১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৫:৫০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
সিভিল অ্যাভিয়েশনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা জড়িয়ে পরছেন মানব পাচারে, গড়ে তুলছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
সরকার মানব পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও
কাউছার আলম মোল্লা উচ্চমান সহকারী (প্রশাসন) বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে একদল আদম পাচারকারীদের সাথে আঁতাত করে ইমিগ্রেশন পার করে দিচ্ছেন। এ সকল পাচারকারী দালালদের সাথে কন্ট্রাক্ট করেই পাচার করা হচ্ছে আদম।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় কিছুদিন আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মানব পাচারের তালিকা তৈরি করা হয়, অর্থের বিনিময়ে নিজের নাম কাটিয়ে নেন মানব পাচারের হোতা কাউছার আলম মোল্লা।কিছু ওয়াটসএপের ম্যাসেজের সূত্র ধরে তার বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তার অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তার বেতন ও সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা যোগ করেও মিলছেনা কাউছার মোল্লার সম্পদের হিসেব। নামে বেনামে করেছে অনেক সম্পদ তার মধ্যে সামান্য কিছু সম্পদের হদিস মিলে –
১)ঢাকা এয়ারপোর্ট পাকঘর শাখায় নিজ নামে ৩০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং স্ত্রী মোসাঃ নাসিমা আক্তারের নামে ৩৫ লক্ষ টাকা।
২) নীলাচল ৩৭০/২ কাওলার জামতলা, দক্ষিণ খান ঢাকায় ২ য় ও ৬ ষ্ঠ তলায় রয়েছে ২ টি বিশাল বিলাসবহুল ফ্ল্যাট যার বাজার মূল্য পায় ২ কোটি টাকা।
৩) পুলিশ হাউজিং সোসাইটি -৩, পূর্বাচলে ১ কোটি টাকা মূল্যের ৫ কাঠার একটি প্লটের সন্ধান মিলে।
৪) নিজ গ্রামের বাড়িতে ৪ তলা ইমারত নির্মাণ সহ কিনেছেন চাষের জমি।
৫) নিজের নামের ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ রেখে ব্যবহার করছেন তার ব্যবসায়ীক বোনজামাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট।
এ বিষয় বিস্তারিত জানার জন্য ফোন করা হয় কাউছার আলম মোল্লাকে কিন্তু সে ফোন রিসিভ করছেনা।
এর পরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান জনাব এম মফিদুর রহমান এয়ার ভাইস মার্শালের কাছে জানতে চাইলে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply