৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:১৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃঃ
ঢাকা জেলার রেজিস্টার নাহার এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদের পাহাড়, দুদক তার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ স্বরূপ নথিপত্র তলব করেছে। তার স্বামী, ছেলে ও মেয়ের সম্পদের তথ্য উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক জিএম আহসানুল গত ২৫ জুলাই ২০২২ রেকর্ড পত্র চেয়ে একটি চিঠি দেন । সাবেকুন্নাহার ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিভিন্ন জেলা রিজিস্ট্রি অফিস সহ ২৪ দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়।সাবিকুন নাহারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। চিঠিতে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের সার্থে উল্লেখিত ব্যক্তিবড়গের নামে কোনো প্লট, ফ্ল্যাট, জমি,মার্কেট,বাড়ী, দোকান বা তাদের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে তা সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তার নিকট জানানোর অনুরোধ করা হয়।
সাবিকুন নাহার এর বর্তমান ঠিকানা ফ্ল্যাট এ/২, বাড়ী নং ৩৭, রোড় নং ১০/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা মহল্লা শকতা ( পশ্চিম পাড়া) কেরানিগঞ্জ, ঢাকা।
দুদক সূত্রে জানা যায় ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন নাহার এর বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ, দূর্ণীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। দীর্ঘ দিন সাব রেজিস্ট্রার হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে রেখে এসেছে দূর্ণীতির ছাপ। কমিশল দলিল সম্পাদন, জমির শ্রেনি পরিবর্তন, জাল দলিল সম্পাদনে তিনি নিতেন মোটা অংকের ঘুষ। ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার হওয়ার আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার রেজিস্ট্রার ছিলেন এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি সরকারি ফি’র বাহিরে অতিরিক্ত টাকা নিতেন দলিল প্রতি লাখে ৩০০ টাকা। দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদা দিতে হতো ৮০০ টাকা করে। রূপগঞ্জে মাসে ১২/১৩ শত দলিল হতো এতে সাবিকুন নাহার এর প্রতি মাসে আয় ছিলো ৫০/৬০ লাখ টাকা।
সাবিকুন নাহার এর দূর্ণীতির ফিরিস্তি অবাক করার মতো। জেলা রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পেয়ে অব্যাহত রাখেন ঘুষের বাণিজ্য। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) গন। কর্মকর্তা, কর্মচারি,ভেন্ডার, এবং নিকাহ রেজিস্ট্রারদের কাছ থেকে ঘুষ নিতেন কৌশলে। তার অধিনস্ত জেলার সাব রেজিস্ট্রার সবার কাছ থেকে মাসোয়ারা নেন তিনি। এজন্য সাব রেজিস্ট্রার গন কাজের সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। তার অধিনস্ত কর্মচারিদের পদায়ন করেন মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে। তার দপ্তরে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করে না।প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি, পদস্থ আমলাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বদলি বাণিজ্য করেন তিনি।
সাবিকুন নাহার এর নামে বেনামি স্বা সন্তান ও তার ভাই ভাবিদের নামে করেছে অঢেল সম্পদের পাহাড়। তিনি চলেন বিলাসবহুল গাড়ীতে। তার রয়েছে একাধিক গাড়ি। রয়েছে মার্কেট, কেরানীগঞ্জ শাকতা ৭ টি বহুতল ভবন। কেরানিগঞ্জে জমি, প্লট সহ আরো অনেক সম্পদ যা আরো অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে।
এর আগেও দুুদক তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছিলো সংস্থাটি অদৃশ্য ইশারায় তা থেমে যায়। এবার দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে যেই হোক দুদক তারা অনুসন্ধান করে দোষী সাব্যস্ত হলে বিচার হবে। এ বিষয়ে তার মন্তব্যের জন্য বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাক্ষাৎ দেননি।
Leave a Reply