আজিজুর রহমান বাবু, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি:
নির্বাচন যুদ্ধে একজন শান্তি প্রিয় নাগরিক চায় তাঁর নিজস্ব পছন্দের প্রার্থীকে ইচ্ছার স্বাধীণতায় ভোট প্রয়োগ করে জয়যুক্ত করতে।
উপজেলা নির্বাচন বলেন আর জাতীয় নির্বাচনই বলেন দেশের স্হানীয় সরকারের বিগত নির্বাচনের ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায় জনগণের সেই স্বাধীনতার আবেগ মুখ থুবড়ে নর্দমায় পড়েছিল।
একসময় ভোটারদের বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে ভোট দিলেও কী আর না দিলেও কী ভোটের বাক্স স্বয়ংক্রিয় ভাবেই অদৃশ্য শক্তির হাতে ভরাট হয়ে যাবে । বাস্তবেও তাই হয়েছিল।
একজন স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রকৃত পরিচয় হচ্ছে - আদর্শিক মানুষ।
" একজন সন্মানিত ভোটার দেশের মূল্যবান সম্পদ - যিনি তাঁর রক্তঝরা ঘামে উপার্জিত আয়ের আয়কর প্রদান সহ রাষ্ট্রের সক্রিয় অংশীদার "... বাস্তবে সেই মূল্যায়ন দিতে এলিট শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীরা চরমভাবেই অবজ্ঞা করেছেন। দিনে দিনে চরম অসম্মান চাপা ক্ষোভে পরিনত হয়েছে যার ফলাফলে আজকের এই গনজোয়ার। প্রচন্ড তাপদাহে মিটিং মিছিল, উঠান বৈঠকে গনজাগরণ সৃষ্টি। যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তাঁদের মনে আস্হার জায়গা তৈরি হয়েছে। ইন্জিনিয়ার ওয়াসেল কবির গুলফামের কথা বার্তায় ভরসা খুঁজে পেয়েছেন। আহামরি প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয় নিখাদ আন্তরিকতা আর ভোটারদের আকৃষ্ট করার ঐশ্বরিক সম্মোহনী শক্তিতে নিজকে উপস্থাপনা এবং মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অপার করুণা মানবিক মর্যাদায় উজ্জীবিত করে একনজরে সমান দৃষ্টিতে বুকে টেনে নিয়েছেন। যার ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্য একমাত্র তিনিই অর্জন করেছেন।
নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে নাগরিকদের মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে যে ভাইরাস ছড়িয়ে বিভক্তকরণের যে নষ্ট গনতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত থাকে তা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর শীতল হয়ে যায়।
আমরা বার বার ভুলে যাই যাঁরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত জাতীয় পার্টি প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে সমর্থক এবং একনিষ্ঠ কর্মী তাঁরা কিন্ত রক্ত মাংসেগড়া মানুষ।
তারা যে পেশায়ই জীবিকা নির্বাহ করেন না কেন হতে পারেন তিনি এমপি, মন্ত্রী, সরকারি আমলা, রিকসাওয়ালা, তরকারি বিক্রেতা ইত্যাদি ইত্যাদি কোন ভেদাভেদ নেই। সর্বোপরি তাঁরা প্রত্যেকেই কিন্তু একেকজন " গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সন্মানিত ভোটার "। সে হিসেবে সরকার এবং সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা উক্ত " ভোটার"- কে কতটুকু সখ্যতা আন্তরিকতা দিয়ে সন্মানিত করতে পেরেছি ? উত্তর আসবে... " না "।
কারণ ভোটারদের টাকাওয়ালারা কখনোই মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন না করে বাজারে কাঁচা পণ্য হিসেবে ধরে নিয়েছেন। টাকা হলেই তাঁদের খুব সহজেই কেনা যায়। প্রার্থীরা নির্বাচনকে একটা বিজনেস প্লাটফর্ম হিসেবে নির্ধারণ করে জনগণকে গোলামির শিকলে আবদ্ধ করে রেখেছেন। পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করলে খুব সহজেই এটির প্রমাণিত সত্যের হিসাব মিলে যাবে।
দীর্ঘ দিনের চাপা ক্ষোভ আর স্বদলীয় পাতি নেতাদের নীরব নির্যাতন সহ্য করে জনপদের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ গুলফাম বকাউলের বিজয়ের অপেক্ষায় অপেক্ষমান। নেতা আসবেন বিজয়ের মালা গলায় নিয়ে মাথায় হাত বুলাবেন পিঠ চাপড়িয়ে বলবেন " আমি আছি আপনাদের বিপদে আপদে হিংস্রতার প্রতিবাদে সহযাত্রী হয়ে থাকবো সততার শ্লোগানে ন্যায়ের হাতিয়ার হয়ে "।
আবালবৃদ্ধবনিতার এটিই অন্তিম প্রত্যাশা।
সম্পাদক: মোহাম্মদ মাসুদ। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: আজাদ টাওয়ার, ৪৭৬/সি-২, ডি,আই,টি রোড (৭ম তলা), মালিবাগ রেলগেইট, ঢাকা -১২১৯। ফোনঃ ০২-৪৮৩২২৫২১, ০১৫১১-৯৬৩২৯৪,০১৭২৪৭৯৯৫১৬ ই-মেইলঃ dailysobujbangladesh@gmail.com
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023