১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১১:৩৮ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নিজস্ব প্রতিবেদক::
সিলেটে স্বরণ কালের সবচেয়ে বড় চোরাই ১৪ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দের ঘটনায় সিলেটে তুলপার চলছে! স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ফলাও করে সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি চোরাকারবারি আটক না হওয়ায় পুলিশের গাফলাতিকে দায়ি করছেন।
অথচ এতোদিন মূলধারার সাংবাদিকরা ভারতীয় চোরাই চিনি নিয়ে তেমন কোন সংবাদ প্রকাশ করেননি। সবকিছু জানার পরও এই অবৈধ চিনির প্রকৃত মালিক কে, সেই সম্পর্কে কিছুই লিখছেননা। কারণ খেঁচু খুড়তে সাপ বেড়িয়ে আসবে, এসব চোরাকারবারিদের সাথে রয়েছে তাদের দহরমমহরম, পেয়ে থাকেন সাপ্তাহিক ও মাসিক বখরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ১৪ ট্রাক ভারতীয় অবৈধ চিনির মধ্যে ১০ ট্রাক চিনির মালিক শীর্ষ দুই চোরাকারবারি গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদার পাড় এলাকার নুরু ও রুবেল, বাকী ৪ ট্রাক চিনির মালিক সুজন নামের প্রশাসনের একজন কনস্টেবল। গোয়াইনঘাটের
এই দুই শীর্ষ চোরাকারবারি দীর্ঘদিন থেকে এসএমপির বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল সুজনকে ম্যানেজ করে তাদের অবৈধ ভারতীয় চোরাই চিনি কোম্পানীগঞ্জ-বিমানবন্দর-আম্বরখানা এবং
কোম্পানীগঞ্জ-বিমানবন্দর-জালালাবাদ থানার বাদাঘাট -তেমূখী-বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সিলেটের কালিঘাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে। এতদিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তাদের অপকর্ম চালালেও এবার কোটি টাকা দিয়েও আর লাইন ক্লিয়ার করা সম্ভব হয়নি। বিশ্বস্থ একটি সুত্রে জানাযায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল লাইনম্যান সুজন সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গাড়ী প্রতি ১০হাজার টাকা বখরা আদায় করে ভারতীয় অবৈধ চোরাই চিনির গাড়ীর লাইন ক্লিয়ার করতেন। এসব চোরাকারবারিদের সাথে ভাগবাটোয়ারায় জড়িত আছে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। বখরা পেতেন মুলধারাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা, তাই তারা এসব অবৈধ কাজ দেখেও নাদেখার ভান করে চোখ বন্ধ রাখতেন। এখন যখন অবৈধ ভারতীয় চোরাই চিনি পুলিশ আটক করেছে, এখন তারা ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করছেন। সচেতন মহলের প্রশ্ন এতোদিন সাংবাদিকরা কোথায় ছিলেন। নাকি তারাও চোরাকারবারির সাথে হাত মিলিয়েছেন।
এছাড়াও আরো কিছু সিনিয়র সাংবাদিক আছেন যারা বখরাও পান, আবার অবৈধ ভারতীয় চিনির গাড়ী পুলিশ আটক করলে, তারা গাড়ীটি ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সাথে টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। পুলিশ গাড়ী ছাড়তে অশিকৃতি জানালে, ঐ সমস্ত হলুদ সাংবাদিক চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে এই বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেন।
চিনি কান্ডে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে, যে সব চোরাকারবারির নাম বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে সিলেটের সচেতন মহল পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা আরো বলেন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারতীয় চোরাই গরু ও মহিষ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সিলেটে আসছে, সেগুলো প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরী।
চোরাকারবারিদের ব্যপারে মুঠোফোনে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত আজবাহার আলী শেখ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন যারাই চিনি কান্ডে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ৬জুন বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার উমাইরগাও থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত আজবাহার আলী শেখ এর নেতৃত্বে
১৪ ট্রাক ভারতীয় চোরাই চিনি১টি প্রাইভেট কার ১টি মোটরসাইকেল আটক করে পুলিশ।
Leave a Reply