৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৭:৫০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর আরো বলনে,দেশে সরকার ও সরকার বিরোধীরা ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্রের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোন মূহুর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে- একথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংঘাত ও সংঘর্ষের কারণে জাতীয় জীবনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, সংঘাতময় রাজনীতির কারণে মানবতা আজ ধ্বংসের মুখোমুখী। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাতময় অবস্থা বিরাজ করছে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর)ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সকাল এগারোটায় ইসলামী সমাজের উদ্যোগে “বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় রাজনীতি থেকে উত্তরণের উপায়”সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন
ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর আরো বলনে, দূর্নীতি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বিশ্বের মানুষের জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে এবং ধর্মের নামেও সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদী অপতৎপরতার বিস্তার ঘটছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক অংগনে চরম নৈরাজ্য চলছে। গণতন্ত্র জাতির মানুষকে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত করে সংঘাত ও সংঘর্ষের পথে দেশবাসীকে ঠেলে দিয়েছে। মানব রচিত ব্যবস্থার সংঘাতময় রাজনীতি বিশ্বের মানুষকে দুনিয়ার জীবনে মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি করেছে এবং তাদের আখিরাতের জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষিতে চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়ায় গোটা বিশ্ব তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মুখোমুখী অবস্থান করছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে হুমকী-ধমকী দিচ্ছে এবং অর্থনৈতিক অবরোধের নামে অবৈধ নেতারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেই চলছে। তিনি বলেন, বিশ্বে চলমান রাজনীতি আজ সংঘাতময় রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন,সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ লক্ষ্যেই “ইসলামী সমাজ” সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সংগঠনের আমীর বলেন, ইসলামী সমাজ সকলের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তিনি দল, মত নির্বিশেষে সকলকে ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে ইসলাম প্রতষ্ঠিার ঈমানী, নৈতিক ও মানবকি দায়িত্ব পালনের আহবান জানান এবং সকল মানুষের কল্যাণে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ তিন দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
ঘোষিত কর্মসূচী সমূহ হচ্ছে-
১) দেশ ও জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের সাথে মত-বিনিময়। ২) প্রচলিত রাজনৈতিক ও ইসলামী দলসমূহের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা। ৩) রাজধানী ঢাকার মেট্রোপলিটন এরিয়ার ৮টি বিভাগে ৮টি শান্তি সমাবেশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রথম শান্তি সমাবেশ – ০৫ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার) ওয়ারী বিভাগ। দ্বিতীয় শান্তি সমাবেশ- ১২ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার) লালবাগ বিভাগ। তৃতীয় শান্তি সমাবেশ- ১৯ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার), মতিঝিল বিভাগ। চতুর্থ শান্তি সমাবেশ- ২৬ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার), রমনা বিভাগ। পঞ্চম শান্তি সমাবেশ- ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার), গুলশান বিভাগ। ষষ্ঠ শান্তি সমাবেশ- ১১ ডিসেম্বর ২০২২, (রবিবার), মিরপুর বিভাগ। সপ্তম শান্তি সমাবেশ- ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার), উত্তরা বিভাগ। অষ্টম শান্তি সমাবেশ- ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার) তেজগাঁও বিভাগ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী সমাজের আমির হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবির, সোহাগ আহমেদ, ইসমাইল হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply