বিষয়ে। যার ন্যূনতম যোগ্যতা ও নেই। এ ব্যাপারে ওই সময় অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আবেদন প্রার্থী মেহেদী হাসান জানান, আমি যখন জানলাম আমার বিভাগ প্রিন্ট মেকিং এ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে সার্কুলার ছাড়াই। আমি ইউজিসি চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করে জানিয়েছিলাম নিয়োগ জালিয়াটির বিষয়টা। ইউজিসি চেয়ারম্যান আমার সামনে ভিসিকে ফোন দিয়েছেন নিয়োগ জালিযয়াতি বিষয়ে জানতে।
তৎকালীন ভিসি এ বিষয়ে কোনো জবাব দিতে পারেননি। ভিসি আমাকে বললেন, তুমি আমার অফিস আসো একসময়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভিসির এর সাথে তার বাসায় দেখা করলাম…, ভিসি স্যার এর ভাষ্য ছিলো- “আমিতো আসলে জানতাম না চারুকলায় আলাদা আলাদা এতো সাবজেক্ট। তোমাদের ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান জোসি চৌধুরী আমাকে ভুল বুঝিয়েছে, ভুল ইনফরমেশন দিয়েছে। তোমাদের চেয়ারম্যান আমাকে বলেছে, চারুকলা একটাই সাবজেক্ট, এখানে আলাদা আলাদা কোনো বিষয় নেই। এখানে এভাবে নিয়োগ দিলেই হবে।” তখন চারুকলার চেয়ারম্যান ছিলেন জোসি চৌধুরী। খোঁজ নিলে জানা যাবে, প্রাচ্যকলার সার্কুলার এ নিয়োগ হলো প্রিন্ট মেকিংএ। এইরকম জলিয়াতি করে বনি আদমের নামের শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছে। অপরদিকে, প্রাচ্যকলার ক্যান্ডিডেট হুমায়ুন কবির এবং অন্যান্য ক্যান্ডিডেট এর নিয়োগ বন্ধ হয়ে গেলো, আর প্রিন্ট মেকিং এর সার্কুলারও হলোনা আর। প্রাচ্যকলার ক্যান্ডিডেট এই হুমায়ুন কবির তার নিয়োগের জন্য মামলাও করতে গিয়েছিলো আদালতে। পরে উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান আলোচিত নিয়োগ জালিয়াতি বিষয়টি চাপা দেয়ার জন্য, বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ করে প্রাচ্যকলায় হুমায়ুন কবিরকে এডহক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাকে থামিয়ে দেয়া হয়।
প্রিন্ট মেকিং এর শিক্ষক পোস্টটি সার্কুলার ছাড়াই ব্লক হয়ে যায়। আমি মুভ করে ছিলাম তখন, মামলাও করতে চেয়ে ছিলাম, কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে আমাকে অনেক রিকোয়েস্ট করে এবং ভয় ভীতি দেখিয়ে থামিয়ে রাখা হয়। আমি এই অবৈধ নিয়োগের কঠোর তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করছি। অন্যায় ও অবৈধ নিয়োগের সংস্কার চাই।
আমদের প্রজন্ম যখন জানবে এমন এমন অন্যায়, দুর্নীতি করেও এসব পাওয়া যায়, ভালো থাকা যায়। কোন সমস্যা হয়না। তখন তারাও একই কাজের অপেক্ষায় থাকবে, একই দুর্নীতি, অন্যায় করবে। অপরাধ বোধ, সুস্থ চিন্তা, ন্যায় নীতি বোধ তৈরি হবেনা। সেটার জন্যওজাতির ক্ষতি ভেবেই আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন প্লিজ।
অপর এক প্রার্থী আব্দুর রহিম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান,
বনি আদমকে জশি চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর উত্তরসুরি দেখিয়ে এবং বনি আদমের থেকে অনেক টাকার বিনিময়ে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ঐ সার্কুলারে প্রাচ্যকলা প্রভাষক-২ টি এবং ভাস্কর্যে প্রভাষক -১ টি পোস্ট ছিলো। সেখানে প্রিন্টমেকিং এর কোনো পোস্টের কথা উল্লেখ ছিল না। সেখানে বনি আদমকে কি করে নিয়োগ দেওয়া হয়????
এই সার্কুলারে আমিও ভাস্কর্যের প্রভাষক পদে আবেদন করেছিলাম।
ভাইভার আগে রাত্রে জানতে পারলাম আমার চাকুরি হচ্ছে না ভাস্কর্যে ১ টি পদের জায়গায় ২ জনকে নেওয়া হচ্ছে শুধু টাকার বিনিময়ে। ভাইভা দিলাম… রেজাল্ট হলো। ভাস্কর্যে ২ জন অপদার্থকে নিয়োগ দেওয়া হলো। যাদের কোনো কাজ করার দক্ষতা নেই। তারাই আজ চারুকলার প্রফেসর……
চারুকলায় এমনও কিছু শিক্ষক আছে যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা – এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, মাষ্টার্স সব –
২য় শ্রেনী। এই ২য় শ্রেনীধারীরা কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয় আমার জানা নেই। এরা সবাই জশি প্রোডাক্ট।
জশি চৌধুরী শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলাই নষ্ট করেনি সে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলাও নষ্ট করেছে তার কিছু প্রোডাক্ট ঢুকিয়ে। অযোগ্য কিছু শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে যারা ছবি আঁকার আশেপাশে নেই। যাদের নামের আগে শুধু —ড.।
Leave a Reply