১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:৪৮ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
গত ৫ আগষ্ট, ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন হয়েছে।
তবে, এখনো সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়/দপ্তর সংস্থায়
গাপটি মেরে খোলস বদলে বহাল তবিয়তে অন্তবর্তী কালীন সররের মধ্যে ডুকে পরেছে আওয়ামী দালাল। এরই একজন সমাজকল্যাণ সচিব খায়রুল আলম শেখ। তার নিজ জেলা ফরিদপুর, মধুখালি উপজেলায়। শোনা যাচ্ছে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার দুই কোটি টাকার বিনিময়ে ১৩ ব্যাচের অতিরিক্ত সচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব বনে যান খায়রুল আলম শেখ। অথচ তার নিয়ন্ত্রিত কিংবা অধিনস্ত সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক তিনি ১১ ব্যাচের কর্মকর্তা। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি সচিব হয়েছেন। খায়রুল আলম শেখ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাদানের পর হতেই বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণীতি, টেন্ডার বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, পদেোন্নতি বানিজ্য, বদলী বানিজ্যের মহা উৎসবে রূপ নিয়েছে। তার এই এই কাজে দোসর হিসেবে সহযোগীতা করে যাচ্ছে একই মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তার পিএস রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, গত ২ মাস আগে তাকে দূর্ণীতির দায়ে বদলী করা হলেও তিনি এখনো সেখানে যোগদান না করে খায়রুল আলমের বিভিন্ন অপকর্মে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া, একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, সারোয়ার হোসেন, উপসচিব, নাজমুল হোসাইন। এছাড়া সমাজসেবা অধিদফতরে রয়েছে তার এক ভয়াবহ সিন্ডিকেট উক্ত সিন্ডিকেটে রয়েছেন– নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ফরিদপুর, আব্দুর রশিদ, সহকারী পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, শরীয়তপুর এবং মোঃ আব্দুল মান্নান, সহকারি পরিচালক (প্রশাসন-২) সমাজসেবা অধিদফতর সদর কার্যালয়, ঢাকা। এরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ ও অনৈতিক কাজ করিয়ে থাকেন।
নতুন উপদেষ্টা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তার চোখ আড়াল করে এসব অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে যাচ্ছে। সরকার যেখানে নিজেদের অবস্থান তৈরী করতে মরিয়া ঠিক সেই সময় খুব তাড়াহুড়ো করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জনপ্রতি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে গত ২২ আগষ্ট ৩০ জন সহকারী পরিচালককে পদ না থাকা সত্ত্বেও উপপরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য মরিয়া। আগামী রবিবার এবং সোমবারের মধ্যে উক্ত পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে শুনা যাচ্ছে। খায়রুল আলম শেখ শুধু নিজেই বিভিন্ন অনিয়মের সাথে যুক্ত তা-ই নয়। তার স্ত্রী এ বিষয়ে আরো বেপরোয়া। তিনি বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থায় সরাসরি ফোন দিয়ে ঘুষ, বানিজ্য লিপ্ত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে শেখ হাসিনার দালাল ভারতীয় এজেন্ট খায়রুল আলমদের চাকরিচ্যুত করা সময়ের দাবি। না হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুফল জনগন পাবে না।
এবিষয়ে বার বার যোগাযোগ করেও মন্তব্য জানা জায়নি এমনকি ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply