২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১২:০২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় কথিত খ্যাতিমান ফেসবুক সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।এলাকার গুণিজন ও সুশিল সমাজ ধিক্কার দিয়ে খ্যাতিমান সাংবাদিক হিসেবে এদেরকে হলুদ উপাধি দিয়ে এ কথা বলেছেন। নিছক পত্রিকার পাতায় এমন একটি সংবাদ প্রকাশ পায়না বা করছে দেখাতে পারবে না কেউ,অথচ এরাই আবার উপজেলায় সাংবাদিক হিসেবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের পাড়ায় প্রকৃত সাংবাদিকদের ঐতিহ্য হাড়িয়ে যাচ্ছে। এরা সাংবাদিকতা পেশার ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করছে।
তৈলাক্ত দালাল প্রকৃতির কিছু স্বার্থন্বাষী সাংবাদিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাংবাদিক সাংবাদিকে দ্বন্দ লাগিয়ে দিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিল করছে। মতলববাজ ধান্দাবাজরা যার যা মর্যাদা সেটা না দিয়ে মানুষের চরিত্র হরনে ব্যস্ত থাকে এরা।
এদের কখনো কখনো দেখা যায়, বিয়ে বাড়ীর ভিডিও করতে আবার কখনো দেখা যায়,কার স্ত্রী কি করছে! আবার কখনো সরাসরি ফেসবুক লাইফ শুরু করে দিয়েছে,কোথায় লাইফ করা যাবে আর কোথায় করা যাবে না এর কোন নিময়নীতির তোয়াক্কা এরা একবিন্দু ও করছে না। এর কারন তাঁরা নিজেই মস্ত বড় প্রকাশক ও সম্পাদক এবং রংবেরঙের সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ঐ সব সংগঠনের নেই কোন সরকারি রেজিষ্ট্রেশন আবার তাদের ফেসবুকেও লাগে কোন রেজিষ্ট্রেশন,মানতে হয় না সাংবাদিকতার আইন এ-র জন্যই তারা মস্ত বড় সাংবাদিক এবং একাধারে সাংবাদিক নেতা এদের জন্য সমাজের অসংখ্য মানি ব্যক্তির মানহানী হয়েছে এছাড়া অসংখ্য সুখের সংসার মিনিশেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ-সব কথিত খ্যাতিমান ফেসবুক সাংবাদিকদের মূল উদ্দেশ্য সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রকাশ্যে করছে মাদক ব্যবসা এছাড়াও এদের মধ্যে বেশিরভাগই অবৈধ ভেজাল পণ্য উৎপাদনসহ প্রতিনিয়ত করে বেড়াচ্ছে নানান অপরাধ। আবার কেউ করছে উপজেলায় দালালি, এদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে স্বৈরাচার সরকারের দোসর তবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই এদের খোলস পাল্টে গেছে এখন আবার অন্যদের দোসর হওয়ার লাইনে সিরিয়াল দিয়ে বসে আছে। এ-সব সুযোগ সন্ধানী সাংবাদিকদের নাম শুনলে আতকে ওঠে এলাকাবাসি নীতিহারা,আত্মসম্মান বোধ হারা,চরিত্র হারা,অন্যের বাসার বেড রুমে ডুকতে ফেসবুক লাইফ করতে,করছে না কোন দ্বিধাবোধ। আবার রাস্তা,ঘাটে নদীতে মাছ ধরা জেলেদের থেকেও তারা ২০০/৩০০ টাকা চাঁদাবাজি করতে মহা ফাঁদ পেতে বসে থাকে।প্রায়ই দেখা যায়,ফেসবুক লাইফ শুরু করে টানছে বিড়ি এ-সব অনৈতিক কাজে জড়িতদের অপসাংবাদিকতার আক্রমনাত্বক আক্রমনে দিশেহারা পেশাদার সাংবাদিকরা ও দেশের মূলধারার গণমাধ্যম গুলো। সাংবাদিক লেবাস পড়ে নানা কুকর্ম করার পরেও নিজেদেকে বিশাল মনে করে।
ইজ্জত ওয়ালা সাংবাদিকদের নিয়ে উপহাস আর কটাক্য,কটুক্তি করে। কথায় বলে,“খাটাশের গায়ে আতর দিলেও যায়না গন্ধ আর শোকুন গোস্ত যতই খাকনা কেন,হয় না তো তাজা-মোটা”। খ্যাতিলাভের আশায় চতুরতার সহিত প্রশাসন বা রাজনৈতিক নেতার সাথে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েই হয় এরা সাংবাদিক।এদের অপকর্ম আর অপরাধের ক্ষয়িষ্ণু খোলসটাকে ভেঙ্গে ফেলা প্রয়োজন বলে মনে করেন শাহজাদপুরের সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
এই বিষয়ে,দেশের সরকারি রেজিষ্ট্রেশনকৃত বড় বড় পেশাদার সাংবাদিক সংগঠনের সিনিয়র সাংবাদিক নেতা-কর্মীদের সাথে কথা জানান,বর্তমান সাংবাদিকতার নামে টিকটক মার্কার ফালতুমি কর্মকান্ড আর গ্রাম্য চাতাল নারীদের মতো পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কুটনামি করাটাই এখন সাংবাদিকতার প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। সারাদেশের কৃষক সমাজ সার, কীটনাশকের অভাবে যখন কপাল চাপড়িয়ে কাঁদেন,আমরা তখন পরীমনির মাদক কাউকে লিড স্টোরি হিসেবে প্রকাশ করে বিকৃত আনন্দে মেতে উঠি রিপোর্টিং বিভাগ, নিউজ ডেস্ক, তারও উপরে থাকা নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কর্তা ব্যক্তিরাও এখন টিকটকারদের মতো শুধু লাইক, কমেন্ট,শেয়ার খুঁজেন।দেশ, দেশের মানুষ কিংবা ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠী এখন কী গণমাধ্যমের কাছে কাঙ্খিত সাড়া পাচ্ছেন? নাকি সমাজ ও মানুষের জন্য কোনরকম ম্যাসেজ না
দিয়েও শুধু বিকৃত অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে,গ-মূর্খতা ছড়িয়ে।সাংবাদিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেন, এবিষয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও সরকারি রেজিষ্ট্রেশনকৃত সাংবাদিক সংগঠন গুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
Leave a Reply