1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
আসল ওষুধের নামে নকল ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের ছড়াছরি - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:৫৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য  এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ৫ কৃতিমান লেখক বাণিজ্য জগতে বিশেষ অবদানের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২৪ পেলেন হোটেল রয়্যাল প্যালেসের কর্তা আশরাফুল সেখ বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে দিল যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অপারেশন মামুন ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি সমবায় অধিদপ্তরের কামাল-মিজান-রুহুল-জয়নাল-শাকিল চক্রের ইন্ধনে এমসিসিএইচএসএল-এ লুটপাট ! শার্শায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজ মার্কেটের দোকান বরাদ্দে অনিয়ম-দূর্নীতি নেপথ্যে প্রভাষক আজিজুল ইসলাম হিট অ্যালার্ট এর কারনে ডিএমপি কমিশনার এর নির্দেশে ভাটারা থানায় বিশুদ্ধ পানি বিতরন আশরাফুলকে ডুবিয়ে বহু অপকর্মের হোতা তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ এখন ঢাকায়
আসল ওষুধের নামে নকল ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের ছড়াছরি

আসল ওষুধের নামে নকল ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের ছড়াছরি

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
ওষুধ তৈরির কারখানা আছে। সেখানে তৈরি হয় করোনা, ক্যানসারসহ কঠিন সব রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ। স্ট্রিপে সিল পড়ে নামিদামি সব ব্র্যান্ডের। কিন্তু সব ওষুধই নকল। এর অন্তরালে কাজ করছে একাধিক চক্র। হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা, হুমকিতে ফেলছে জনস্বাস্থ্য। আর এসব ওষুধের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মিটফোর্ড।

নকল ওষুধ সেবন করে মানুষ সুস্থ না হয়ে আরও বেশি অসুস্থ হচ্ছে। মহামারির চেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ খেয়ে। আর আইসিইউ ও সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের এসব ওষুধ দেওয়া হলে তাদের মৃত্যু শতভাগ নিশ্চিত বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকল ও ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তাদের মনিটরিং ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

‘আসল ওষুধের প্রকৃত দামের তুলনায় অনেক কম দামে নকল ওষুধগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছিল। এগুলো মাদকের চেয়েও ভয়ংকর। মানুষ অসুস্থ হয়ে ওষুধ সেবন করে। আর নকল ওষুধ সেবন করে মানুষ সুস্থ না হয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে লুৎফুল কবীর বলেন, কোভিড রোগীদের মোনাস-১০ ওষুধ সেবন করতে দেওয়া হয়। কিন্তু নকল মোনাস-১০-এ কোনো কার্যকর উপাদানই নেই। এই ওষুধ সেবন করে রোগের প্রকোপ আরও বেড়ে যায়। আস্তে আস্তে অবস্থা খারাপের দিকে গিয়ে মৃত্যু হয় রোগীর। তাই নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন গণহত্যার শামিল। এটা বন্ধ করা উচিত। এসব ওষুধ তৈরি, বিক্রি ও বিপণনে জড়িতরাও সমান অপরাধী।

নকল ওষুধের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জয় চৌধুরী বলেন, নকল ওষুধ ব্যবহারে হার্ট, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী নারী ও তার সন্তানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিসহ মানবদেহের নানা ক্ষতি হতে পারে। নকল অ্যান্টিবায়োটিক খেলে পরে দেখা যায় আসল অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। ফলে ওই রোগীকে পরবর্তীকালে চিকিৎসা করতে চিকিৎসকদের অনেক বেগ পেতে হয়।

এ দিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েকটি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবৈধ, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত ও বাজার জাতের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই সব ইউনানি আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবত ওষুধের ব্যানারে কালার ফ্লেভার ও কেমিকেল ব্যবহার পূর্বক ওষুধ প্রস্তুত করে বাজারজাত করছে ফলে এই সব ওষুধ সেবনে জনগণের কোন উপকার হচ্ছে না। উপোরন্ত জনগণ বিরুপ প্রতিক্রায়ার শিকার হয়ে নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছে। এই অভিযোগ ভুক্তভোগি মহলের একাধিক সূত্রের। যে সকল ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবৈধ, অন-অনুমোদিত, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজার জাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে, এর মধ্যে শিরিন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী), গ্রেন প্লাস ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী), সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী), অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রীজ (আয়ু), জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু), দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু), হামজা ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) এবং এসএস ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) অন্যতম।

হামজা ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী)ঃ এইচপি তুলসী ৪৫০ মিলি, এইচপি তুলসী ১০০ মিলি, ট্যাবলেট হামজা রুচিক্যাপ, ক্যাপসুল পেঙ্কুল, ক্যাপসুল হামজা গ্যাস্কুল, সিরাপ হামজাপ্লেক্স (শরবত আমলা), ট্যাবলেট সুপার ক্যাপ (ভিটামিন এ টু জেড), ক্যাপসুল নিমভিট, ট্যাবলেট স্লিফিট, হামজাক্যাল- ডি, সিরাপ কফকুল, ক্যাপসুল নোএজমা, সিরাপ জিনবিট ৪৫০ মিলি (শরবত জিনসিন), সিরাপ জিনবিট ১০০ মিলি (শরবত জিনসিন), হালুয়া গ্রেফোট, সিরতাপ এয়াপেলটন ৪৫০ মিলি, সিরাপ সিইলিভ। যৌন উত্ত্বেজক ওষুধ সিলড্রেনাফিন, সাইট্রেট ও ট্রাডালাফিন সাইট্রেট নামক ভায়গ্রার উপাদান ব্যবহার করছে বলে ও ওষুধ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্রের দাবি। জ্বরের ওষুধে প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে ওষুধে এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিওপ্রাজল এবং ব্যথা ও ব্যথানাশক ওষুধে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম বিপি নামক এলোপেথিক ওষুধের কাচা মাল ব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে। এ ওষুধের বিষয়ে ভোক্তা ও হাকিম, কবিরাজ, ইউনানী বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন এই ওষুধগুলোর মান খুবই খারাপ যা মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদী রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে। এ বিষয়ে ওষুধ মালিকদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা এ বিষয়টি অস্বীকার করে এবং এ নিয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি। ইউনানীর সমিতির উচ্চপদস্থ কর্মকতার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, হামজা ল্যাবরেটরীজ তাদের নতুন সদস্য তাই তাদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য এখনো নেই। তবে এদের বিরুদ্ধে যদি কিছু লেখা হয় তাহলে এতে তাদের কোন আপত্তি নেই। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হামজা সহ যে সমস্ত কোম্পানীর নামে খবর প্রকাশিত হয় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করছি ও অব্যাহত রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

শিরিন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) শিবচর, মাদারীপুর, ভেজাল ও নি¤œমানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এমন অভিযোগ বহুদিনের। সুত্র মতে শিরিন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) মালিক রেজাউর করিমের নির্দেশে কোম্পানীটি সস্তা ও মিডফোডের খোলা বাজার থেকে কেমিকেল ক্রয় করে নিম্নমানের ভেজাল ঔষধ উৎপাদন করছে, এছাড়া ও কোম্পানীটির বিভিন্ন ঔষধের মোড়কে ফুলও ফলের ছবি ব্যবহার করে পন্য উৎপাদন করছে। সেই সাথে অন্য কোম্পানীর লেভেল কাটুন নকল করে অতি মুনাফার আশায় হুবহু দেখতে পন্য উৎপাদন করছে।

গ্রেন প্লাস ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) হেমায়েতপুর, পাবনাঃ উক্ত কোম্পানী ২ (দুই) টি সিরাপ ডিভিয়া, সিরাপ রিস্টিক ভিটামিন ওষুধে ডেক্সামেথাসন, সিপ্রোহেপ্টাডিন, থিয়ভিট (গাবাদী পশু মোটা তাজা জাত করণ কেমিকেল) ও ক্যালসিয়াম ক্যার্বনেট ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়াও সিরাপ ই-ক্লিপ, ক্যাপসুল নিসাত-জিতে যৌন উত্ত্বেজক ওষুধ সিলড্রেনাফিন, সাইট্রেট ও ট্রাডালাফিন সাইট্রেট নামক ভায়গ্রার উপাদান ব্যবহার করছে বলে ও ওষুধ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্রের দাবি। জ্বরের ওষুধে প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে ওষুধে এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিওপ্রাজল এবং ব্যথা ও ব্যথানাশক ওষুধে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম বিপি নামক এলোপেথিক ওষুধের কাচা মাল ব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে।

সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) বগুড়াঃ সবুজ আমলকী প্লাস ৪৫০মিলিঃ, সবুজ জিনসিন ৪৫০মিঃলিঃ সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে উক্ত সবুজ জিনসিন নামক সিরাপে সিনড্রেনাফিন সাইট্রিয়েট ও ট্রাডালাফিন সাইট্রিয়েট ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে অতি সম্প্রতি ঔষধ প্রশাষন সবুজ জিনসিন সহ আর ও ২টি প্রডাক্ট বাতিল করেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে প্রডাক্ট বাতিল হলেও মিডফোর্ডের পাইকারী বাজারসহ সারা বাংলাদেশে খোলাবাজারে ঔষধগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এব্যাপারে সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস মালিক মো. সবুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বগুড়া ওষুধ প্রশাসন আমার নিয়ন্ত্রনে আমার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের নেতা এখান থেকে কেউই আমার কিছু করতে পারবে না, তিনি আরও বলেন ঢাকায় ওষুধ প্রশাষনের বড় অফিসারদের তিনি মাসুহারা দিয়ে থাকেন ফলে সেখান থেকেওকিছু হবে না বলেও দাবি করেন।

অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাসট্রীজ (আয়ু) কেরানীগঞ্জ, ঢাকা এর কারখানা আবাসিক ভবনে থাকায় এবং ভেজাল ও নি¤œমানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত বেশ কয়েক বার হানা দেয়। গত বছর র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রীজ (আয়ু) এর কারখানায় নকল ভেজাল বিরোধী এক অভিযান পরিচালনা করে। ভ্রাম্যমান আদালত অনির্বানের কারখানায় গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ নানা রকম অনিয়ম দেখতে পায়, ফলে উক্ত কোম্পানীকে ২৭,০০,০০০/- (সাতাশ লক্ষ) টাকা জরিমানা করে।

এস এ ল্যাবরোটরীজ (ইউনানী) একই ডিএআর নাম্বার ব্যবহার করে সরবত সেব দুই নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে যার ট্রেড নাম হিটোন (শরবত শেব) ও আপেল-জি (শরবত শেব), হেপঠো, ম্যাগফেরল, ম্যাগোজিন (শরবত জিনসিন), মিকোরেক্স (শরবত ছদর) নামক ঔষধ সমূহ লেবেল কার্টুনে চূড়ান্ত অনুমোদন ব্যাতিত উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ উটেছে। আরো জানা যায় যে কোম্পানীটি লাইসেন্স নবায়ন না করে কোম্পানীর মালিক অন্য কোম্পানীর ওষুধ নিম্নমানের কেমিক্যাল ব্যাহার করে দীর্ঘ দিন ধরে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

নারায়ণগঞ্জের বিসমিল্লাহ ল্যাবরোটরীজের (ইউনানী) নামক ঔষধ কোম্পানি কতৃপক্ষ গ্লোবিরোন (শরবত ফওলাদ) ২০০ মিলি সিরাপ, আমলা (শরবত আমলা) ৪৫০ মিলি, পুদিনা (আরক পউদিনা) ক্যাপসুল বি- নিশাত ও নিশাত ৪৫০ মিলি, পিউ- বি ( শরবত গাওজবান) ৪৫০ মিলি, তুলশী (কফসিরাপ) ১০০ মিলি, বাসক (কফসিরাপ) ১০০ মিলি, রুচি- বি (হাব্বে হেলেতিন) সিরাপ, এট্রোজিন (জিন্সিং সিরাপ) ১০০ মিলি এবং ক্যাপসুল বি-জিনসিন, বি-জিনসিন নামক ১০০ মিলি সিরাপ একই ডিএয়ার নম্বর ব্যবহার করে দুই নামে যথাক্রমে এট্রাজিন ও বি-জিনসিন নাম ব্যবহার করছে। বর্তমানে বিসমিল্লাহ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) কাগজে কলমে বন্ধ দেখানো হলেও ঔষধের উৎপাদন বাজারে থেমে নেই।

জুরাইন জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত ওষুধের নামে বাহারী মোড়কে ভয়ংঙ্কর পাশ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওষুধ বাজারজাত করার অভিযোগ উঠেছে। ওষুধে ডেক্সামেথাসন, সিপ্রোহেপ্টাডিন, থিয়ভিট (গাবাদী পশু মোটা তাজা জাত করণ কেমিকেল) ও ক্যালসিয়াম ক্যার্বনেট ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যৌন উত্তেজক ওষুধ সামগ্রীতে সিলড্রেনাফিন, সাইট্রেট ও ট্রাডালাফিন সাইট্রেট নামক ভায়গ্রার উপাদান ব্যবহার করছে বলে ও ওষুধ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্রের দাবি মুনইশ, দশ্মুলারিষ্ট, আমলকী প্লাস রসায়ন, ভারজিটন, জি- যমানী, জিওভিটা, ভিগো ওষুধের মধ্যে পাওয়া গেছে। জ্বরের ওষুধে প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে ওষুধে এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিওপ্রাজল এবং ব্যথা ও ব্যথানাশক ওষুধে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম বিপি নামক এলোপেথিক ওষুধের কাচামাল ব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে। অথচ বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারী এবং বাংলাদেশ ইউনানী ফর্মুলারীতে এলোপথিক ওষুধের কাঁচামাল বা কোন প্রকার কেমিকেল ব্যবহারের নিয়ম নেই।

ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ এই সব কেমিকেল এর ব্যবহার প্রতিনিয়ত করেই চলছে। ভাবসাবে মনে হয় রাজধানী জুরাইন এলাকাটা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আওতামুক্ত। যেন উক্ত এলাকায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। থাকলে দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এবং জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) জনাস্বাস্থ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলে এমন সব ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারত না।

অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মাঠ পার্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রহস্যজনক নিরবতা পালন করছেন। কর্মকর্তাদের এই অত্যাধিক নিরবতাকে ভিন্ন চোখে দেখছেন সচেতন মহল।

জুরাইনের দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর বিরুদ্ধে একই ডিএআর নাম্বার ব্যবহার করে ২ নামে একই ভিটামিন সিরাপ প্রস্তুত ও বাজারজাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে, এছাড়াও উক্ত কোম্পানী এনজয় প্লাস ক্যাপসুল, এনজয় প্লাস সিরপ, রুচিটন সিরাপ, দি-টন ও দি-গোল্ড নামক ট্যাবলেট দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে বাজারজাত করছে। এই বিষয়ে অভিযোগ এনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাবেক মহা পরিচালক এর বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা হলেও কতিপয় কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এ সকল বিষয় নিয়ে সংবাদপত্র গুলোতে ধারাবাহিক ভাবে ওষুধ কোম্পানি সর্ম্পকে সত্য ঘটনা তুলে ধরার পর মাঝে মধ্যে ওষুধ প্রশাসন কোম্পানির বিরুদ্ধে আই ওয়াশ করে থাকেন বলে জানা যায়। ফলোশ্রুতিতে কিছু দিন পর থেকে নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করতে মহাব্যস্ত হতে দেখা যায় কোম্পানিগুলোকে।

সাধারণ জনগণ এ সমস্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ কোম্পানি বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক কাছে। (চলবে)

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »