১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:১৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মুহাম্মদ জুবাইরঃ
গৃহ থেকে শুরু করে ঘুমাতে দিতে হয় চাঁদা। সভাপতি ছাদূ্র ছত্র ছায়ায় ফ্যাসিস আওয়ামী দোষরা আবারো সক্রিয়।
চট্টগ্রামের আলোচিত জনপথ জঙ্গল সলিমপুর আবারো সন্ত্রাসীদের জিম্মায়। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস আওয়ামী সরকারের পতনের পর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোল্ট পাল্টিয়ে মহানগর বস্তিবাসী ছিন্নমূল সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছায়েদুল হক ওরফে সভাপতি ছাদুর ছত্রছায়ায় চালাচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সাথে যুক্ত হয়েছে এলাকার কথিত চিহ্নিত ও একাধিক হত্যা মামলার আসামিরা । তাদের অস্ত্রের ঝনঝনানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে একেবারেই অতিষ্ঠ এলাকাবাসী । তাদের জিম্মায় গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে ঘুমাতে দিতে হচ্ছে চাঁদা টাকা।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সীতাকুণ্ড থানার ক্রাইম জোন খ্যাত বহু আলোচিত জঙ্গল সলিমপুর সন্ত্রাসীদের আস্তানা হিসেবে বেশ সু-পরিচিত । প্রতিনিয়ত এই এলাকায় ঘটে খুন, রাহাজানি ,সন্ত্রাসী দখলবাজি , মাদক, অপহরণ, ধর্ষণসহ নানান অপরাধ ।
বর্তমানে এই জঙ্গল সলিমপুরে দুইশত এর অধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে। তাদের ছায়াসঙ্গী হিসেবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে সতীকুন্ড এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসী বহু মামলার আসামি রোকন মেম্বার। এই গডফাদার রোকন মেম্বার ও মহানগর বস্তিবাসী ছিন্নমূল সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছায়েদুল হক ওরফে সভাপতি ছাদুর নিয়ন্ত্রণে ১০-১৫ জনের একটা সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রুপ।
গত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আরমান, মাসুদসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে এই গ্রুপটি। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার ছেড়েছেন অনেকেই।
যাদের অত্যাচারে অনেক ভুক্তভোগীর মত নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার চট্টগ্রাম জেলা বাবুর্চি সমিতির সভাপতি, অসুস্থ নিরীহ আহমদ উল্ল্যহ (৫২)। যাকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার নির্যাতন করে যাচ্ছে ছাদুর পালিত সন্ত্রাসী গ্রুপ। গত ৪ এপ্রিল ছায়েদুল হক ছাদু ওরফে সভাপতি ছাদু নির্দেশে তিন হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী কামরুল হাসান রিদোয়ান, আওয়ামী দোষর এলাকার সন্ত্রাসী আশিক, ওসমান ওরফে ডাকাত ওসমান, নাজিম, নুর উদ্দিন ওরফে সোর্স নুরু, আমজাদ হোসেন, সুমন চৌধুরী ও নেজাম উদ্দীন ছয় মাস পূর্বে আহমদ উল্ল্যার ক্রয়কৃত জাগার জন্য তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আহমদ উল্ল্যাহ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত ৪ এপ্রিল আহমদ উল্ল্যাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা।
সেইসময় ছায়েদুল হক ছাদু ওরফে সভাপতি ছাদু নির্দেশে তিন হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী কামরুল হাসান রিদোয়ান, আওয়ামী দোষর এলাকার সন্ত্রাসী আশিক, ওসমান ওরফে ডাইকাত ওসমান, নাজিম, নুর উদ্দিন ওরফে সোর্স নুরু, আমজাদ হোসেন, সুমন চৌধুরী ও নেজাম উদ্দীন জোর করে গত ১৪ এপ্রিল আহমদ উল্ল্যাহর ক্রয়কৃত অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিয়ে জবর দখল নেয়। একি সাথে তারা দীর্ঘদিন ধরে আহমদ উল্ল্যাহকে নানামুখী নির্যাতন, মারধর ও হত্যার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন।
আহমদ উল্ল্যাহ আরো জানান আমি নিঃস্ব , নিরিহ সহ সাধারণ একজন নাগরিক হওযায় ছায়েদুল হক ছাদু ওরফে সভাপতি ছাদু নির্দেশে তিন হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী কামরুল হাসান রিদোয়ান, আওয়ামী দোষর এলাকার সন্ত্রাসী আশিক, ওসমান ওরফে ডাইকাত ওসমান, নাজিম, নুর উদ্দিন ওরফে সোর্স নুরু, আমজাদ হোসেন, সুমন চৌধুরী ও নেজাম উদ্দীন আমার উপর নীর্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। এমনকি আওয়ামী দোষর এসে এমন ওসমান ও রিদোয়ান আমাকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার ছেড়ে করে আমার ঘর থেকে বের করে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহমদ উল্ল্যাহকে আমাদের সামনে তার জায়গা থেকে বের করে দিয়ে ছায়েদুল হক ছাদু ওরফে সভাপতি ছাদু নির্দেশে তিন হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী কামরুল হাসান রিদোয়ান, আওয়ামী দোষর এলাকার সন্ত্রাসী আশিক, ওসমান ওরফে ডাকাত ওসমান, নাজিম, নুর উদ্দিন ওরফে সোর্স নুরু, আমজাদ হোসেন, সুমন চৌধুরী ও নেজাম উদ্দীন তাকে বেদম মারধর করে ও অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে প্রাননাশ করতে চায় ওসমান ও রিদোয়ান। এরিসাথে সে-সময় তারা আহমদ উল্ল্যাহর ঘর বাড়ি ভেঙ্গে তাদের দখলে নেন।
মহানগর বস্তিবাসী ছিন্নমূল সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছায়েদুল হক ওরফে সভাপতি ছাদুর বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে প্রতিবেদককে জানান, তিনি জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নন এবং তিনি আওয়ামী দোষদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেন না। চট্টগ্রাম জেলা বাবুর্চি সমিতির সভাপতি আহমদ উল্ল্যাহ এর দাবী সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। তার দাবী আহমদ উল্ল্যাহ টিকটকে তার ভিউ বাড়ানো জন্য হামলার নাটক করতেছে।
সাদুর তথাকথিত ভাগিনা হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামি কামরুল হাসান রিদোয়ান বলেন, আমি আহমদ উল্ল্যাহকে দুই মাইল দুর থেকে দেখলে সম্মান করি। আমি এই ধরনের কোন কর্মকান্ডে জড়িত নয়। এটা তার সাজানো নাটক।
এবিষয়ে ওসমান প্রতিবেদককে, আহমদ উল্ল্যাহ অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। এই ধরনের ঘটনা জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় আহমদ উল্ল্যাহর সাথে ঘটেনি।
২০ পর্বের এক পর্ব
Leave a Reply