1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
খাদ্যের অপচয় যাতে না হয়: প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:১৪ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
বেনাপোলে পাচারকারীর পায়ূপথে পাওয়া গেল ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণেরবার, পাচারকারী আটক বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ইফতার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও দোয়া মাহফিল রাজধানীর খিলগাঁও সবুজবাগ ও মুগদা থানা জুড়ে মাদকের সয়লাব জবিস্থ হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে শাকির-তানিম দুর্গন্ধযুক্ত গরুর মাংসে কাপড়ের রং মিশিয়ে করা হয় তাজা লন্ডনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে’র মতবিনিময় ও ইফতার সম্পন্ন নবীনগরে পুকুরে ডুবে দুই চাচাতো বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু মোঃ কায়সার হোসেনে কর্তৃক বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হুমকির অভিযোগ বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
খাদ্যের অপচয় যাতে না হয়: প্রধানমন্ত্রী

খাদ্যের অপচয় যাতে না হয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের খাদ্যের অপচয়টা কমাতে হবে। অপচয় যেন না হয়। সারাবিশ্বে কিন্তু একদিকে খাদ্যাভাব, অপরদিকে প্রচুর খাদ্য অপচয় হয়। এই অপচয় যেন না হয়। বরং যে খাদ্যগুলো অতিরিক্ত থাকে, সেটাকে আবার ব্যবহার করা যায় কীভাবে, সেই বিষয়টা আমাদের চিন্তা করতে হবে। সেই ধরনের ব্যবস্থাও আমাদের নিতে হবে। উদ্বৃত্ত খাদ্য পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে অন্য কোনো চাহিদা পূরণ করা যায় কি না, সেদিকে দৃষ্টি দিতে গবেষকদের পরামর্শ দেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মানুষের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিতে দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে, সেই নির্দেশনা দেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ শনিবার সকালে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ এর সরকারি অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে এখন খাদ্যের অভাব। অনেক দেশ দুর্ভিক্ষ অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে জাতির পিতার ভাষায় বলতে হয় যে বাংলাদেশের মাটি আছে, মানুষ আছে। আমরা যেন কখনো খাদ্যের অভাবে আর না ভুগি।”
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ ‘মঙ্গামুক্তই থাকবে’। বাংলাদেশে আর যেন কখনও দুর্ভিক্ষ না হতে পারে আর কেউ যেন চক্রান্ত করেই দুর্ভিক্ষ করতে না পারে, সেদিকে বিশেষভাবে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করে যাওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। যার জন্য আমি মনে করি, খাবারে বাংলাদেশের আর কোনোদিন আল্লাহর রহমতে কোনো অভাব থাকবে না। এজন্য গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, একটি বীজ যখন আপনি আবিষ্কার করেন, উদ্ভাবন করেন, সেটার যখন উৎপাদনটা হয়, ধীরে ধীরে কিন্তু উৎপাদনের পরিমাণটা কমতে থাকে। এজন্য সব সময় গবেষণাটা অব্যাহত রাখতেই হবে।
স্বাধীনতার পর দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া নানা পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দেইনি বলেই আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হলো না। বৃহৎ দুটি দেশ আর প্রতিবেশি দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারিনি।
সেসময় ক্ষমতায় না আসার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমার কথা ছিল- আগে আমার দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ হবে, অন্তত ৫০ বছরের মজুত থাকবে। তারপর যেটা অতিরিক্ত থাকবে সেটা আমি বেচতে পারি। তাছাড়া এই দেশের সম্পদ আমি বেচতে পারি না। এই কথা আসলে একটা বিশাল দেশ আমেরিকা আর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পছন্দ হয়নি। কাজেই আমি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

এই অনুষ্ঠানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্রান্তে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »