১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:২৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের হাট ফাজিলপুর বাজারে মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে তার আড়ালে গড়ে তুলেছে কথিত প্রতারক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বলে পরিচয়দানকারী হাফেজ মোল্লা জাহিদ হাসান মানব পাচারের ব্যবসা।
এই প্রতারক জাহিদ হাসান নিজেকে মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করে। এই সংস্থাকে সে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচয় দিয়ে থাকে। সে বলে যে সে একজন মেরিন ইন্জিনিয়ার । আবার সে নিজেকে হাফেজ বলে দাবি করে। তাই তার নামের আগে সে লেখে হাফেজ মোল্লা জাহিদ হাসান । সে মূলত কোন হাফেজ এবং ইঞ্জিনিয়ার না সেএকজন আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীর সদস্য।
এই জাহিদ হাসান রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার হাবাসপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সেখানে বর্তমান ঠিকানা এসে ব্যবহার করত ঢাকার তেজগাঁ থানার বাবলি মসজিদ সংলগ্ন শওকত মিয়ার বাড়ির ঠিকানা। সে কয়েক বছর আগে আবাইপুর ইউনিয়নের নিন গ্রামে বিবাহ করে হাট ফাজিলপুর বাজারে আহত ফ্যাশন হাউজ নামে একটি কাপড়ের দোকান তৈরি করে। নিজেকে বিশাল অফিসার হিসাবে পরিচয় দান করে একটি গাড়িতে মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়ায়। সে নিজেকে মানবাধিকার সংগঠনের একজন বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য এই সংগঠনের একটি অফিস করেছে হাট ফাজিলপুর বাজারে। যার সভাপতি নাম মোঃ হাবিবুর রহমান। এই হাবিবুর রহমান উক্ত সংগঠনের স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন ।
জানা গেছে তার এই সংগঠনের ব্যাপারে স্থানীয় একজন সাংবাদিককে উপঢৌকন দিয়ে বিভিন্ন প্রচারের কাজ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশ্বাস স্থাপন করেছে।
এইখানে তার সাথে আরো একজন বিশেষ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে সে হলো নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার নেহাল সরদারের বাঁক মদ নুপুর মহল্লার নুরু মিয়া ছেলে ইব্রাহিম হোসেন।
শৈলকুপা থানার বগুড়া বগুড়া গ্রামের মহাসিন আলির ছেলে আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি জানায় যে এই জাহিদ হোসেন তাকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এখানে এসে থেমে নেই তার যে স্থানীয় এজেন্ট ছিল হাবিবুর রহমান বারই হুদা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে তাকেও ইটালি পাঠানোর কথা বলে তার নিকট থেকে ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে গেছে। রত্নাড গ্রামের সামসুদ জোহার ছেলে আশিকুর রহমানের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছে এছাড়া শীতালি গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে ইসরাইলের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া এলাকার আরো অনেক লোকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেগুলো বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
তার এই প্রতারণা এলাকাবাসী বুঝতে পেরে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ সন্ধ্যায় স্থানীয় জনগন তাকে ধাওয়া দিলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় তার ভাড়া করা গাড়ির ড্রাইভারসহ গাড়ি আটক করে স্থানীয় জনতা হাটফাজিলপুর ক্যাম্পের পুলিশ হেফাজতে দেয়। ঘটনার পর থেকে এ চক্রের স্থানীয় আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত সংগঠনের সভাপতি পলাতক রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মোল্লাহ জাহিদের নামে থানায় একাধিক মামলা এবং একাধিক ভোটার আইডি রয়েছে।
এই ঘটনার ১লা নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বগুড়া গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে আনিসুর রহমান বাদী হয়ে শৈলকুপ থানায় ৪০৬ ও ৪২০ ধারার একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নাম্বার হল ৩।
এই প্রসঙ্গে শৈলকুপা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ঠাকুরদাস মন্ডলের সাথে কথা বলে জানা যায় যে আটকৃত গাড়ি জিম্মায় আছে এবং একজন গ্রেপ্তার হয়েছে তবে আসামির নাম বলতে পারেননি।
Leave a Reply