৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৫:০৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোর্শেদ মারুফ:
ময়মনসিংহ, বওলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ, আব্দুল বাতেন খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের এক মহা উৎসব।
যেখানে দেশের রীতিনীতি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গুরুর পদমর্যাদায় অধ্যক্ষকে মূল্যায়নের প্রথম সারিতে রাখলেও তা ঘটেছে অন্য কিছু।
আব্দুল বাতেন খান তার মামাত ভাই সাবেক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিষ্ঠানের যতগুলো নিয়োগ দিয়েছেন তার মধ্যে পিয়ন, নাইট গার্ড, লাইব্রেরিয়ান, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারি, সহকারী প্রধান শিক্ষক, শালিয়া স্কুল এবং অধ্যক্ষ কাইচাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা।
প্রত্যেকের কাছ থেকে সর্বনিম্ন-৭ লক্ষ টাকা থেকে ৩২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা একান্তই নিজে গ্রহণ করে।
তার রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বানিয়েছেন তার পারিবারিক কার্যালয়, একক ক্ষমতা বলে নিজের শালিকা, ভাতিজা, ভাতিজা-বৌ সহ কাছের আত্মীয়-স্বজনকে চাকুরী দিয়েছেন।
যে সব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, সেই সব প্রতিষ্ঠানের সরকারি সম্পত্তি রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে নিজে এবং নিজের পরিবারের প্রয়োজনে বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন।
একই পদের জন্য এক বা একাধিক ব্যক্তির নিকট হইতে টাকা গ্রহণ করেন।
পরবর্তী সময়ে চাকুরী প্রত্যাশীরা চাকুরী না পেয়ে টাকা চাইতে গেলে সে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয় এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।
ফুলপুর থানার বালিয়া ইউনিয়নের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আব্দুল বাতেন খান।
নিজের ক্ষমতা বলে আব্দুল বাতেন খানের বৌকে শালিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ফেরদৌসী বেগমকে, শালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসাবে নিয়োগ দেন, এটাও তার মামাতো ভাই।
গ্রামের শিক্ষিত এবং সম্মানিত ব্যক্তিবর্গদের অসম্মানিত করে জোরপূর্বক তার বৌকে সভাপতি করে।
ময়মনসিংহ শহরে চার শিক্ষকদের ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় কেলেঙ্কারি এবং জোরপূর্বক জমি দখলদার হিসাবে রয়েছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
ইব্রাহিম টাওয়ারের শেয়ার সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে নামে বেনামে ফ্ল্যাট ও প্লট, নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি এবং তার বাসা আকুয়া ইউনিটি টাওয়ারে।
Leave a Reply