৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৮:২৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান: কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব নুরুল ইসলামকে সঙ্গী করে স্বামী স্ত্রীর একটি প্রতারক সিন্ডিকেট সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগ পত্র প্রদান করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী অসংখ্য চাকরি প্রত্যাশীর। প্রতারকের সন্ডিকেটের সাথে উত্তর সচিবের রয়েছে দহরম-মহরম সম্পর্ক। রাজধানীর বিলাসবহুল হোটেলে চক্রের মূল হোতা শুভ ও সচিবের রঙ্গলীলা ও সবার মুখে মুখে।
চাকরি প্রত্যাশী এসব ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াডাঙ্গা উপজেলার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের পুত্র তৌহিদুল ইসলাম শুভ মাদ্রাসা শিক্ষা ও কারিগরি বোর্ডের সহকারী সচিব নুরুল ইসলাম এর সহায়তায় সরকারি দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি দিবেন এমন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন। ভুক্তভোগী প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশী যুবককে সঙ্গে করে সচিবালয়ের সচিব এর কার্যালয় নিয়ে চাকরির কথাবাত্রা পাকাপোক্ত করেন। সচিবের কার্যালয়ের সচিব এসব চাকরি প্রত্যাশীদেরকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তীতে প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম শুভ সচিবের বরাত দিয়ে এসব চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ৫ থেকে ১৫ লক্ষ করে মোট কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা। আর এসব প্রতারণায় প্রতারক শুভর সহকারী হিসেবে কাজ করেন তার নিজের স্ত্রী মুক্তা যিনি নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
পরবর্তীতে রাজবাড়ী এলাকায় প্রতারক শুভ বেশকিছু ভুক্তভোগীর রোষানলে পড়ে একপর্যায়ে সময় নিয়ে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি লিখিতভাবে দিয়ে সাড়া পেয়ে আবারোও লাপাত্তা হন তিনি। উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগীরা বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেন এই প্রতারক দম্পতির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীদের একজন বলেন আমরা মামলা দায়ের করার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতারক শুভকে গ্রেফতার করে পরবর্তীতে তার স্ত্রী সময় নিয়ে আমাদেরকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং ৪০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। স্ট্যাম্পে টাকা দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেন। প্রতারক শুভর স্ত্রী মুক্তা ভুক্তভোগীদের কাছে সময় চাওয়ার পাশাপাশি শুভকে জামিনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। তৌহিদুল ইসলাম শুভরাত্রি মুক্তার এমন কথোপকথন অডিও চেক ও লিখিত প্রমাণাদি ভুক্তভোগীদের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে বলেও জানান তারা। প্রতারক মুক্তার অনুরোধে ভুক্তভোগীরা শুভকে জামিনের ব্যবস্থা করে সময় বেঁধে দেন কিন্তু চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী তেমনি করেই প্রতারক শুভ জামিনে এসে পালিয়ে যান ভুক্তভোগীদের টাকা না দিয়ে উল্টো তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
পরবর্তীতে চাকরিপ্রত্যাশী এসব ভুক্তভোগী দিশেহারা যুবক প্রতারক সমূহ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অর্ধকোটি টাকার চেকের মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, এসব প্রতারণায় প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষা বিভাগের সহকারি সচিব নুরুল ইসলাম শুভকে সহায়তা করেছেন তা তথ্য-প্রমাণ স্পষ্ট। প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম শুভ এর আগেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে র্যাব ও ভুয়া মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানা গেছে। বিভিন্ন তদবির দালালি ও চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে এর আগেও তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল।
পরবর্তী পর্বে শুভর প্রতারণা ও শিক্ষা বিভাগের সহকারি সচিব নুরুল ইসলামের প্রতারণার সহায়তার তথ্য-প্রমাণসহ বিস্তারিত তুলে ধরা হবে…….
Leave a Reply