১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৩:৩৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
ইসরাফিল শেখ :
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পৌর এলাকার বাড়াবিল কুয়ার চড়াতে চলছে প্রতিদিন কোটি টাকার ভয়ংকর জুয়া খেলা। একাধিকবার থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানাযায়, বাড়াবিল কুয়ার চড়া ডোগার পাড়ে প্রতিদিন চলছে জুয়া খেলা। দ্বাড়িয়াপুর পৌর শহরের লাবুল ও শফির নেতৃত্বে প্রতিদিন ওই স্থানে ভয়ংকর জুয়ার আসর বসানো হয়। স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে এ ভয়ংকর জুয়ার আসর বন্ধের চেষ্টা করলেও কোনভাবেই এই ভয়ংকর জুয়া খেলা বন্ধ করতে পারছেনা এ ভয়ংকর জুয়ারি লাবুল ও শফির সাঙ্গোপাঙ্গদের। অনেকটা প্রকাশ্যে চলছে ভয়ংকর এ জুয়ার আসর। জুয়ার স্থানটি চারিদিকে ফসলী জমি এবং ফাঁকা থাকায় পুলিশও কোন অভিযান পরিচালনা করতে পারছেনা।
এছাড়াও পুলিশকে এড়ানোর জন্য জুয়ার স্থানটির চারপাশে নিযুক্ত করা হয়েছে জুয়ারীদের তরফ থেকে বেতনভুক্ত সোর্স। এ সকল সোর্সরা রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে বসে থাকে। কোনো ধরনের সমস্যা দেখলেই মূহুর্তের মধ্যে মুঠোফোনে জুয়ারিদের জানিয়ে দেয় এ সোর্স নামক ব্যক্তিরা। শুধু তাই নয় চলমান শীতকালের প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে জুয়া খেলোয়াড় দের ওই স্থান পলিথিনের তৈরি একধরনের তাঁবু টানিয়ে জুয়ার আসর বসনো হয়। ফাঁকা জায়গা এবং ডোবার পারে হওয়ায় ওই স্থানে লোকজনের যাতায়াত না থাকায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জুয়ারি লাবুল ও শফি দীর্ঘদিন দরে জুয়ার আসর পরিচালনা করে জুয়ারিদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এ জুয়া খেলার কারনে আমাদের সমাজে চুরি ও অপরাধ প্রবনতা বেড়ে গেছে। অচিরেই ওই জুয়ারি লাবুল ও শফির ভয়ংকর জুয়া খেলা বন্ধ না করলে যুব সমাজের উপর এর খারাপ প্রভাব পড়বে।
জুয়া খেলা বন্ধ করতে এবং জুয়ারিদেরকে সচেতন করতে এদিকে শাহজাদপুর বিভিন্ন মসজিদে জুম্মার নামাজের পূর্বে ইমাম সাহেবকে দিয়ে একাধিকবার এর কুফল সম্পর্কে আলোচনা করিয়েছেন এলাকার মানুষ। এরপরে ওই এলাকার সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে কঠোরভাবে জুয়ারিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শাহজাদপুর থানার ওসি স্যারকেও এ বিষয়টি অবহিত করেছেন। এরপরেও এরা তাদের চোখের সামনে জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যায়।
এ ব্যপারে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব মোঃ আছলাম হোসেন জানান, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জুয়ার সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply