1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
শিক্ষক থেকে অবসরে যাওয়ার পরে ফলের বাগান করে সাবলম্বি নিরন্জন রায় - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৮:৪৪ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

শিক্ষক থেকে অবসরে যাওয়ার পরে ফলের বাগান করে সাবলম্বি নিরন্জন রায়

শিক্ষক থেকে অবসরে যাওয়ার পরে ফলের বাগান করে সাবলম্বি নিরন্জন রায়

মন্জুরুল ইসলাম (মনু) দেবীগঞ্জ পঞ্চগড় ।
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক নিরন্জন রায় । মিশ্র ফলের বাগান করে প্রতি বছর ২৫-৩০ লাক্ষ টাকা আয় করেছেন। দেবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং দন্ডপাল ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াডের প্রধানাবাদ শশান কালি গ্রামে ১৮ একর জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের মিশ্র ফলের বাগান। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের চারা বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন লাখ টাকারও বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সফল কৃষক নিরন্জন রায় কালিগঞ্জ সুকাতু প্রধান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন অবসরে আসার পরে তিনি এ বাগান তৈরি করেন ।
কাশ্মীরি কুল চাষের মাধ্যমে তার এই বাগান করা শুরু। এ কাজে প্রায় ৫-৬জনের মতো নারী-পুরুষ কাজ করছেন। নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।
মিশ্র এই ফল বাগান থেকে লাক্ষ টাকা আয় করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। নিরন্জন রায় এই মিশ্র বাগানে এখন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বিভিন্ন জাতের দেশি-বিদেশি ফলের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মালটা, লিচু,আম,নটকন,কলা,জলপাই,আমরা,কুল বরাই,আমলকি,বেল,আনারস,কাঁঠাল,পেয়ারা,মেওয়া,তাল,চালতা,ডেরাগন,তেজপাতা, পেঁপে, ভ্যানিলা ,সুপারি সহ আরও অন্যান্য ফলের গাছ রয়েছে।
তার এই মিশ্র ফলের বাগানে রয়েছে দেশী বিদেশি প্রজাতির সুমিষ্ট অনেক ফল এর মধ্যে অন্যতম বারি-১, মালটা, ব্যানানা সহ বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রয়েছে তার এই বাগানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফলের বাগান তৈরির পাশাপাশি নিরন্জন রায়ের বাগানে তিনি বিভিন্ন গাছের চারাও তৈরি করছেন। গত বছরে তিনি হাজারও চারা বিক্রি করে আয় করেছেন অনেক টাকা।
এরপর চলতি বছরে কুল, পেয়ারা, আম, লেবু,সুপারি,লিচু,কলা, মাল্টা, ফল ও হাজার চারা বিক্রি করে আয় করেছেন ২৫-৩০ লক্ষ টাকা।
নিরন্জন রায় এই ফলের বাগান করার সিধান্ত নিয়ে ছিলেন যে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরে যাওয়ার পরে কৃষিতে মনোনিবেশ করে তিনি তার নিজের ১৮ একর জমিতে গড়ে তোলেন এই বাগান। তৎকালীন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি বাগানে মালটা, কুল, আম,মালটা ও পেয়ারার চারা লাগিয়ে একটি মিশ্র বাগান গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। অনেক বছরের বাগানে এখন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ শোভা পাচ্ছে তার বাগানে।
শুরুর বছরে তিনি তার এই মিশ্র ফলের বাগানের বিভিন্ন ফলজ গাছ লাগিয়েছিলেন। তাতেই বাজিমাত করেন। প্রথম বছরে তিনি কুল,আম,লিচু ,কলা অন্যান্য থেকেই আয় করেন লাখ টাকা। শুরুর বছরে বাগানে বিভিন্ন গাছ রোপণ ও অন্যান্য খরচ বাবদ দিয়েই তার আয় থাকেন কয়েক লাক্ষ টাকা ।
লাখ টাকা লাভের মুখ দেখে পরের বছর তিনি বাগানের পরিসর আরও বাড়িয়ে নেন।
এখন তার বাগানের আয়তন ১৮ একর। দেবীগঞ্জ উপজেলায় আম,লিচু ,মালটা ও কুলের বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ তিনিই প্রথম শুরু করেছেন। এরপর এই কুল , মালটার কলম করে তিনি নিজেরোপন করেও ছড়িয়ে দিয়েছেন নিজ জেলা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
নিরন্জন রায় বাগানের পরিচর্যায় তিনি বিভিন্ন জৈব সার, এবং তার নিজে তৈরি কেচো সার ও সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন। তার মতে, কৃষিকাজের মধ্যে এক ধরনের প্রশান্তি রয়েছে। এই কাজে পরিশ্রম করতে পারলে সুফল পাওয়া যায়।
নিরন্জন রায়ের ছেলে এ্যাভোকেট অরুণ রায় জানান আমি ছোট থেকে দেখছি আমার বাবা এই বাগানে সব সময় থাকে তার যেন এই গাছ গাছালি সঙ্গে একটি সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। আর এই বাগানের আয় থেকে আমাকে পড়াশোনা করিয়েছেন।
নিরঞ্জন রায় বলেন সারা বছরই বাগানের ভিতরে উপযোগী কিছু না কিছু থাকেই বর্তমানে বাগানে থোকায় থোকায় মালটা ঝুলছে অল্প দিনের মধ্যেই বিক্রয় শুরু হবে ।এসব মালটা বিক্রি করলে আশা করছি অনেক লাভবান হওয়াযাবে।

নিরন্জন রায় আরো বলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্দু তার এক ভাষনে বলেছিলেন দেশের একইনচি জমি খালি(ফাকা)রাখা যাবেনা সেই ভাষন আমার এখনো মনে প্রেরনা যোগায় সেই ভাষনের কথাগুলি তিলে তিলে পালন করার চেষ্টাকরছি ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!