1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
সিন্ডিকেটের কবলে শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী যাদবপুর বি.এম স্কুল এন্ড কলেজ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৭:৪৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সিন্ডিকেটের কবলে শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী যাদবপুর বি.এম স্কুল এন্ড কলেজ

সিন্ডিকেটের কবলে শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী যাদবপুর বি.এম স্কুল এন্ড কলেজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বি.এম স্কুল এন্ড কলেজ এন্ড কলেজ সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে। বিশেষ যাদুর ছোয়ায় নিয়োগ পরীক্ষায় ০৫ পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার (সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) কে সামনে রেখে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট চক্রের নেতৃত্রে প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের দাড়প্রান্তে।

অনুসন্ধান করে জানা যায় যে, ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলাধীন শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বি.এম স্কুল এন্ড কলেজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিগত ০৩/০২/২০১৫ তারিখ সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ-শূণ্য পদে ০৭ জন শিক্ষক নেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যথারীতি ২৮/০২/২০১৫ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় আকলিমা আক্তার ০৫ নম্বর পায় যোগ্য প্রার্থী ১ম স্থান অধিকারী আঃ আজিজ এর কাছে মোটা অংকের টাকা চাওয়া হয় এবং তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে যোগদান হতে বিরত রাখে। পরবর্তীতে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য করেন আকলিমা আক্তার গংরা।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাবুবুর রহমান (ধর্মীয় শিক্ষক) এর সাথে গোপন সম্পর্কের জেড়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাবুবুর রহমান কে বø্যাকমেইল করে সাবেক সভাপতি দেওয়ান মোঃ আলাউদ্দিন কে ১২ (বার) লক্ষ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে পরবর্তীতে অতি গোপনে পুনরায় নাম না জানা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রক্সির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি ছিলেন বির্তকিত প্রধান শিক্ষক ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইনছান আলী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নিয়ে পরবর্তীতে বিগত ০৬/০৪/২০১৫ তারিখ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। এর পরই বেপারোয়া হয়ে উঠেন আকলিমা আক্তার।

প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে ৩০ লক্ষ টাকা থাকলেও পরবর্তীতে তা ৯ (নয়) লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। ৪ চার মাসে ২১ লক্ষ টাকা তছরুপ করেন। উক্ত টাকার হিসাব দিতে না পারায় এলাকাবাসী ও সচেতন অভিভাবকবৃন্দ তার বিরুদ্ধে সোচ্ছার হলে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তখনকার পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকারী মোঃ মিজানুর রহমান নির্বাচিত হলেও যোগদান করতে পারেননি। আকলিমা আক্তার ও মাহাবুব গংরা মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। ১৫ লক্ষ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান হতে বিরত রাখেন। বহাল তবিয়তে আবার আসীন হন আকলিমা আক্তার, পরবর্তীতে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে প্রধান শিক্ষক পদে মোঃ আলী হায়দার এর নিকট ১৫ লক্ষ টাকা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা বলে দাবী করেন। তিনি উক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে অনেক দেন দরবার করে প্রধান শিক্ষক পদে আসীন হন বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী হায়দার।

 

এরপর থেকে কিভাবে প্রধান শিক্ষক কে প্রতিষ্ঠান হতে বিতারিত করা যায়। তা নিয়ে নানা ফন্দি ফিকির করতে থাকেন আকলিমা আক্তার গংরা। আলী হায়দার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা ভাবে হয়রানী ও মিথ্যা মামলা দিয়ে অব্যহত রাখেন। এ ভাবে আকলিমা আক্তার ও মোঃ মাহাবুবুর রহমান, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার, বাবু স্বপন কুমার দাস কে নিয়ে একটি চক্র তৈরি করেন। এদের কাজ হলো প্রতিষ্ঠান বিরোধী, দুর্বল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করে। বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা, জে. এস. সি ও এস. এস. সি পরীক্ষায় অসাদু উপয় অবলম্ভন করে পাশ করিয়ে দেন।

দুর্বল শিক্ষার্থীদের রেজিঃ ও ফরম পূরন করা, আবার কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিকট হইতে জিপিএ ৫ পাইয়ে দেবার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এ চক্র বিগত সময়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাবুবুর রহমান এর সময়ে মোঃ আমিনুর রহমান, মোঃ মাসুদুর রহমান, নুরজাহান আক্তার, আব্দুল মান্নান, ওমর ফারুক, দেবাশীষ চক্রবর্তী, জুলেখা আক্তার এর নিকট হতে জন প্রতি ৭,০০,০০০ (সাত) লক্ষ টাকা করে হাতিয়ে নেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মান্নান এর লাইব্রিয়ান সনদ দারুল ইহসান বিশ^ বিদ্যালয় হতে নেয়া। উক্ত বিশ^ বিদ্যালয় ২০১০ সালে হাইকোর্টের নিদের্শে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তার সনদের পাশের সন ২০১৫ এমন করে কিছু অযোগ্য শিক্ষকদের গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। উল্লেখ্য যে বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার এর নিয়োগ প্রক্রিয়াই অবৈধ। সহকারী শিক্ষক হিসেবে যখন নিয়োগপ্রাপ্ত হন তখন নিয়োগ রেজুলেশন বহিতে ইংরেজী বিষয়ে থাকলেও নিয়োগ পত্রে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ দেখানো হয়। মিনিষ্টারী অভিট এ তাকে প্যার্ঠান বহির্ভূত শিক্ষক দেখানো হয়। তার অনিয়মই নিয়ম। কিছু দিন আগে প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী হায়দারের স্বাক্ষর ও সীল মহর জাল করে। তার এই সিন্ডিকেট সদস্য জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার কে অগ্রনী ব্যাংক, ধামরাই শাখা থেকে টাকা উত্তলন করে দেন। এ ভাবে তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্যাড ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেয়ার পর থেকেই আকলিমা আক্তার কে সামনে রেখে জালিয়াতি ও সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠে। তার মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম সংঘঠিত হয়। সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাবুবুর রহমান দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তৎকালীন সভাপতি এ্যাডঃ নূরুল ইসলাম সরকারী অর্পিত সম্পত্তি (“খ”) ভূয়া দলিলে ৭৮.০০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের নামে দান করে ভূয়া দাতা ও পরবর্তীতে সভাপতি হন। উক্ত সভাপতির বিরুদ্ধে এলাকার সচেতন অভিভাবক ও সচেতন জনগন অবগত হলে বিষয়টি আদালতে গড়ায় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকায় অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে এর সত্যতা পাওয়ায় সভাপতি পদ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি আদালতেও উক্ত দলিল ভূয়া প্রমানীত হয়।

এ্যাডঃ নুরুল ইসলাম পরবর্তীতে তার ভাই সিরাজুল ইসলামের নামে উক্ত অর্পিত সম্পত্তি ভূয়া দলিল করে আদালতে মামলা করেন। এই মামলাও আদালতে খারিজ হয়ে যায়। পরর্তীতে পূনরায় ছোট ভাই মোঃ নুজরুল ইসলামকে ভূয়া দলিল করে মালিক বানিয়ে বর্তমানে মামলা পরিচালনা করে আসছে। মোকদ্দমা নং- দে, মোঃ নং- ৩৫৫১/১৩ উক্ত মামলাটির বিবাদী গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জেলা প্রশাসক, ঢাকা এর পক্ষে মোঃ আলী হায়দার প্রধান শিক্ষাক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান যাদবপুর বি.এম স্কুল এন্ড কলেজ পক্ষভূক্ত হয়ে মামলাটি পরিচালনা করে আসছে।

উক্ত মামলায় অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১১ একর। যার বর্তমান মূল্য ৪ (চারশত) কোটি টাকা। উক্ত অর্পিত সম্পত্তি থেকে ৭৮ শতাংশ ভিপিকেস নং- ১৩৯/৭৪ যাদবপুর বি.এম স্কুল এন্ড কলেজের নামে লীজ নেওয়া হয়। বাকি সম্পত্তি এ্যাডঃ নুরুল ইসলামের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা যাদবপুর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আকলিমা আক্তারের স্বামী মাসুম সরকার ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের সামনে ভোগ- দখল করে আসছে। তার আরেক ছোট ভাই সাইদুর রহমার মাষ্টার, আবুল হোসেন গং প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্গের দখলে আছে। উক্ত অর্পিত সম্পত্তি দখল সূত্রে ভূয়া দলিলে ৩/৪ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করে আসছেন।

আরো জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রামীন ব্যাংক যাদবপুর ধানতারা শাখায় ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা এফ ডি আর করা হয়। উক্ত এফ ডি আর কোন রেজুলেশন ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া করা হয়। তৎকালিন কমিটির সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম ইউপি সদস্য ও বর্তমান যাদবপুর কলেজের অভিভাবক সদস্য বলেন তৎকালিন কমিটির কাছ থেকে ২ (দুই) লক্ষ টাকা এফ ডি আর করা হবে বলে মৌখিক ভাবে সিদান্ত হয়। কিন্ত বাস্তবে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এফ ডি আর করে বাকি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্বসাৎ করেন। একই ভাবে যাদবপুর গ্রামের স্থানিয় প্রভাবশালি আব্দুর রহমান মুন্সির সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ১ একর ৩২ শতাংশ জমি নিয়ে ঢাকা জজ কোটে ২টি মামলা চলমান। উক্ত সম্পত্তিও অর্পিত (“খ”) ভূয়া দলিল দিয়ে মালিকানা দাবি করে আব্দুর রহমান মুন্সি জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। দেওয়ানি মোকাদ্দমা নং- ৪৫৬ পরবর্তীতে যাবদপুর বি.এম স্কুল ও একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১/১৬। বর্তমানে উক্ত জমির মূল্য প্রায় ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা।

 

উল্লেখ্য যে আব্দুর রহমান মুন্সির সাথে ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকার অবৈধ ভাবে দেনদেনের বিনিময় প্রতিষ্ঠানের মামলা পরিচালনা হতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাবুবুর রহমান ও তৎকালিন সভাপতি এ্যাডঃ নুরুল ইসলাম অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকেন। উক্ত মামলায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তৎকালিন সভাপতি এ্যাডঃ নুরুল ইসলাম। মামলা পরিচালনার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিষ্ঠান থেকে আত্বসাৎ করেন। ২ বছর ১১ মাস ১১ দিন প্রতিষ্ঠানের মামলা নং- ১/১৬ পরিচালনা না করায় মামলাটি আদালত কর্তৃক খারিজ হয়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে আব্দুর রহমান মুন্সি তার নিজের মামলা নং- ৪৫৬ পরিচালনা করেন। একতর্ফা আদালত কর্তৃক ডিক্রী জাড়ি পায়। এতে প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ সহ উল্লেখ যোগ্য জমি হাত ছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়। ডিক্রী জাড়ির পত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে এলাকার অভিভাবক সচেতন সুশিল সমাজ প্রতিবাদ করলে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলি হায়দায় উক্ত ডিক্রী বিরুদ্ধে আপিল করেন এবং প্রতিষ্ঠানের নামে যে মামলা নং- ১/১৬ খারিজ কৃত মামলাটি পরিচালনার জন্য পূনরায় আদালতে আবেদন করেন। মামলাটি এখনো আদালতে চলমান।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ও উল্লেখ যোগ্য জমি রক্ষা পায়। বিভিন্ন সময় উক্ত জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠানে সাথে দলাদলি হয়। এভাবেই আকলিমা আক্তার ও মাবাবুবুর রহমানকে উসকানী দিয়ে যাবদপুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে সিন্ডিকেটের আওতাবুক্ত করে তোলেন। এদের কে পৃষ্ঠপোকতা করেন কতিপয় সুবিধাভগি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও চোরাই মোবাইল চক্রের ক্রয় ও বিক্রেতা ছোরহাব হোসেন। এই সকল অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কবল থেকে যাদবপুর বি.এম স্কুল এন্ড কলেজ কে রক্ষা করতে বিভিন্ন অবদান রাখায় প্রতিষ্ঠান প্রধান আলি হায়দার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে উঠে। তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে সরাতে পারলেই প্রায় ৫ (পাঁচশত) কোটি টাকা সম্পত্তি দখল ও লুটপাট করতে পারবে। এই সিন্ডিকেটের চক্রের প্রধান বাধা মোঃ আলি হায়দার।

বর্তমান প্রধান শিক্ষক ২০১৫ সালে যোগদান করে প্রতিষ্ঠানকে স্কুল থেকে কলেজ পর্যায়ে উন্নতি করণ, জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন, নমব শ্রেণীর ভোকেশনাল কোর্স চালু, ১টি চার তলা ভবন নির্মাণ, ২টি তিন তলা ভবন নির্মাণ, সিমানা প্রাচীর নিমার্ণ, প্রতিষ্ঠানের রাস্তা পাকা করণ, প্রধান গেট নির্মাণ, কম্পিউটার ল্যাব সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের অবদান রাখেন। তার সময়ে যাদবপুর প্রতিষ্ঠানে ৫ (পাঁচ) কোটি টাকার উন্নয়ন হয়। এমনকি জে. এস. সি ও এস. এস. সি পরীক্ষার ২০১৫ সাল হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফলে দিক দিয়ে ঢাকা জেলায় প্রথম স্থান ও দ্বিতীয় অবস্থান করেন। পাশের হার প্রায় শতভাগ। বিগত ৫০ বছরেও যাদবপুর স্কুল এন্ড কলেজে উন্নয়ন হয়নি। তার এরুপ সফলতাই প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট চক্রের চক্ষুশূলে পরিনত হয় বর্তমান প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান মোঃ আলি হায়দার। এই অবস্থায় এলাকার সচেতন অভিভাবক ও সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষা করার জন্য সরকারের প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »