1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
সম্পদের পাহাড় ঢাকা জেলা রেজিস্টার নাহার ও তার পরিবারের - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:১২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
তীব্র গরমের অতিষ্ঠ জনজীবনে একটি প্রশান্তিময় ও দৃষ্টি নন্দিত উদ্যোগ বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের উপর  কাউন্সিলর রাসনা বেগমের মামলা:  মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু– মিছিল, উত্তেজনা তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা সমবায় লুটে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সম্পদের পাহাড়ের উৎস কোথায় ? গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য  এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ৫ কৃতিমান লেখক বাণিজ্য জগতে বিশেষ অবদানের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২৪ পেলেন হোটেল রয়্যাল প্যালেসের কর্তা আশরাফুল সেখ বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে দিল যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অপারেশন মামুন ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি সমবায় অধিদপ্তরের কামাল-মিজান-রুহুল-জয়নাল-শাকিল চক্রের ইন্ধনে এমসিসিএইচএসএল-এ লুটপাট !
সম্পদের পাহাড় ঢাকা জেলা রেজিস্টার নাহার ও তার পরিবারের

সম্পদের পাহাড় ঢাকা জেলা রেজিস্টার নাহার ও তার পরিবারের

স্টাফ রিপোর্টারঃঃ

ঢাকা জেলার রেজিস্টার নাহার এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদের পাহাড়, দুদক তার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ স্বরূপ নথিপত্র তলব করেছে। তার স্বামী, ছেলে ও মেয়ের সম্পদের তথ্য উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক জিএম আহসানুল গত ২৫ জুলাই ২০২২ রেকর্ড পত্র চেয়ে একটি চিঠি দেন । সাবেকুন্নাহার ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিভিন্ন জেলা রিজিস্ট্রি অফিস সহ ২৪ দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়।সাবিকুন নাহারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। চিঠিতে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের সার্থে উল্লেখিত ব্যক্তিবড়গের নামে কোনো প্লট, ফ্ল্যাট, জমি,মার্কেট,বাড়ী, দোকান বা তাদের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে তা সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তার নিকট জানানোর অনুরোধ করা হয়।
সাবিকুন নাহার এর বর্তমান ঠিকানা ফ্ল্যাট এ/২, বাড়ী নং ৩৭, রোড় নং ১০/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা মহল্লা শকতা ( পশ্চিম পাড়া) কেরানিগঞ্জ, ঢাকা।
দুদক সূত্রে জানা যায় ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন নাহার এর বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ, দূর্ণীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। দীর্ঘ দিন সাব রেজিস্ট্রার হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে রেখে এসেছে দূর্ণীতির ছাপ। কমিশল দলিল সম্পাদন, জমির শ্রেনি পরিবর্তন, জাল দলিল সম্পাদনে তিনি নিতেন মোটা অংকের ঘুষ। ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার হওয়ার আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার রেজিস্ট্রার ছিলেন এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি সরকারি ফি’র বাহিরে অতিরিক্ত টাকা নিতেন দলিল প্রতি লাখে ৩০০ টাকা। দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদা দিতে হতো ৮০০ টাকা করে। রূপগঞ্জে মাসে ১২/১৩ শত দলিল হতো এতে সাবিকুন নাহার এর প্রতি মাসে আয় ছিলো ৫০/৬০ লাখ টাকা।
সাবিকুন নাহার এর দূর্ণীতির ফিরিস্তি অবাক করার মতো। জেলা রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পেয়ে অব্যাহত রাখেন ঘুষের বাণিজ্য। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) গন। কর্মকর্তা, কর্মচারি,ভেন্ডার, এবং নিকাহ রেজিস্ট্রারদের কাছ থেকে ঘুষ নিতেন কৌশলে। তার অধিনস্ত জেলার সাব রেজিস্ট্রার সবার কাছ থেকে মাসোয়ারা নেন তিনি। এজন্য সাব রেজিস্ট্রার গন কাজের সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। তার অধিনস্ত কর্মচারিদের পদায়ন করেন মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে। তার দপ্তরে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করে না।প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি, পদস্থ আমলাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বদলি বাণিজ্য করেন তিনি।
সাবিকুন নাহার এর নামে বেনামি স্বা সন্তান ও তার ভাই ভাবিদের নামে করেছে অঢেল সম্পদের পাহাড়। তিনি চলেন বিলাসবহুল গাড়ীতে। তার রয়েছে একাধিক গাড়ি। রয়েছে মার্কেট, কেরানীগঞ্জ শাকতা ৭ টি বহুতল ভবন। কেরানিগঞ্জে জমি, প্লট সহ আরো অনেক সম্পদ যা আরো অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে।
এর আগেও দুুদক তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছিলো সংস্থাটি অদৃশ্য ইশারায় তা থেমে যায়। এবার দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে যেই হোক দুদক তারা অনুসন্ধান করে দোষী সাব্যস্ত হলে বিচার হবে। এ বিষয়ে তার মন্তব্যের জন্য বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাক্ষাৎ দেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »