১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১১:২৮ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে অপারেশন, অনিয়ম এমনকি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
পঞ্চগড়ের বোদা থানার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সংলগ্ন বোদা বাসষ্টান্ড এলাকায় জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যে ক্লিনিকের প্রোপাইটর অশেষ কুমার এবং ম্যানেজার ও সার্জারি সহকারী কমল। গত মাসের শেষ দিকে মাত্র বিশ হাজার টাকার কন্টাকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে নিজেই সিজার করেন ম্যানেজার ও সার্জারি সহকারী কমল। অপারেশনের চিত্র দেখেই অনুমান করা যায়, জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কতজন অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স সহ স্টাফ আছেন। ময়দানদিঘী ইউনিয়নের সরকার পাড়ার ছদ্মনাম কাকলির অপারেশনের কথাই তুলে ধরছি।
অনুসন্ধানে জানা যায় জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যে সকল অপারেশন হয় তার অধিকাংশই অপরিপক্ক অর্থাৎ পাঁচ মাস, ছয় মাস, সাত মাসের বাচ্চা সিজারের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক এভোয়েসন করে থাকেন। গত কয়েকদিন আগে ছদ্মনাম কাকলির অপারেশন করা হয় বিশ হাজার টাকার চুক্তিতে। অপারেশনের ভিডিওতে দেখা যায় একাধিক দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার ও সহকারি সার্জারি কমল একাই অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জননীকমেন্ট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর আশেপাশের কয়েকজন জানান, কমল নিজেকে কখনো ম্যানেজার, ডাক্তার এবং সহকারি সার্জারি পরিচয় দিয়ে থাকেন। তারা আরো জানাই শুনেছি হাসপাতাল পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাদের নাই। নিয়ম অনুযায়ী একটি ক্লিনিকে নূন্যতম একজন মেডিকেল অফিসার, ৬ জন ডিপ্লোমা নার্স, দুইজন সুইপার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াও আনুষঙ্গিক আরো কাগজের সমদ প্রয়োজন হয় । কিন্তু জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দুইজন নন ডিপ্লোমা নার্স দেখান মালিকপক্ষ। নাম মৌসুমী আক্তার ও রুবি আক্তার। প্রশাসনের কেউ আসলে তাদেরকে অন্যের সার্টিফিকেট দেখিয়ে ঝামেলা থেকে অব্যাহতি নেন।
এ সকল অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতকল্পে একাধিক পরিচয় দানকারী কমল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি ম্যানেজার ও সহকারি সার্জারি এর দায়িত্বে আছি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আপনি আমার সামনে এসে কথা বলেন। মোবাইলে এত কথা বলা যাবেনা।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সিভিল সার্জন এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘ বলেন, জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে এর আগে ও অভিযোগ এসেছিল। হাসপাতাল চালাতে যে সকল কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয় এগুলোর জন্য সে আবার দরখাস্ত করেছে। আর ম্যানেজার ও সার্জারি সহকারী কমলের অপারেশনের ভিডিও দেখালে সিভিল সার্জন বলেন, অপারেশনের শেষ পর্যায়েও তো হতে পারে। তিনি আরো জানান ঘটনার সত্যতা থাকলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply