২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৮:১৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
বিশেষ প্রতিবেদক:
শিক্ষা ক্ষেত্রের ভয়ংকর ব্যবসায়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল কলেজের মালিক লায়ন আবুল বাশার স্বপরিবারে উধাও হয়েছেন। কোটা আন্দোলনে ক্যামব্রিয়ান শিক্ষার্থী, শিক্ষক এমনকি তাদের অভিভাকদের পর্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেন তিনি। এরপরেও যে শিক্ষার্থীরা ক্যামব্রিয়ানের ড্রেস পাল্টে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তাদের সবাইকে টিসি দেয়ার কড়া নির্দেশ দেন এই আওয়ামী দালাল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিজয় অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বাশার স্বপরিবারে পালিয়ে গেলেও অজ্ঞাত স্থান থেকেই টিসি প্রদানের বিষয়ে বারবার চাপ দিয়ে চলছেন।
বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ নামে গুলশানে রমরমা আদম ব্যবসাও খুলে বসেছেন বাশার। শিক্ষার্থীদের ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার কলেজ, ভার্সিটিতে পড়াশুনার ব্যবস্থা করে দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও অধিকাংশের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন তিনি। প্রতারিত ভুক্তভোগীরা বছরের পর বছর ঘুরেফিরে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেন না। গুলশান-২ নং চত্বর সংলগ্ন বিএসবি অফিসে প্রতিদিন ভিড় জমিয়ে আহাজারি করেন, কিন্তু কোনো কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ নেই দালাল বাশারের। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও বাশার ও তার বিএসবির বিরুদ্ধে কোনো মামলা রুজু করতে রাজি হয়না পুলিশ। এমনকি দাপুটে এই চক্রের নামে একটা জিডি নিতেও থানার অনিহা রয়েছে।
বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের নামে তারা এখন বিভিন্ন দেশে কৃষি শ্রমিক, ক্লিনার, কাঠ মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, হেলপার, ইলেকট্রিশিয়ানসহ গৃহকর্মী পর্যন্ত পাঠানোর ধান্দাবাজিতে নেমেছেন।
এদিকে আবুল বাশার তার শিক্ষা বাণিজ্য থেকে হাতিয়ে নেয়া কোটি কোটি টাকা চোরাকারবারিতে পুঁজি খাটান বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে মাদক, ওষুধসহ ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য সামগ্রীর চোরাচালানীরা বাশারের ভাই ও দুই ভাতিজার মাধ্যমে মোটা অংকের মূলধন সহায়তা পান। বিনিময়ে লাভের একটা অংশ বাশারের এ পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে সীমান্ত কারবারিদের সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষা খাতের আওয়ামী দালাল বাশার ক্যামেরিয়ান টিভি নামে একটি এডুকেশন চ্যানেলের অনুমোদন পর্যন্ত বাগিয়ে নিয়েছেন। এই অনুমোদন পত্রকে পুঁজি বানিয়ে গত ৪/৫ বছর যাবত তিনি অভিনব আরেক বাণিজ্য ফেঁদে বসেছেন। অস্তিত্বহীন টিভি চ্যানেলের মালিকানার অংশীদারিত্ব দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে দেশী ব্যবসায়ী ও সহজ সরল প্রবাসীদের থেকে শত কোটি টাকা পকেটস্থ করেছেন বাশার। অথচ পুঁজি দাতাদের অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত কোনো কাগজ, চুক্তি, দলিলপত্র দেয়া হয়নি। তাদের কয়েকজনকে পরিচালক পদবীর একটি করে আইডি কার্ড বানিয়ে দিয়েছে শুধু।
Leave a Reply