১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:১৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:
গাজীপুর ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল এর চাচা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মতিউর রহমান মতির শেল্টারেই চলতো টঙ্গীর মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল!
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী পূর্ব থানার ৫৬নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার কো- অপারেটিভ ব্যাংক মাঠের এক সময়ের জনপ্রিয় সিনেমা হল ক্যাপ্রির ভবনসহ ২ বিঘা ১২ কাঠা জমি সাবেক এমপির চাচা মতি জোর পূর্বক দখলে নিয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনাকে মাদক ব্যবসা করার জন্য আস্তানা করার সুযোগ করে দেয়। এর বিনিময়ে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা প্রতিমাসে মতিউর রহমান মতিকে দিতে হতো ৪ লক্ষ টাকা।
জানা যায় ক্যাপ্রি সিনেমা হল ও ২ বিঘা ১২ কাঠা জমির দলিল সূত্রে মালিক গাজীপুরের বিএনপির সিনিয়র নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম সরকার।কিন্তু এই ক্যাপ্রি সিনেমা হলসহ ২ বিঘা ১২ কাঠা জমি প্রায় ১৩/১৪ বছর দখলে করে রেখেছেন সাবেক এমপির চাচা মতিউর রহমান মতির ও টঙ্গীর মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা।
তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা। এ ছাড়াও দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরা। অনেকেই দেশ ছাড়তে গিয়ে বিমানবন্দরে আটক হচ্ছেন।
এরপর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে সাবেক এমপির চাচা ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মতিউর রহমান মতি।
৬ আগষ্ট সকাল বেলা ক্যাপ্রি সিনেমা হল সহ ২ বিঘা ১২ কাঠা জমি দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে টঙ্গীর সাধারণ জণগণ সহ উপস্থিত হন।গাজীপুরের বিএনপির সিনিয়র নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহনূর ইসলাম(রনি সরকার)তারপর ভেগে ফেলা হয় দখল করার জমির উপর আরফিনার মাদকের আস্তানা।
এই বিষয়ে সরকার শাহনূর ইসলাম (রনি সরকার) এর সাথে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের কথা হলে তিনি বলেন এই ক্যাপ্রি সিনেমা হলসহ ২ বিঘা ১২ কাঠা জমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ১৩/১৪ বছর আগে গাজীপুর ২ আসনের সাবেক এমপির চাচা মতিউর রহমান মতি দখলে নিয়ে টঙ্গীর মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার কাছে হস্তান্তর করেন। তবে এখন আমার বাবার জায়গা আমি বুঝিয়ে নিচ্ছি এবং আমাদের জায়গা দখল করে যারা মাদকের আস্তানা গেড়েছেন সেই মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছি। আমরা সবাই চাই মাদক মুক্ত গাজীপুর।
তবে থেমে নেই মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার মাদক ব্যবসা!
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক এমপির চাচা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মতিউর রহমান মতির শেল্টারে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা মাদক ব্যবসা করে ১২/১৩ বছরের ব্যবধানে গড়েছেন কয়েক কোটি টাকার সম্পদ!
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশর অনুসন্ধানে জানা যায়,এক সময়ের ছিনতাইকারী জামালের বউ তিন সন্তানের জননী আরফিনা বেগম বর্তমান গাজীপুরের সবচেয়ে বড় মাদক ব্যবসায়ী এবং টঙ্গীর একাধিক হোল্ড সেলার রয়েছে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার।
গাজীপুরের সব চেয়ে বড় মাদকের ডিলার মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা,তার কাছে ফেনসিডিল ও মরণ নেশা ইয়াবা,গাঁজাসহ যেকোন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া।
বিশ্বস্ত সূত্র জানা যায়, গাজীপুরের কোথাও পাওয়া না গেলেও আরফিনার কাছে সব সময় যেকোন মাদক পাওয়া যায়।
মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার মাদক ব্যবসার সহযোগী তার স্বামী জামাল, জাল সালমা,দেওড়া আক্তার, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার বউ শেফালী,শামীমাসহ বস্তিতে বসে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে,কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্হায়ী কয়েকজন নেতাকে নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তবে সব সময়ই প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা।
হরদম বিক্রি হচ্ছে পাইকারী ও খুচরা আরফিনার মাদকদ্রব্য। নাম প্রকাশ না করায় এলাকার কিছু স্হায়ী কিছু লোকের সাথে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের কথা হলে তারা জানায়,আরফিনার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে মিথ্যা মামলাসহ অনেক মারধর করা হয় তাই আরফিনার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার অবৈধ সম্পদের পাহাড়!
আরফিনার নরসিংদীতে রয়েছে ১টি বিলাসবহুল রিসোর্ট,২৫০টি অটোরিকশা,২০টি সিএনজি,টঙ্গীর মরকুন কে-টু ফ্যাক্টারীর বিপরীতে রয়েছে একটি ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন তার পাশেই রয়েছে ৩ তলা একটি বাড়ী আরো রয়েছে একটি টিন সেটের ২তলা বাড়ী,করমতল রেলগেইট রয়েছে টেন সেটের ২ তলা বাড়ী ও বিশাল রিকশা গ্যারেজ,পূবাইল কলেজ গেইটে রয়েছে একটি ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন ও টিন সেটের একটি বাড়ী,টঙ্গীর গাজীবাড়ী রয়েছে ১টি বিলাসবহুল ফ্লাট,টঙ্গীর নতুন বাজারে রয়েছে ৭টি এজেন্টের,ডিলারের মাধ্যমে রয়েছে গ্যাস সিলেন্ডারের ব্যবসা, তার রয়েছে ব্যক্তিগত ৪টি বিলাসবহুল প্রাইভেটকার,এছাড়াও ব্যাংক মাঠ বস্তিতে রয়েছে একাধিক দোকান,মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রেখেছেন বিশাল একটি গ্যাং সেই গ্যাং এর প্রতিটি সদস্যকে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা কিনে দিয়ছে একটি করে R15 মোটরসাইকেল।
এত বিলাসবহুল বাড়ী-গাড়ি থাকার পর তিনি থাকেন বস্তিতে।
একাধিক বার জেল খেটেছেন মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা এবং একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে তার নামে।
তবুও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা,মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার মাদক ব্যবসা প্রশাসনের কিছু কতিপয় কর্মকর্তাদের কে ম্যানেজ করে প্রায় ১২/১৩ বছর ধরে চলছে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার মাদক ব্যবসা।
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশর অনুসন্ধানে জানা যায়, কক্সবাজার টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান ও দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান নিয়ে আসে টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ বস্তিতে নিজস্ব যানবাহনে এই মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা।তার পর হোল্ড সেলার এর কাছে ছোট ছোট চালান পৌঁছে দেয় গাজীপুর সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। স্হায়ী প্রশাসনের কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় শীর্ষ রয়েছে মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা তবুও ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
সূত্র জানায়,আরফিনার বিরুদ্ধে রয়েছে টঙ্গী পূর্ব থানা সহ ডিবি,র্যাব,ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে একাধিক মামলা।
এই বিষয়ে,মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ দক্ষিণের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply