১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১০:০৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের গাঁড়াদাহ ইউনিয়নের প্রতারক চেয়ারম্যান সাইফুল প্রতারণার মাধ্যমে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড় ও অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে পাওনাদারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ
স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার দাপটে গত ১৬ বছরে শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু লোকজনের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে গড়েছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ।
তবে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
এর পর-ই প্রতারক সাইফুল কিছু দিন ছিলো আত্মগোপনে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানা যায়,সাইফুল চেয়ারম্যান কে এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির নেতারা ৩২ লক্ষ টাকায় মেনেজ হয়েছে।
তবুও কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে চলমান রয়েছে প্রতারক সাইফুলের প্রতারণার বানিজ্য।
স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগ শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রতারক সাইফুল
প্রতারণার মাধ্যমে অন্যের ইটভাটা নিজের দখলে নিয়ে নেয়, জানা যায়,গত ১৪/১৫ বছর আগে প্রতারক সাইফুলের বাড়ীর পাশে একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিক এর ইটভাটা ছিল। মৃত কাশেম প্রামানিক কাছ থেকে কেরামতি দেখিয়ে ইটভাটা জবরদখলে নিয়ে নেয় প্রতারক সাইফুল।
এরপর এলাকাবাসীকে জানান মৃত কাশেম প্রামাণিক এর কাছে অনেকই টাকা পাবে, যা সুদ আসলে যোগ করে মোটা অংকের টাকায় হিসাব তৈরী করার নাটক সাজিয়ে ফেলে,এই সব ভয়ংকর ফাঁদ তৈরীর মাইনমাষ্টার প্রতারক সাইফুল।
সেই মিথ্যা নাটক এলাকাবাসীকে বিশ্বাস করানোর জন্য তৈরী করে মিথ্যা স্বাক্ষী দেওয়ার একটি দল। এর মধ্যে এলাকার অনেকেই এমন মিথ্যা স্বাক্ষী দেওয়ার স্বীকারোক্তি দিবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরপর শুরু হয় প্রতারক সাইফুলের নির্মম নির্যাতন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখি তাদের দিয়ে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে রাজি করিয়ে ছাড়ে।
এরপর নতুন নাটকের জন্য কিছু
মিথ্যা পাওনাদার সাজিয়ে, অসহায় মৃত কাশেম প্রামানিক কে অনেক ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং প্রাণ নাশের হুমি দিতে
মৃত কাশেম প্রামানিক এর ইটভাটা দখল করে নেয় প্রতারক সাইফুল।
এরপর মৃত কাশেম প্রামাণিক কে যে মিথ্যা ঋণের দায়ে ঋণী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সেই ঋণ পরিশোধ করার দায়দায়িত্ব নেয় স্বৈরাচার সরকার আওয়ামীলীগের দোসর প্রতারক সাইফুল।
প্রতারক চেয়ারম্যান সাইফুলের একমাত্র প্রতারণার ফাঁদ মানেই তিনি পাওনাদার হয়ে যায়।
এরপর নতুন নাটকের ফাঁদে ফেলে তাদেরকে এক লাখে ১০ হাজার করে টাকা দিয়ে ধামাচাপা দিয়ে দেয় প্রতারক ও সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুল। এর জন্য অনেক অসহায় হতদরিদ্র মানুষ কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এই টাকার হিসাব নিকাশ একদিন ঠিকই হবে আল্লাহর দরবারে।
গত ২৩ শে নভেম্বর আনুমানিক রাত ১১ টার সময় প্রতারক সাইফুল সহ তার পরিবারের সকল সদস্য এক ভয়ংকর ফাঁদে আটকা পড়ে যায়।
পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং স্বৈরাচার সরকারের দোসর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,মনির আক্তার খান তরু লোদী জানায়,সাইফুলের কাছে আমি মূলধন ও মুনাফাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা,বেশ কিছুদিন যাবত টাকার জন্য ঘুরাচ্ছে । রাতের বেলায় প্রতারক চেয়ারম্যান সাইফুলের বাড়ীতে সেই পাওনা টাকা চাইতে গেলে প্রতারক সাইফুলের নির্দেশে তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যেরা
আমার বাহিনীদের ডাকাত বলে আখ্যা দিয়ে মারপিট করে পুলিশে দেন অর্থ আত্মসাৎ কারী সুদ খোর ও প্রতারক সাইফুল চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
স্বৈরাচার সরকারের দোসর, সুদখোর,বালুখোর,দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজ সাইফুলের নতুন নাটকের অভিনয় অসম্ভব সুন্দর হয়েছে সেই সাথে তার পরিবারের সকল সদস্যদের ও মিথ্যাের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিন জন নিরীহ মানুষ।
এমন পরিকল্পিত ভাবে এদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ডাকাতির অভিযোগ তুলে ব্যাপক ভাবে মারধর করে এবং শাহজাদপুর থানায় অবগত করলে পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থানে গিয়ে তিন জনকে আটক করে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন,পৌর শহরের দ্বারিয়াপুর গ্রামের,বাচ্চু (৪৮),আশিক (২৮) ও আসাদ (৩০)
এদের তিন জনই শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও স্বৈরাচার সরকারের দোসর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,মনির আক্তার খান তরু লোদীর ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।
এসময় ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় ৫টি রামদা ও ৪টি মোটরসাইকেল।
এছাড়াও এই প্রতারক ভাটার মাটি সংগ্রহে শত শত কৃষকের সাথে প্রতারণা করেছেন অভিযোগ রয়েছে
ক্ষমতার দাপটে প্রতারক সাইফুল মাটি কাটার শেষ মুহূর্ত হলে,জমির মালিকদের গিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মাটির মূল্য দেয়নি। জমির মালিকেরা পাওনা টাকা চাইলে জমির মালিকদের এসিলেন্টের ভয়ভীতি দেখিয়ে জমির মালিকের পাওয়া টাকা আত্মসাৎ করেছে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে প্রতারক চেয়ারম্যান সাইফুলের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে কথা বলতে,প্রতারক চেয়ারম্যান সাইফুলের মুঠোফোণে ফোণ করলে ফোণ বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে জানতে, শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদীর মুঠোফোণে একাধিকবার ফোণ দিলে গ্রহণ করেনি।
আটককৃত তিন জনের বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃআসলাম আলী বলেন,আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে ডাকাতির প্রস্তুতির কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে তাদের নামে পূর্বের রাজনৈতিক মামলা রয়েছে,সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply